কাহিনী সংক্ষেপ
মৃত্যুপথযাত্রী ইরানের শাহেনশাহ কায়কোবাদ ইরানের মহাবীর রুস্তমকে ইরান রাজ্য ও শাহজাদা কায়কাউসের হেফাজতের ওয়াদা করিয়ে যান। তার মৃত্যুর পর রুস্তম শাহজাদা কায়কাউসকে শাহেনশাহ রূপে অধিষ্ঠিত করে তাকে রাজমুকুট পড়ান। কিছুদিন পর সালামগাঁওয়ে সফরকালে তিনি সেখানকার শাহজাদী তাহমিনাকে পাগলা হাতীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। তাহমিনা তার বীরত্বে আকৃষ্ট হন এবং মহলের এক রক্ষককে দিয়ে রুস্তমের ঘোড়া রাখ্সকে চুরি করিয়ে মহলে বন্দী করান। রুস্তম রাজদরবারে তার ঘোড়া খুঁজতে এলে সালামগাঁওয়ের সুলতান তাকে তার আতিথ্য গ্রহণের অনুরোধ জানান। সেখানে শাহজাদী তাহমিনার সাথে তার পুনরায় পরিচয় ও প্রণয় হয়।
রুস্তমের অনুপস্থিতিতে ইরানের শত্রুপক্ষ মাজেন্দ্রানের সুলতান সফেদ সাদা তুরানের অধিপতি আফরাসিয়াবকে ইরান আক্রমণ করার ষড়যন্ত্র করেন। আফরাসিয়াব তাকে অস্বীকৃতি জানালেও তার পুত্র তুরানের শাহজাদা সফেদ সাদাকে নিয়ে ইরান আক্রমণ করে। শাহেনশাহ কায়কাউস রুস্তমকে খবর পাঠাতে বললে উজির তাকে নিজেই এই আক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যবাসীকে তার বীরত্বের প্রমাণ দেওয়ার উপদেশ দেন। কিন্তু পূর্বে অবস্থান নেওয়া শত্রুদের হাতে তিনি পরাজিত হন এবং তাকে মাজেন্দ্রানে বন্দী করে রাখা হয়।
মহাবীর রুস্তম তার স্ত্রীর সন্তান জন্মদানের অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় দূত তাকে ইরানের শাহেনশাহের বন্দী হওয়ার খবর জানায়। দেশের হেফাজতের জন্য তিনি তার স্ত্রী ও আসন্ন সন্তানকে রেখে ইরানের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। ইতোমধ্যে তার পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। শাহজাদী তাহমিনা পুত্রের পরিবর্তে কন্যা জন্ম হয়েছে বলে প্রচার করতে বলেন। অন্যদিকে, রুস্তম তুরানের শাহজাদা ও মাজেন্দ্রানের সফেদ সাদাকে পরাজিত করে শাহেনশাহ কায়কাউসকে উদ্ধার করেন। কায়কাউস তাকে ইরান ত্যাগ না করার অনুরোধ করেন। পুত্রের মৃত্যুশোকে তুরানের অধিপতি আফরাসিয়াব সালামগাঁওয়ে রুস্তমের সন্তানকে হত্যা করতে যান। কিন্তু রুস্তমের স্ত্রী তার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেলে তার স্ত্রী-সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে তার এক সহচর সালামগাঁওয়ের সুলতানকে হত্যা করেন। তুরান প্রায়ই ইরানে চোরাগুপ্ত হামলা চালিয়ে যায় বছরের পর বছর ধরে। তাই রুস্তম যখনই তার স্ত্রী-সন্তানকে খুঁজতে যান তখনই কোন আক্রমণ হয় এবং কায়কোবাদকে দেওয়া ওয়াদা অনুসারে তিনি ইরানের হেফাজতের জন্য দেশ ছাড়তে পারেন না।
ইতোমধ্যে অনেক বছর পার হয়ে যায়। রুস্তমের পুত্র সোহরাব এখন বড় হয়েছে। সোহরাব মায়ের সাথে জেদ করে পিতাকে খুঁজতে বের হন। পথিমধ্যে কেল্লাদার উজিরের বোন কমলার রূপে মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়েন। ঘটনাক্রমে সোহরাব ও কমলা তুরানের অধিপতি আফরাসিয়াবের আতিথ্য গ্রহণ করেন। আফরাসিয়াব সোহরাবকে তার পিতার সাথে সাক্ষাৎ করার পন্থা হিসেবে ইরান আক্রমণ করতে বলেন।
রিভিউ লিখুন
রিভিউ লিখতে আপনাকে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।