সিনেমার ভুলঃ তুখোড়

তুখোড় একটি ভাল মেকিং সম্পন্ন ভিন্ন স্বাদের ক্রাইম থ্রিলার মুভি। মিজানুর রহমান লাবু পরিচালিত এই সিনেমার ছোট-বড় ৭টি ভুল আমদের চোখে পড়েছে…

১. মাফিয়া মেম্বার হিসেবে পুরো সিনেমাতেই আলীরাজ সাহেবকে সিগারেট মুখে নিতে দেখা গেছে। সম্ভবত তিনি বাস্তব জীবনে সিগারেট টানেন না। তাই এই সিনেমায় একাধিকবার মুখে সিগারেট টানলেও একবারও তার মুখ থেকে ধোঁয়া বের হয়নি। বাহ, ধোঁয়াবিহীন পরিবেশবান্ধব সিগারেট  :O Continue reading

একজন ও অনেক মান্নার গল্প

মান্না একটা নাম ঢালিউডে। নামটা একটা প্রতিষ্ঠান।যে প্রতিষ্ঠানে বহুমুখী চরিত্রে অভিনয়ের একটি টোটাল প্যাকেজ মিলেছিল। নায়ক ও অভিনেতা সত্তাকে অালাদা করার জন্য সুনির্দিষ্ট গুণ মান্না রেখে গেছে। তাকে বিশ্লেষণে তাই একজন পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র শিল্পীর বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় অনায়াসে।

এফডিসিভিত্তিক ‘নতুন মুখের সন্ধানে’-র মাধ্যমে টাঙ্গাইলের ছেলে মান্না বাংলাদেশী সিনেমায় অাসে। তাঁর ক্যারিয়ার পার্শ্ব থেকে প্রধান নায়ক পর্যন্ত ছিল। প্রথম দিকের সিনেমাতে মান্না যে ফ্লোর পেয়েছিল তার ভেতর একটা সৌভাগ্যের পরিবেশ ছিল। সে পরিবেশটি বাংলাদেশের সিনেমার সোনালি দিনের কিংবদন্তি তারকাদের সাথে কাজ করার সাথে সংযুক্ত। মান্না কাজ করেছে খান আতাউর রহমান অভিনীত ‘ছোট বৌ’ সিনেমায়। একজন খান অাতাউর রহমান যখন মান্নার মতো নিউকামারের সিনেমায় থাকে নিশ্চয়ই সেটি তার জন্য শেখার একটা বিরাট সুযোগ করে দিয়েছিল। এভাবে রাজ্জাক, অালমগীর, জসিম এই প্রথম সারির তারকাদের সাথে তাঁর কাজ করার সুযোগ ঘটেছিল। পেয়েছিল তাঁর সময়ের বাঘা বাঘা সব অার্টিস্ট হুমায়ুন ফরীদি, রাজিব, এটিএম শমসুজ্জামান, খলিল তাঁদের সাথে কাজ করার সুযোগ। নিজস্বতা প্রমাণ করেই পরে নিজের ইমেজ গড়েছিল। সেসব অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তীকালের অন্যতম সেরা নায়ক/অভিনেতা হিশাবে অলরাউন্ড পারফর্মার করে তোলে। Continue reading

বাংলাদেশি রম-কম ‘প্রেমী ও প্রেমী’ : চেষ্টা ও ফলাফল

প্রেমী ও প্রেমী
অভিনয় : আরিফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, আমজাদ হোসেন, রেবেকা ও আমান রেজা।
পরিচালক : জাকির হোসেন রাজু।
প্রযোজনা ও পরিবেশনা : জাজ মাল্টিমিডিয়া

