যুদ্ধে পাক বাহিনীর দ্বারা লাঞ্ছিতা এক নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার আগে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে এক ডাক্তার দম্পতির কাছে রেখে যাওয়ার গল্প নিয়ে ‘মেঘের অনেক রং’ চলচ্চিত্র। Continue reading
ক্যাটাগরী আর্কাইভঃ ব্লগ
বাংলা মুভি ডাটাবেজ ব্লগ
আমি তোমার হতে চাই গতানুগতিক ধারার মোটামুটি ভালো ছবি
আবীর শহরের বড় গ্যাংস্টার। একদিন একটা ইন্সিডেন্টের ফলে মোবাইলে তার সাথে পরিচয় হয় শ্রেয়া নামের অসম্ভব মিষ্টি একটা মেয়ের। আবীর শ্রেয়ার প্রেমে পড়ে। শ্রেয়া যখন জানতে পারে আবীরের ছোট বেলায় গানের শখ ছিলো সে আবীরের গাওয়া গান ইউটিউবে ছেড়ে দেয়। আবীরের গান ইউটিউবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। একটা বিশেষ কারনে শ্রেয়া আবীরের সাথে সামনা সামনি দেখা করতে না চাইলেও আবীরের বার বার অনুরোধে শ্রেয়া আবীরের সামনে আসে। শ্রেয়া আবীরকে তার গ্যাংস্টার জীবন থেকে বেড়িয়ে এসে রকস্টার জীবনকে বেছে নিতে বলে। আবীর শ্রেয়ার কথা মতো তাই করে। তবে সে যখন জানতে পারে শ্রেয়া ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত এবং তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার তখন আবীর জীবনের জটিলতম পরিক্ষার সম্মুখীন। সৎ জীবনে টাকা নেই কিন্তু ভালোবাসা আছে, অসৎ জীবনে টাকা আছে ভালোবাসা নেই। আবীর কোন জীবনটা বেছে নিবে ? Continue reading
দেশপ্রেমিক : যে গল্পের প্রেক্ষাপট আজ আরও বাস্তব
কাজী হায়াৎ নামের বাংলাদেশের মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে একজন অসাধারন পরিচালক আছেন যা আজকের ডিজিটাল চলচ্চিত্রের তথাকথিত মেধাবী গোষ্ঠীর অনেক ডিজিটাল নির্মাতারা স্বীকারই করতে চান না। এই সকল নব্য মেধাবীরা মনে করে যে উনারা আজ যা দেখাচ্ছেন সেটাই মূলত চলচ্চিত্র আর কাজী হায়াৎ ও তাঁর সমমনা যারা ছিলেন তাঁরা সব বস্তাপোঁচা ছবি দেখিয়েছেন আমাদের !!! যা তাঁদের চরম মূর্খতার প্রমাণ দেয়। আমাদের নতুনধারার চলচ্চিত্রে এমনও কিছু নির্বোধ আছে যারা বলে ‘’ তখন (৮০/৯০ দশক) বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে ‘’So called মেধাবী‘’ ছিল যারা আসলে মেধাবী না ‘’যা শুনে হাসবো না কাঁদবো ভেবে পাইনা। যারা মনে করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র কিছু গতানুগতিক ফর্মুলার ছবি তাঁদেরকে বলবো দেশপ্রেমিক ছবিটা পারলে একটু দেখেন।
Continue reading
বিশ্বপ্রেমিক : মাস্টারপিস কমার্শিয়াল এক্সপেরিমেন্ট
‘I will do anything for love
I’ll never lie to you and that’s a fact’.
