বাংলা সিনেমায় অনন্তের আগমন অনেকেই ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ করেনি। সেই থেকে আজ অবধি অনন্তকে নিয়ে সোশাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানা জায়গায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকদিন পর শাকিব খানের বাইরে ঢাকাইয়া বাণিজ্যিক সিনেমার আরেকজন নায়ক মধ্যবিত্ত তরুণদের আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে। আগে যেখানে কোন বাংলা বাণিজ্যিক সিনেমা নিয়ে আলোচনা ‘খোঁজ-দ্যা সার্চ’ করেও পাওয়া মুশকিল হত এখন সেখানে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো আলোচনা চোখে পড়ছে। আর ঠিক এখানেই অনন্তের গুরুত্ব। Continue reading
ক্যাটাগরী আর্কাইভঃ রিভিউ
ইভটিজিং – সামাজিক ব্যাধির চালচিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র
“চলচ্চিত্র দ্বারা কখনো সমাজ পরিবর্তন করা যায় না।” – সত্যজিত রায়
আজ সনি সিনেমাতে দুপুরের শো’তে ৩৫ টাকা দিয়ে ডিসি-তে বসে দেখে এলাম ‘ ইভটিজিং‘। “ইভিটিজিং মানে নারীদের উত্যক্ত করা। কিন্তু বিষয়টা এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে, এটা এখন একপ্রকারের নারী নির্যাতন” – এটা সিনেমার একটা সংলাপ। ঠিক এই লাইনটার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে গোটা ফিল্মটি। “লজিক এবং এন্টি লজিক” নিয়ে কাজ করেছে কাজী হায়াৎ। Continue reading
ভালোবাসা আজকাল: কুমিরের পিঠ খাজকাটা
ফাঁকিবাজ ছাত্র আর কুমিরের খাজকাটা পিঠ – গল্পটা জানেন? পরীক্ষায় যে বিষয়েই রচনা লিখতে বলা হোক না কেন – পিতা মাতার কর্তব্য, আমার প্রিয় শিক্ষক অথবা পলাশীর যুদ্ধ – ছাত্র ঘুরে ফিরে শেষ পর্যন্ত সেই খাজকাটা পিঠের অধিকারী কুমিরের রচনা লিখে দেয়। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তিনটি চলচ্চিত্রের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশী সফল পি এ কাজল পরিচালিত এবং শাকিব খান–মাহি জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা আজকাল’ একটি বিনোদনমূলক ‘কুমিরের পিঠ খাজকাটা’ চলচ্চিত্র। Continue reading
যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখা মিস করবেন না (৩য় পর্ব) – “নিরন্তর”
কাহিনী নেই, কাহিনী নেই বলে একটা হাহাকার লক্ষ্য করা যায় অনেক দর্শকের মধ্যে। পরিচালক আবু সাইয়ীদ যেনো দর্শকের সেই হাহাকারটা বুঝতে পারেন, তাই একের পর এক বানিয়ে চলেছেন ভিন্ন স্বাদের কিছু চলচ্চিত্র। তবুও, আমার মতে, দর্শকের অবহেলার শিকারই হয়েছেন তিনি – খুব বেশি ব্যবসাসাফল্য পায়নি তাঁর বেশিরভাগ চলচ্চিত্র। নামেমাত্র লভ্যংশই তুলতে পেরেছে তার মুভিগুলো। তবে একটা পরিতৃপ্তি হয়তো খুঁজে পেতে পারেন পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার আবু সাইয়ীদ – তাঁর বেশ কিছু মুভিই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিতে নিয়েছিলো সমালোচক পুরষ্কার। তাঁর পরিচালিত অসাধারণ প্রিয় মুভি “নিরন্তর” নিয়ে আলোচনা করবো এই পর্বে। Continue reading
যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র দেখা মিস করবেন না (দ্বিতীয় পর্ব) – শাকিব আর পূর্ণিমার “সুভা”।
সুভা – রবীন্দ্রনাথের এক চিরঞ্জীব গল্প “সুভাষিনী”র কেন্দ্রীয় চরিত্র। এর আগেও বাংলাদেশে এই গল্প নিয়ে নাটক হয়েছিলো ২ বার – প্রথমবার সুবর্ণা মুস্তাফা আর পরেরবার ঐন্দ্রিলা আহমেদ ছিলেন সুভা চরিত্রে। আর ২০০৬ সালে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী চাষী নজরুল ইসলাম এই গল্পটিকে তাঁর সিনেমার ফ্রেমে তুলে ধরেন।