গল্প : ছবির গল্প নিয়ে নতুন করে আর কি বলার আছে।জাজের ঘরে শুভর ছবি মানেই কোন না কোন হলিউড মুভি থেকে গল্প আসবে।অগ্নিতে কলাম্বিয়ানা কিংবা নিয়তিতে নোটবুক সাথে হান্ড্রেড ডেজ উইথ মিস্টার এরোগেন্ট (এটা অবশ্য কোরিয়ান) এর এডাপশন দেখেছিলাম। আর এটাতে গল্পকারের নাম আবদুল্লাহ জহির বাবু ওরফে মৌলিক বাবু দেখেই আগে থেকে ধরে নিয়েছিলাম এটা ইনসেপশনের মতো ওনার স্বপ্নে চুরি হয়ে যাওয়া কোন গল্পই হবে। আসলেই তাই। হলিউড মুভি “লিপ ইয়ারের” থিম (!) অনুসরণ করে ছবিটা বানানো।আসলে কতটুকু টুকলে সেটাকে শুধু “থিম কপি” বলে তা আমার জানা নেই। এনিওয়ে,এটা একটা রম-কম ঘরানার গল্প। হলিউড-বলিউডের মুভি যারা রেগুলার দেখেন তাদের কাছে এই গল্পটা টিপিক্যাল মনে হলেও আমার কাছে বাংলাদেশে এই টাইপ গল্পের চর্চার আইডিয়াটা দারুণই লেগেছে। Continue reading

শাহনাজ : আপন অালোয় কিছুক্ষণ

শাহনাজ আমাদের মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমার অন্যতম অভিনেত্রী। এহতেশাম দাদু যে ক’জন নায়িকাদের এনেছেন তারা কেবল নায়িকা হয়ে থাকেনি অভিনেত্রীর জায়গায় তাদের ডেডিকেশন প্রমাণ করেছে। শাহনাজ সেটা পেরেছে। তার সিনেমার পর্যায়কে ভাবলে একটা ঘাবড়ে যাবার বিষয় সামনে চলে অাসে। যখন তাকে নিয়ে লেখার চিন্তাটা করলাম একজন বলে বসল ‘শাহনাজ কিন্তু অশ্লীলতার জন্য বেশ সমালোচিত।’ তার মানে তাকে এত গুরুত্ব দেবার তেমন কিছু নেই তিনি বোঝালেন।এটাই সমস্যা। একটা সাব- অর্ডিনেট বিষয়কে পুঁজি করে একজন প্রতিভা দেখানো অভিনেত্রীর স্বর্ণসময়কে অস্বীকার করাও কোনো ভালোমানুষির পর্যায়ে পড়ে না। সে যাই হোক অাজকের শাহনাজ কথনে একটা নাতিদীর্ঘ ভূমিকা নিজের স্মৃতি থেকে বলা দরকার আর তার ভেতর থেকেই বেরিয়ে অাসবে তার সিনেমার অন্তরঙ্গ বিশ্লেষণ। Continue reading

ভালোবাসার এক ডজন সিনেমা

ভালোবাসা চিরন্তন। আর এই রূপটি বাংলা চলচ্চিত্রে এসেছে নানারূপে নানাভাবে। সেই সাদাকালো যুগের সেলুলয়েডের ফ্রেমে কিংবা রঙিন জগত থেকে হালের ডিজিটাল পর্দায় ধরা পড়েছে ভালোবাসা। বাংলা চলচ্চিত্রে ভালোবাসার সিনেমাগুলোর অন্যরকম আবেদন আছে। Continue reading

হুমায়ূন ফরীদির সেরা দশ

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা হারিয়েছি প্রিয় এ অভিনয়শিল্পীকে। অথচ তিনি আছেন আমাদের হৃদয়ে।

মঞ্চ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখলেও অভিনয়ের সবস্তরেই বিচরণ করেছেন এই গুণী অভিনেতা। আজ ফাল্গুনের প্রথম দিন। চারদিকে রঙ বেরঙের ছড়াছড়ি। অথচ এইসব রঙের মাঝে নেই একজন হুমায়ূন ফরীদি। মৃত্যুদিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তিনি অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সেইখান থেকে বাছাইকৃত সেরা দশ সিনেমা নিয়ে এই আয়োজন—