– Meat Loaf
ভালোবাসার জন্য সবকিছু করতে পারি অামি। এ মন্ত্র থেকে ভালোবাসা অার ভালোবাসার মানুষকে পেতে সবকিছু করতে রাজি এমন প্রেমিকের সিনেমা বিশ্বপ্রেমিক সিনেমার ট্যাগলাইনে meat loaf এর গানের প্রথম লাইন ব্যবহৃত হয়েছে। বিশ্বে প্রেমিক অনেক অাছে, সবাইকে অামরা চিনি না।নিজেদের দেখার মধ্যে অামরা যাদেরকে চিনতে পারি, জানতে পারি তাদের বৈশিষ্ট্য চেনা পরিচিতই লাগে। পরিচিত, অপরিচিত সব প্রেমিকই প্রেম পিয়াসী। সবাই প্রিয় মানুষের জন্য যার যার জায়গায় বিশ্বপ্রেমিক।
কলেজ জীবনে এক ছেলেকে দেখেছিলাম একটা মেয়ের জন্য হাত কেটেছিল। দরদর করে রক্ত ঝরে তার লাল হয়ে যাচ্ছিল মাটি কিন্তু সে এতটুকু অাহ, উহ শব্দ পর্যন্ত করছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিজের বিভাগের বড়ভাই সবুজের কথা শুনেছিলাম। সবুজ ভাই একদিন গো ধরলেন যে ডায়না অাপুকে অাজ বলতেই হবে উনি তাকে ভালোবাসেন কিনা। ছুটির পরেও বিভাগের ক্লাসরুমে ছিল সবুজ ভাই। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছিল তাও হলে যাবার নাম নেই। পরে স্যার বিষয়টা জানার পর ডায়না অাপুকে ডাকা হয়। ডায়না অাপু সব জেনে তার পারিবারিক সমস্যার কথা বলে। স্যার অাপুর মা-বাবার সাথে ফোনে কথা বলেন। তারা বলেন-‘স্যার, অাপনি যা ভালো মনে করেন তাই করুন। ‘স্যার ডায়না অাপুকে বললেন-‘ডায়না, তুমি সবুজের সাথে বন্ধুর মতোই থাকো।কথা বলো। পরে যদি তোমার ভালো লাগে তাকে সেটা তখন ভেবে দেখো। ‘ডায়না অাপুকে পরদিনই সবুজ ভাইয়ের সাথে রিকশায় ঘুরতে দেখা গেছে। প্রেমিকের কান্ডের কী অার শেষ অাছে! এরকম অনেক জানা-অজানা প্রেমিক মিলিয়ে প্রেমের অালাদা জগৎ রচনা করেই যে যার মতো বিশ্বপ্রেমিক হয়ে গেছে।
শহীদুল ইসলাম খোকন তাহলে একটা নিপাট রোমান্টিক সিনেমা বানিয়েছেন এমনটা ভাববেন যারা অাজও সিনেমাটি দেখেনি। যারা দেখেছে তাদের কথা ভিন্ন। কারণ, তারা একে শুধুই রোমান্টিক সিনেমা বলবে না।রোমাঞ্চের মধ্যে খোকনসাহেব মিশিয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত সাইকোপ্যাথ থ্রিলারের অামেজ। এ অামেজকে ব্যবহার করতে তাঁর দাবার গুটি মাস্টার অার্টিস্ট হুমায়ুন ফরীদি। সাইকোপ্যাথ কিলার অনেক দেখা যায় যাকে বাস্তবে ও সিনেমায় সিরিয়াল কিলাররূপে মেলে। বাংলাদেশে এরশাদ শিকদারের বর্বর সিরিয়াল কিলিং কিংবা নিকট অতীতে নসুর ঘটনাও স্মরণযোগ্য। নসু মেয়েদের ধর্ষণ করত তারপর হত্যা করত। বিশ্বপ্রেমিক সিনেমায় হুমায়ুন ফরীদি সাইকোলজির দিক থেকে হতাশ এক লোক। যার হতাশা তৈরির কারণ হিশেবে তার মা অন্যতম প্রধান কারণ। তার মা তার বাবাকে হুইল চেয়ার থেকে ফেলে দিয়ে মেরেছিল। মাকে তাই শত্রু ভাবে। তার অারো বড় শত্রু অাছে। এখানে পরিচালক খোকন ফরীদিকে দিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট করেন। সাইকোপ্যাথ কিলিং এ একটা সূক্ষ্ম উপাদান দিয়ে দেন সেটা হচ্ছে মেয়েদের গলার নিচে ‘তিল।’ ফরীদি বলে-‘ঐ তিল থাকা ভালো না। ওতে মেয়েরা নষ্ট হয়ে যায়। ওটা কেটে ফেলতে হয় নইলে পুরুষরা বারবার ঐ তিলের দিকে তাকাবে অার তোমার প্রতি কামবাসনায় পড়বে। ‘বৈজ্ঞানিক দিক থেকে কামবাসনাকে ফ্রয়েডীয় ভাষায় ‘eros’ বলে। এর জন্য নারী-পুরুষের অাকর্ষণ হয় পরস্পরের প্রতি। মূলত পুরুষ নারীর প্রতি অাকর্ষিত হয় বেশি এবং তা নারীর সৌন্দর্যের জন্য। সৌন্দর্যের একটা উপাদান সিনেমায় ‘তিল’-কে দেখানো হয়েছে অার ফরীদি সেটার জন্যই মেয়েদের ধরে অানে তিল কেটে নেবার জন্য। মেয়েরা বাধা দিলে খুন করে তিল কেটে নেয় তারপর জমায়। এই স্টোরি টেলিংকে যদি কেউ উদ্ভট ভাবে তবে সেটা ভুল হবে অাবার ঠিকও হবে। কারণ উদ্ভট বা ‘absurdity’ সাইকোপ্যাথের বিষয়। উদ্ভট অাচরণ সাইকোলজির সমস্যা থেকেই অাসে। এই সাইকোপ্যাথ থ্রিলিং খোকন সাহসীভাবে করেছেন যার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অাছে। কমার্শিয়াল এক্সপেরিমেন্টে খোকন সেদিক থেকে তাঁর সময়ের থেকে অাধুনিক ছিলেন।
হুমায়ুন ফরীদি কলেজের বড়ভাই। টিচারকে সালাম দিলে টিচারই উল্টো লজ্জিত হয়ে বলে-‘কেন লজ্জা দিচ্ছেন বড়ভাই। অাপনি অামার দু’বছরের সিনিয়র ছিলেন। ‘এসময় ফরীদি বলে-‘ছোকরার স্মরণশক্তি অাছে’। নির্মল কমেডির কাজটাও ফরীদি করেছেন।রোমান্টিক অাবহটা রুবেল মৌসুমীকে দেখার পর শুরু হয়। প্রেমের প্রস্তাব দিলে ফিরিয়ে দেয়। রুবেল হাল ছাড়ে না। কলেজ ক্যাম্পাসে, টেলিফোনে বিরক্ত করতেই থাকে।ড্রাইভার সাজে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিশেবে ভেসে অাসে ‘i will do anything for love’ গানের লাইন”। মৌসুমীর মন গলে না উল্টো রুবেলকে শায়েস্তা করতে গুণ্ডা ভাড়া করে কিন্তু কাজ হয় না মার্শাল অার্টের দক্ষ নায়কের কাছে। রুবেলের ব্রেইন টিউমারের খবরটা মৌসুমীকে দেয় সোহেল রানা। ছয় মাস অার বাঁচবে শুনে মৌসুমীর মন গলে। তারপর প্রেম এবং বিয়ে।
সিনেমায় রোমাঞ্চ ও থ্রিলারের মাঝে সংযোগটা অানতে শহীদুল ইসলাম খোকন হুমায়ুন ফরীদিকে রাখেন ট্রাম্পকার্ড হিশেবে। ফরীদিকে মৌসুমী মিথ্যে করে বলে যে তাকে বিয়ে করবে, তার বাবার সাথে দেখা করতে। মিষ্টি নিয়ে বাসায় হাজির হয়ে নিজেকে পাত্র পরিচয় দেয়। মৌসুমীর বাবা খলিল মেজাজ করে অার মৌসুমী শুনে হাসিতে লুটোপুটি খায়। ফরীদির শত্রুতা তখন রুবেলের সাথে কারণ মৌসুমীর প্রেমিক অার রুবেল বাঁচবে অল্পদিন সেটা প্লাস পয়েন্ট তার জন্য। এর মধ্যে ফরীদি নিজের চাকর বাবর শেঠের বউকে খুন করে তিল থাকার কারণে।রুবেলের অপারেশনের সময় মৌসুমীর গলার নিচে তিল দেখতে পায় ফরীদি।অতঃপর ফাইনাল টার্গেট মৌসুমী।ঘরে অাটকে রেখে তিল কাটতে চায়। ফরীদির মা মৌসুমীকে ছেড়ে দিলে মাকে খুন করে। মাকে খুন করার মাধ্যমে সাইকোপ্যাথের কিলিং মিশনে চূড়ান্ত দিকটা ধরা পড়ে যে এরা যে কাউকে খুন করতে পারে। মৌসুমীকে খুনের চেষ্টা করলেও সোহেল রানা সবাইকে জানায় ফরীদি মানসিক রোগী। রুবেল উদ্ধার করে মৌসুমীকে অার ফরীদি অাত্মহত্যা করে।সাইকোপ্যাথরা নিজেকে শেষ করে নতুবা অন্যকে।
