কাহিনী সংক্ষেপ
শহরে প্রায়ই গাঢাকা দেয় কিছু মানুষ। আবার এমন মানুষও আছে এই শহরে, যারা এসব গাঢাকা দেয়া মানুষগুলোকে খুঁজে বের করে ফেরত নিয়ে যায় তাদের পরিবারের কাছে। বিনিময়ে পায় নগদ টাকা। স্কুল-ভ্যান চালক বাবু সেরকমই একজন। একদিন বাবু কিডন্যাপ করে শহরের একজন ধনবান প্রভাবশালী ব্যক্তি আকবর রহমানকে। আর শুরু হয় ড্রামা থ্রিলার ফিল্ম ‘উধাও’র (Udhao) শ্বাসরুদ্ধকর গল্প।
উধাও এর প্রিমিয়ার দেখার সুযোগ হয়েছিল।ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমাটি তৈরি।বাংলাদেশে এই ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা খুব কমই হয়েছে।পরিচালক ও প্রযোজককে ধন্যবাদ নতুন কিছু দেখানোর চেষ্টা করার জন্য।সিনেমাটোগ্রাফি ভালো ছিল।অভিনয় মোটামুটি।শাহেদ আলীর অভিনয় ভালো ছিল।পরিচালকের কাজে প্রতিভার ছাপ আছে।আমিত আশরাফ এর এটি প্রথম সিনেমা তাই ভুল্ভ্রান্তি নিয়ে কিছু বলব না।পরিচালকের জন্য শুভকামনা।আশা করছি আমিত আশরাফের কাছে ভবিষ্যতে উধাও এর মত ভিন্ন স্বাদের সিনেমা পাবো।
“উধাও” দেখে এইমাত্র বাসায় ফিরলাম। কাহিনী, মেকিং বেশ ভাল লাগল। এমনটি করে এগলে বাংলা সিনেমা সত্যি-ই একটা সময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাড়িয়ে যাবে। কয়েকটা জিনিস আরও ভাল হতে পারত… যেমন, ডায়লগ আর সাউন্ড (ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক)-এর এডিটিং টা আরও ভাল করা উচিত ছিল। কিছু কিছু ডায়লগ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কারনে ভাল ভাবে শোনা যায়নি। তবে সাউন্ডের কাজ অসাধারণ ছিল। লাস্ট দৃশ্য টা বেশি সিনেমাটিক হয়ে গেছে! যে দৃশ্যটি সমুদ্র পাড়ে দেখানো হয়েছে, তা অন্য কোন স্থানে দেখালে বেশি বাস্তবিক হত। তারপরও ” উধাও ” দর্শকদের মনে অন্যরকম অনুভূতি এনে দিয়েছে! যারা এখনও দেখেন নি, তারা সিনেমাহলে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে। একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়ত আপনি অনুভব করবেন!