.দহন (১৯৮৫ ) : শেখ নিয়ামত আলীর চলচ্চিত্র দহন। এর আগে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও হুমায়ূন ফরীদির মূলধারার চলচ্চিত্রে এই সিনেমায় দিয়েই অভিষেক হয়।একজন বেকার যুবক,যার উপর পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে, প্রেমে পড়েন এক ধনীর আদুরে কন্যার। নিজের বেকারত্ব, সংসার, ভালোবাসা নিয়ে মানসিক টানাপোড়নে পড়া এই চরিত্রে হুমায়ূন ফরীদির অনবদ্য অভিনয় এখনো দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। প্রথম ছবিতেই অর্জন করেন বাচসাস পুরস্কার, ছবিটিও বিভিন্ন শাখায় জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। দর্শক-সমালোচক সবার কাছেই এই সিনেমা সমান প্রিয়। দহনে ফরীদির সহশিল্পী ছিলেন ববিতা, আসাদুজ্জামান নূর, আবুল খায়ের।

. একাত্তরের যীশু (১৯৯৩) : সাহিত্যিক শাহরিয়ার কবিরের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস অবলম্বনে নাসিরউদ্দিন ইউসুফের চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের যীশু’। এক খ্রিস্টান মিশনারিজের ফাদারের সহচর ছিলেন ডেসমন্ড। প্রধান চরিত্র পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ডেসমন্ড চরিত্রে হুমায়ূন ফরীদির অনবদ্য অভিনয় ছিল সিনেমাটির অন্যতম প্রাণ০। এই সিনেমায় জাতীয় পুরস্কার না পাওয়াই অনেক সিনেমাবোদ্ধাই হতাশা ব্যক্ত করেন।

. মাতৃত্ব (২০০৪) : একজন গ্রাম্য চোর, অনেকদিন পর স্ত্রী মা হবেন। অন্তসত্ত্বা স্ত্রীর জমানো টাকার উপর নজর পড়ে চোর স্বামীর। আর এই চরিত্রেই হুমায়ূন ফরীদি অভিনয় করেন জাহিদ হোসেনের ‘মাতৃত্ব’ ছবিতে। অনবদ্য অভিনয়ে পুরো ছবিতে হুমায়ূন ফরীদিই হয়ে উঠেন প্রধান আকর্ষণ।এই গুনী অভিনেতার একমাত্র জাতীয় পুরস্কার অর্জন এই সিনেমা দিয়েই। এই সিনেমায় উনার স্ত্রীর ভূমিকায় ছিলেন মৌসুমী।

. বিশ্বপ্রেমিক (১৯৯৫) : বাংলাদেশের প্রথম সাইকো থ্রিলার ছবি ‘বিশ্বপ্রেমিক’। পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের অন্যতম সেরা এই ছবিতে নাম ভূমিকায় সাইকো চরিত্রে অভিনয় করেন হুমায়ূন ফরীদি। বছরের অন্যতম এই ব্যবসাসফল এই ছবি দিয়েই বাণিজ্যিক জগতে হুমায়ূন ফরীদি অনন্য হয়ে উঠেন। এই সিনেমায় হুমায়ূন ফরীদির সহশিল্পী ছিলেন রুবেল, মৌসুমী ও সোহেল রানা।

. পালাবি কোথায় (১৯৯৭) : অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির প্রযোজক হয়ে আসেন এই সিনেমা দিয়ে। এক নারীলোভী ম্যানেজারের ভূমিকায় তিনি দর্শকদের বিমোহিত করেন। সিনেমাটির প্রধান চরিত্র তিনিই ছিলেন। শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত এই ছবিটি ব্যবসাসফল না হলেও পরবর্তীতে টিভিতে প্রচারের পর সিনেমাটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে, যা আজো এই জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। একটি তামিল সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত এই সিনেমায় হুমায়ূন ফরীদির বিপরীতে ছিলেন শাবানা, সুবর্ণা মুস্তফা ও চম্পা।

. ঘাতক (১৯৯৪) : মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়ে শহীদুল ইসলাম খোকনের সিনেমা ‘ঘাতক’। সিনেমার মূলশিল্পী শাবানা, আলমগীর, রুবেল ও লিমা। কিন্তু এদের কে ছাপিয়ে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেন হুমায়ূন ফরীদি। রাজাকার গোলাম আজমের অনুপ্রাণিত এই চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় সিনেমাটিকে বেশ জনপ্রিয় করে তোলে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে খল হিসেবে এই চরিত্রটি অনেক জনপ্রিয়। এই চরিত্রের জন্য ছবিটিকে প্রথমে সেন্সরবোর্ড আটকে দিলেও,পরবর্তীতে কিছু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে মুক্তি দেয়া হয়।