অশ্লীলতার যে যুগটা – মোটামুটি ১৯৯৯ থেকে ২০০৬, এই সময়কালটাতে হলবিমুখতার কারণে অনেক চলচ্চিত্রই দর্শকের অবহেলার শিকার হয়েছিলো – অথচ সে চলচ্চিত্রগুলো সর্বকালের সেরা বাংলা চলচ্চিত্রগুলোর শর্টলিস্টে জায়গা পাওয়ার মত যোগ্যতা রাখে। অশ্লীলতা, বৈচিত্র্যহীন কাহিনী, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীদের অপেশাদারিতা – এসব অভিযোগ দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে অবমূল্যায়ণ করেন অনেক আধুনিক ও নতুনপ্রজন্মের দর্শকেরাও। বাংলা চলচ্চিত্রকে মূল্যায়ন করতে গেলে যে কয়টি মুভি দেখা অত্যাবশ্যক তার মধ্যে “সুভা” প্রথমদিকেই থাকবে। এই পর্বে আমি কয়েকটি মাত্রা দিয়ে আলোচনা করবো কেন এই মুভিটি বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পের জন্যে একটা মাইলফলক এবং দর্শকের জন্যে অবশ্যদ্রষ্টব্য। Continue reading
মন কেড়ে নিলো ‘পোড়ামন’
একটা ছবি মানুষ কেন দেখে ? ভাল লাগে তাই! যদি বলি খুব বেশি ভাল লেগে যায় তাহলে কি করে ? বার বার দেখে ।
মানুষ নাকি মুগ্ধ হতে পছন্দ করে । কিন্তু সে মুগ্ধতা যদি কষ্টের হয় ? বেদনার হয় ? তাহলে? বলছি মুগ্ধতার ছবি, স্তব্দতার শেষ বিন্দুতে পৌঁছে যাওয়ার ছবি ‘পোড়ামন’ এর কথা ।
নায়িকা বড় লোকের মেয়ে, নায়ক গরীবের সন্তান । দু’জনের মাঝে হলো প্রেম । প্রেমের বাধা খলনায়ক । অনেক ঘটনার ঘনঘটার পর হলো তাদের মধুর মিলন । অত:পর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো । Continue reading
আমরা সবাই আবদুর রহমান
আবদুর রহমান নামটা শুনলে আপনি চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু আপনি নিজেই তো আবদুর রহমান। সেই কথাটা আমরা শুনছি ‘জ্বী হুজুর’ চলচ্চিত্রেরর প্রধান নারী চরিত্র বান্টির মুখে। তার কথার মধ্যে ঠাট্টার সুর ছিলো বেশ। কিন্তু মানুষে মানুষে সমচেতনা জোরদারে কথাটা নিশ্চয় জোশ। জ্বী হুজুর পরিচালনা করেছেন ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে বেশ কটি বিভাগে পুরষ্কার জেতা ভালোবাসলে ঘর বাধা যায় না-র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন মাদ্রাসার ছাত্র নিয়ে একটা চলচ্চিত্র বানাবেন। সেটা গতানুগতিক মোল্লা ধারনার বাইরে। সেই দিক থেকে এই চলচ্চিত্র কৌতুহল তৈরির জন্য যথেষ্ট। এই চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন জাকির হোসেন রাজু নিজে। Continue reading
এইতো ভালোবাসা
সিনেমার মধ্যাহ্নে বিরতির ঠিক আগের দৃশ্যে রাণীর বাবার কাছে একটা ফোন এল, কথা বলতে বলতে তিনি চমকে উঠলেন, তার সাথে সাথে দর্শকের উৎকন্ঠাও বাড়ল – কারণ, রাণীর বাবার কথোপকথনের কিছুই দর্শক শুনতে পায় নি। ফোন রাখার সাথে সাথেই পর্দায় লেখা উঠল – বিরতি। বিরতির পরে কাহিনী কোন দিকে কড়া বাঁক নিতে পারে তা নিয়ে যখন ভাবছি – তখন শিমুল কানে কানে জিজ্ঞেস করল – ভাই, ট্রেলার দেখেই শেষে কি হবে বুঝে ফেলেছি, আপনাকে বলবো? ছবির ট্রেলার আমি দেখি নি, কিন্তু শিমুলের কাছ থেকেও শুনে সিনেমার মজা নষ্ট করতে চাই নি বলে জিজ্ঞেস করা হয় নি, কিন্তু আমি নিশ্চিত শিমুল সিনেমার শেষটা সম্পর্কে সঠিক ধারনা করতে পারে নি। শাহীন কবির টুটুল পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘এইতো ভালোবাসা’র সমাপ্তি এতটা অযৌক্তিক এবং সামঞ্জস্যহীন যে কোন দর্শক আগে থেকে তা ভেবে রাখতে পারবে না। Continue reading