আগুনের পরশমনি ()

৯.৩
আপনার রেটিঙঃ
- / ১০ X
রেটিঙঃ ৯.৩/১০, ভোট দিয়েছেন ১৩০ জন | সমালোচক রেটিঙঃ
দর্শক মন্তব্যঃ ৮ টি

কাহিনী সংক্ষেপ

১৯৭১ সালের অবরুদ্ধ পরিবেশে বাস করে সরকারি কর্মকর্তা আবদুল মতিন তার স্ত্রী, দুই কন্যাকে নিয়ে। হঠাৎ একদিন এই পরিবারে আশ্রয় গ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম। গোপনে সে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে অপারেশনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বদি ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সফল অপারেশন পরিচালনা করে। একদিন অপারেশন করতে গিয়ে সে মারাত্মক আহত হয়ে ফেরত আসে

প্রধান অভিনেতা - অভিনেত্রী

আসাদুজ্জামান নূরবদি (বদিউল আলম)
no imageবিপাশা হায়াতরাত্রি
আবুল হায়াতআবুল হায়াতমতিন
দিলারা জামানদিলারা জামান
ডলি জহুরসুরমা
সকল কলাকুশলী

ছবি এবং ভিডিও

পুরষ্কার

পুরষ্কারবছরফলাফলবিভাগ/গ্রহীতা
জয়ী শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র

জয়ী বিশেষ পুরস্কার

হোসনে আরা পুতুল (শিশু শিল্পী শাখায়)

জয়ী শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী

শীলা আহমেদ

জয়ী শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক

মফিজুল হক

জয়ী শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা

হুমায়ূন আহমেদ

জয়ী শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক

সত্য সাহা

জয়ী শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী

বিপাশা হায়াত

জয়ী শ্রেষ্ঠ কাহিনি

হুমায়ূন আহমেদ

প্রধান কলাকুশলী

কাহিনী হুমায়ূন আহমেদ
চিত্রনাট্য হুমায়ূন আহমেদ
সংলাপ হুমায়ূন আহমেদ
সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা
সুরকার -
গীতিকার হাছন রাজা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , হুমায়ূন আহমেদ
সকল কলাকুশলী

অন্যান্য তথ্যাবলী

মুক্তির তারিখ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৪
ফরম্যাট ৩৫ মি.মি.
রং রঙিন
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

৮টি রিভিউ

  1. মুক্তিযুদ্ধের উপরে যে’কটা সিনেমা দেখছি তারমধ্যে অন্যতম তার বানানো ‘আগুনের পরশমণি’ (১৯৯৫)। লিস্ট করলে মুক্তিযুদ্ধের সেরা তিনটে সিনেমার মধ্যে একটা হবে।

    সংবেদনশীলতায় ঋদ্ধ একটি সিনেমা। ডিমোরালাইজড করা ট্রিপিক্যাল ভিলেন এই মুভিতে নাই। আসে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। যা মুক্তিযুদ্ধের নায়ককে ‘মিথিক’ পরিণতি দিয়েছে। যা হুমায়ুনের অনন্য অবদান।

    হুমায়ুন আহমেদের প্রথম সিনেমা। খুবই যত্মের সাথে ও সময় নিয়ে করা। চমৎকার ডিটেইলস। অংশের মধ্য দিয়ে সমগ্রকে ধরার চেষ্টা।

    সে চেষ্টায় তিনি সফল। দর্শকদের কাছে পেয়েছে সমাদর। বোদ্ধাদের কাছেও। পেয়েছে জাতীয় পুরষ্কার।

    এই সিনেমা বানানোর জন্য থাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সে কথাগুলো আছে তার ‘ছবি বানানোর গল্প’ বইতে।

  2. হুমায়ুন আহমেদের একটা বাতিক ছিল উনি রবীন্দ্রনাথকে ব্যপকভাবে ফলো করতেন এবং বিভিন্ন শব্দ রবীন্দ্রনাথ এর কাছ থেকে ধার করা। ‘আগুনের পরশমণি’ ও তার ব্যতিক্রম নয়।

    ছবিটা সর্বপ্রথম দেখি ১৯৯৬ সালে। ছালেহ আহমেদ ছবি থুতু দেন কেনো তখন তা বুঝি নাই।

    শীলা আহমেদ এর ডিম নিয়ে আঁকার কাহিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে।

    আসাদুজ্জাম নূর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা গেছেন এটা বুঝতে আমার বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম “উনি কি সত্যিই মারা গেছে ?”

    কাহিনি, ডায়লগ, দৃশ্যায়ন, সংগীত অনবদ্য।
    এতটা প্রাণবন্ত ছবি বাংলার ইতিহাসে খুব কম আছে বলে আমার ধারনা।

সব রিভিউ দেখুন

রিভিউ লিখুন

আরও ছবি