. ভণ্ড (১৯৯৮) : শহীদুল ইসলাম খোকনের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা ‘ভণ্ড’। আর এই সিনেমায় এক মুরগি চোরের চরিত্রে হুমায়ূন ফরীদির অভিনয় দর্শকদের মনে এখনো গেঁথে আছে। এই সিনেমায় হুমায়ূন ফরীদি ভিলেন রূপ ছেড়ে আসেন কমেডি চরিত্রে। এতেও পান দারুন জনপ্রিয়তা। বছরের অন্যতম এই ব্যবসাসফল ছবিটিতে হুমায়ূন ফরীদির সহশিল্পী ছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান, রুবেল ও তামান্না।

. লম্পট (১৯৯৬) : পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের সাথে হুমায়ূন ফরীদির রসায়ন বাংলা চলচ্চিত্রে অনন্য, পাশাপাশি নায়ক রুবেলের সাথে জুটিও ছিল বেশ জনপ্রিয়। তারই অন্যতম প্রমান ‘লম্পট’। জনপ্রিয় এই সিনেমাতে নাম ভূমিকায় ছিলেন হুমায়ূন ফরীদি। খল চরিত প্রধান করে পুরো ছবির কাহিনী উনাকে দিয়েই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

. মায়ের অধিকার (১৯৯৬) : ‘পিঁপড়া খাইল বড় লোকের ধন’ এই জনপ্রিয় সংলাপটি মায়ের অধিকার সিনেমার। শহীদুল ইসলাম খোকন ছাড়া বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে যার সাথে হুমায়ূন ফরীদির রসায়ন মিলত, তিনি এই সিনেমার পরিচালক শিবলী সাদিক। ব্যবসাসফল এই ছবিটির মূলশিল্পী সালমান শাহ, ববিতা, শাবনাজ ও আলমগীরের পাশাপাশি মামা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন হুমায়ূন ফরীদি। বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে খল চরিত্রের বাইরে পার্শ্ব হিসেবে এটি উনার অন্যতম সেরা চরিত্র।

১০. শ্যামল ছায়া (২০০৪) : একজন নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা, আরেকজন নন্দিত অভিনেতা। দুইজনেই মিতা, দুইজনই বন্ধু। আর এই দুইজনের প্রথম চলচ্চিত্রে মেলবন্ধন ঘটেছিল ‘শ্যামল ছায়া’ সিনেমায়। পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের সিনেমায় একজন গায়েন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেন হুমায়ূন ফরীদি। চরিত্রটি অত বড় না হলেও, গল্প অনুযায়ী বেশ গুরুত্ববহ ছিল। আর সেই মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রে ফরীদি সাহেব অনবদ্য অভিনয় সিনেমটিকে করেছে প্রাণবন্ত। বাস্তব জীবনে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় চরিত্রটির সাথে তিনি আরো গভীরভাবে মিশে গিয়েছেন। এই সিনেমায় হুমায়ূন ফরীদির সহশিল্পী ছিলেন রিয়াজ, শাওন ও তানিয়া আহমেদ।

উৎসর্গ হুমায়ূন ফরীদি

মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়
অতীতের থেকে উঠে এসে আজকের মানুষের কাছে
প্রথমত চেতনার পরিমাপ নিতে আসে
-মানুষের মৃত্যু হলে,জীবনানন্দ দাশ

