কাহিনী সংক্ষেপ
একদল স্বপ্নবাজ তরুণ তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ভালোবাসার পাশাপাশি সহজ-সরল পারিবারিক জীবনের নানা ঘটনা উঠে এসেছে এর গল্পে। যে পরিবারগুলো আমাদের পরিচিত পরিবারগুলোর মতই। তারুন্যে পৌছে যাওয়া সন্তানেরা এই গল্পে গুরুপ্ত পেয়েছে বেশি। ছেলেরা একদিন সিদ্ধান্ত নেয় দারুচিনি দ্বীপে বেড়াতে যাবে। মেয়েরাও তাদের সাথে যেতে চায়। একদল ছেলেমেয়ে, দারুচিনি দ্বীপে যাবে। এই নিয়েই শুরু হয় নানা ঘটনা।
স্বপ্নবিলাসী কয়েকজন তরুণ-তরুণী সিদ্ধান্ত নেয় দারুচিনি দ্বীপে(কক্সবাজার এর নিকট সেন্ট মার্টিন নামে একটি প্রবাল দ্বীপ)বেড়াতে যাবে। মেয়েরাও ছেলেদের সাথে যেতে চায়। কিন্ত ছেলেরা মেয়েদেরকে সাথে নিতে চায় না। এই ছবির প্রধান চরিত্র শুভ্র (রিয়াজ)এর চোখে সমস্যা। শুভ্র চশমা ছাড়া সব কিছু ঝাপসা দেখতে পায়। এই জন্য বন্ধুরা তাকে কানা বাবা বলে ডাকে। শুভ্রর বাবা মনে করেন বাইরের বাস্তব পৃথিবীর জন্য শুভ্র উপযুক্ত নয়, তাছাড়া শুভ্রর চোখের সমস্যা। এই কারনে তার বাবা(আবদুল্লাহ আল মামুন)তাকে সেন্ট মার্টিন যেতে দিতে চান না। সঞ্জুর(ইমন)বোন মোনা বল্টুকে(মোশাররফ করিম)পছন্দ করে। বল্টুর অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার জন্য সবসময় একটি মাত্র লাল সার্ট পড়ে থাকে, তাই মোনা সঞ্জুর জন্য জমানো টাকা লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে বল্টুকে সার্ট কিনে দেয়। এদিকে টিউশানির টাকা না পাওয়ায় বল্টুরও দারুচিনি দ্বীপে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরে। অবশেষে নানা ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে পুরো দলটাই দারুচিনি দ্বীপে যেতে সমর্থ হয়। একদল স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, দারুচিনি দ্বীপে বেড়ানো নিয়ে তাদের পরিকল্পনা, বিভিন্ন সমস্যা ও ভালোবাসার পাশাপাশি সহজ-সরল পারিবারিক জীবন এবং কয়েকটি পরিবারের পারস্পারিক সম্পর্ক, সম্পর্কের টানাপোড়েন ইত্যাদি নানা ঘটনা উঠে এসেছে এই ছবির গল্পে।