এ সিনেমার শক্তিশালী প্রেজেন্টেশন হলো ভিলেনকে নায়কের চেয়ে প্রেজেন্টেবল করা এবং খোকনসাহেব তা পেরেছেন। হুমায়ুন ফরীদিকে দিয়ে তাঁর কমার্শিয়াল সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনয় অাদায় করে নিয়েছেন। তিল কাটার সময় ফরীদি যেমন নৃশংস অাবার মৌসুমীর বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ততটাই রোমান্টিক। রোমাঞ্চে ডুবে গাওয়া বিখ্যাত সেই গান ‘তোমরা কাউকে বোলো না’ একটা মাইলফলক গড়েছে বাংলাদেশের টোটাল সিনেমায়।এরকম গান অার একটাও নেই। গানে ফরীদির ঘাড় পর্যন্ত লাল চুল, মনোহর নাচ অার অসম্ভব সুন্দর সব রোমান্টিক এক্সপ্রেশন মুগ্ধ করে।মুগ্ধ করে তার কো-অার্টিস্ট মৌসুমীর অনবদ্য কস্টিউম, গ্ল্যামার অার স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়। গ্রেট প্রেডাক্ট তৈরিতে এ গানে ভিলেন-নায়িকার ব্যতিক্রমী কেমিস্ট্রি সিনেমাটিকে অনেকদূর এগিয়ে দিয়েছে এবং অাজ পর্যন্ত স্মরণীয় করেছে। মৌসুমী-রুবেলের খুনসুটি জমজমাট ছিল। প্রেম ও বিয়ের পর রুবেল একদিন অনেক রাতে জেগে থাকা মৌসুমীকে শুয়ে পড়তে বলে।মৌসুমী বলে -‘তুমি ঘুমাবে না?’ রুবেল বলে-‘অামি তো গভীর ঘুমে তলিয়ে যাব।’ মৌসুমী চমকে ওঠে। এভাবে স্যাড ভার্সনের পার্টও সিনেমায় বড় ভূমিকা রেখেছে।ফরীদি, রুবেল ও সহশিল্পীদের পারফর্ম করা ‘এ কী কথা শুনাইলি রে’ গানটি এনজয়অ্যাবল। এছাড়া ‘শিখা অামার শিখা’ অসাধারণ অার একটা রোমান্টিক গান। মৌসুমী হেলিকপ্টারে করে রুবেলকে প্রপোজ করতে অাসার সিকোয়েন্সটি দুর্দান্ত। পরিচালক রোমাঞ্চ, সাইকো থ্রিলিং এবং কমার্শিয়াল সিনেমার অন্য সব দিক ব্যালেন্স করে সিনেমাটিকে ওভারঅল উপভোগ্য করেছেন। স্পেশালিটি থেকে এক্সপেরিমেন্টের বিষয়গুলো উপভোগ্য ফুল প্যাকেজ করেছে এবং সেভাবেই বিশ্বপ্রেমিক কমার্শিয়াল মাস্টারপিস।
বিশ্বপ্রেমিক মনে মনে সবাই।সবাই চায় প্রিয়জন ভালো থাকুক। তাই বলা কর্তব্য ‘পৃথিবীর যাবতীয় প্রেমিক-প্রেমিকারা ভালো থাকুক।’
পোস্টার কৃতজ্ঞতা :
সানোয়ার সানু ও মোঃ সাইফু্ল
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৬-১৯৯৮)
১৯৯৬ : এই বছর সেরা চলচ্চিত্র সহ মোট ১৩ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়
গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’ দর্শন