কবি যা বলছেন তাতে একথা পরিষ্কার মৃত্যু সব মানুষের জীবনে এলেও কারো কারো জীবন এতটাই মহিমান্বিত হয়ে ওঠে যে মৃত্যু তাকে শুধু কেড়ে নিতে পারে যেখানে চোখের দেখাটা আর থাকে না কিন্তু মনের দেখাটা থাকে চিরদিন। একজন হুমায়ুন ফরীদি, কোথ্থেকে শুরু করব তাঁকে নিয়ে? ফরীদিকে নিয়ে বলতে গেলে কীভাবেই বা শুরু করতে হয় বোঝা মুশকিল। তারপরও শুরু করলাম নিজের মত করেই। খালি চোখে সামনাসামনি আমরা আর দেখতে পাই না প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদিকে। তিনি অসাধারণ,অপূর্ব। বিশ্বমানের অভিনেতা। তাঁকে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব। আমরা কী হারিয়েছি তা টের পাই তাঁর মৃত্যুর পরেই। অবশ্য আমাদের দেশে এমনটা নতুনও নয়। আমরা আগে হারাই তারপর আফসোস করি এটাই আমাদের চিরদিনের অভ্যাস। Continue reading

গুড রিমেক ‘প্রেমী ও প্রেমী’

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জাজ মাল্টিমিডিয়ার এবার পরিবেশনা ছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এবং আরিফিন শুভনুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমাটি। মূলত ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই সিনেমাটি নকলের অভিযোগে দুষ্ট ছিল।

সিনেমার কাহিনী একটি সরল প্রেমের গল্প, যেখানে প্রেমিকা ভালোবাসার মানুষকে নিজের মনের কথা বলার জন্য ৮ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ভালোবাসার মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য কলকাতার পথে রওনা দেয়। এরপর ঘটনাক্রমে আরিফিন শুভর সাথে দেখা হয়, তারপর এগুতে থাকে ঘটনাটি। Continue reading

মাহি কি জ্বলে উঠার আগেই নিভে গেল?

ক্যারিয়ার শুরু থেকেই যে বলতে হয়

২০১২

এই বৎসরেই মাহির অভিষেক সিনেমা “ভালবাসার রঙ” মুক্তি পায় এবং দর্শকের কাছে এতোটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে প্রযোজক শীশ মনোয়ার বলেছিল “সিনেমাটির আয় বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না কে ছাড়িয়ে গেছে”, যে সিনেমাকে দেশের সর্বচ্চ আয়ের সিনেমা বলা হয়। আসলে মাথামোটা লোক ছাড়া এমনটা বলা সম্ভব না, এমনটাই ভাবি আমরা কিন্তু প্রযোজক কি বোঝাতে চেয়েছিল? বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে। ওইসময় একটা টিকিটের দাম কতই বা ছিল? ভালবাসার রঙ বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ার কারন ছিল ‘সিনেমাটির প্রথম দিনেই আয় ছিল ২৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫৭৫ টাকা’। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী একদিনে এত টাকা বক্স অফিসে তুলার ইতিহাসে ভালবাসার রঙই প্রথম। যাই হোক, ২০০০ সনের আগের টাকার মান আর গত পাঁচ বছর আগের মান আকাশ পাতাল পার্থক্য তাই এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভাল। Continue reading

গোল্ডেন বাঁশ এ্যাওয়ার্ডস-২০১৬

সিনেমায় ভাল পারফরম্যান্সের জন্য সারাবিশ্বে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা বা পুরষ্কার। কিন্তু ১৯৮১ সাল থেকে আমেরিকায় সবচেয়ে বাজে সিনেমাগুলোকে পুরষ্কার দেওয়া শুরু হয়। এই পুরষ্কারের উদ্দেশ্য হলো নিম্নমানের সিনেমা বানাতে বা কাজ করতে নির্মাতা ও কলাকুশলীদের অনুৎসাহিত করা। হলিউডে দেওয়া এই পুরষ্কারের নাম Golden Raspberry Awards. এর দেখাদেখি ২০০৯ সালে ভারতে শুরু হয় Golden Kela Awards. আমাদের দেশেওতো কত আজেবাজে ছবি নির্মিত হয়। তাই ২০১৫ সাল থেকে আমরাও আমাদের দেশের সবচেয়ে বাজে সিনেমাগুলোকেও পুরস্কৃত করা শুরু করি। আমাদের ঢালিউডে এই পুরষ্কারের নাম দেওয়া হয়েছে Golden Baash Awards. Continue reading