গৌতম ঘোষ পরিচালিত শঙ্খচিল-এর শুরুতে দেখা যায়, বিজিবি কর্মকর্তার সঙ্গে এক সাংবাদিক ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নিয়ে ঠাট্টা করছেন। বিএসএফের গুলিতে নিহত কাঁটাতারে ঝুলতে থাকা বাংলাদেশির খবর সংগ্রহে এসেছেন সাংবাদিক। বিএসএফ কর্মকর্তার জবানিতে এ হত্যাকান্ডের কারণ হলো ‘ব্লাডি হিস্ট্রি’, মানে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার ভাগাভাগি। এটাও কি সম্ভব? Continue reading
মরণের পরে : যে সিনেমা দেখা কর্তব্য
একজন নির্মাতা ও অভিনেতা অাজহারুল ইসলাম খান-কে অামরা অনেকেই চিনি। বলা ভালো তাঁকে দেখতে দেখতে অভ্যস্ত। আদালতের জজ সাহেব বা পুলিশের বড়কর্তা হিশেবে প্রায়ই চোখে পড়ে তাঁকে। সেই অভিনেতা যে এক সিনেমাতেই ঢালিউডে অালাদা একটা ইতিহাস করে ফেলবেন তা কে জানত! তিনি নির্মাণ করলেন সাড়া জাগানো সিনেমা ‘মরণের পরে।’
চোখে ভাসে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্রের কথা বলা হলেই আমাদের মনে যে নামগুলো ভেসে ওঠে- হাঙ্গর নদী গ্রেনেড তার মধ্যে নেই। ওরা ১১ জন, আলোর মিছিল, আগুনের পরশমনি; এ কালজয়ী ছবিগুলোর মাঝে কেন যেন হারিয়ে যায় ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’। তা যাক, কিন্তু কখনও যদি জানতে ইচ্ছে করে সেই মায়ের কথা, যিনি দেশের জন্য সন্তানকে বিসর্জন দিতে পারেন, এ আত্মত্যাগ কতটুকু স্বার্থহীন হতে পারেন তাহলে দেখতে হবে ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’। Continue reading
ট্রেলার : পৃথিবীর নিয়তি
আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে শেখ শামীম পরিচালিত চলচ্চিত্র পৃথিবীর নিয়তি। অ্যাকশন হিরো রুবেল ছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছে রাশেদ মোর্শেদ, সানজানা, রাবিনা বৃষ্টি, সিরাজ হায়দার, আমির সিরাজী, রেশমি এলোন প্রমুখ। অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এই ছবিটি সারাদেশের প্রায় বিশটি হলে মুক্তি পাচ্ছে। ইউটিউবে ছবিটির দীর্ঘ ছয় মিনিটের ট্রেলার পাওয়া যাচ্ছে। বিএমডিবি-র পাঠকদের জন্য এখানে যুক্ত করা হল।
পাগলা বাবুল : যে সিনেমা অাজও অপরিহার্য
দেশটা কেমন চলছে?
সরকার দলীয়রা বলবে-‘খুব ভালো চলছে। বিরোধী দল বলবে-‘অামাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সাধারণ জনগণ যা বলতে চায় সেটা বলতে পারবে না। জনগণ সবচেয়ে অসহায়, তাদের কাজ দেশে যাই হোক শুধু দেখে যেতে হবে।
কাজী হায়াৎ তাঁর বাণিজ্যিক সিনেমা নির্মাণের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছেন রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে। তাঁর এ সিনেমাগুলো ছিল প্রতিবাদের ভাষা। সে ভাষার প্লট থাকত সমাজের চলমান নানা সমস্যা যার মধ্যে রাজনীতি প্রধান উপাদান। Continue reading