কয়েক দিন আগে ফেসবুকে শেয়ার করা একটি পোস্টার দেখে খানিক মজা পাই। সাদা-কালো সিনেমার রঙিন পোস্টার— এটাই মূল কারণ নয়, তবে অন্যতম। পেছনে হালকা সবুজের আবহে হাতে আঁকা রহমান-শবনমের ছবি দিয়ে পোস্টারটি করা। এটি ঢাকায় নির্মিত উর্দু চলচ্চিত্র ‘দর্শন’ এর পোস্টার। এ ‘দর্শন’ হয়ত ফিলোসফি অর্থে নয়, ‘দেখা’ অর্থে! সাধারণ দৃষ্টিতে যা দেখা যাবে, তা-ই এ লেখার মূল উপজীব্য। Continue reading
লিখেছেনঃ ওয়াহিদ সুজন
ইচ্ছেশূন্য মানুষেরা হয়ত বা ইচ্ছের কিছু অর্থ তৈরী করে, নয়ত পরম শূন্যতায় অথবা শূন্যতা তাদের তাড়িয়ে নিয়ে যায় দূর কোন সমুদ্দুরে- তারা নিরন্তর সাতার কাটে। যুগপৎ প্রতিকূল-অনুকূল স্রোতে কিছু ইচ্ছে টিকে থাকে আর কিছু হারিয়ে যায় নিকষ বাসনার সমুদ্দুরে।
‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ ও ‘আলাদিন আলিবাবা সিন্দাবাদ’
আমি আর শাফায়াত ইবনে কামাল ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ দেখতে গেছিলাম। বছর দুয়েক বা তিনেক আগে রোজায়, স্টার সিনেপ্লেক্সে। মুভিটা আমার ভালো লাগে নাই। এতো এতো সুপারহিরো একসঙ্গে, আগে না জানা সত্ত্বেও অবাক লাগে নাই। ও আমারে সান্তনা দিতেছিল আগে ক্যাপ্টেন আমেরিকা দেখি নাই— তাই এ অবস্থা। আমার কাছে আয়রন ম্যান ছিল বিরক্তকর। থর একদম সেকেলে ব্যাপার। একমাত্র মজায় পাইছিলাম হাল্ককে দেখে। রেগে গেলে কী কিউট দেখায়। Continue reading
বিচিত্র নারী বিচিত্র ১০ বাংলা ছবি
ঢাকাই চলচ্চিত্র ইতোমধ্যে অর্ধশত বছরপার করেছে। এর মধ্যে নির্মিত হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্র। পুরুষতান্ত্রিকতার দাপটে নারীর বিচিত্র রূপ চলচ্চিত্রে খুব কমই দেখা গেছে। বরং প্রচলিত মনোরঞ্জনের দিকটি বেশি স্থান পেয়েছে চরিত্রায়নে। নারীর নিজস্ব অনুভূতির অনুরণন খুব একটা আলো ছড়ায়নি রূপালী পর্দায়। Continue reading
এক ঝলক বৃহন্নলা
‘বৃহন্নলা’ চলচ্চিত্রটির কাহিনী রাজবাড়ী জেলার কোনো একটি গ্রামের সরকারি খাসজমিকে কেন্দ্র করে। পতিত ওই জমিতে একটি বটগাছ আছে। রহস্যময় গাছটির সংস্পর্শে এসে একটি ছাগল ও তিন জন মানুষ মারা যান! সে জমিতে স্থানীয় মসজিদ কমিটি মসজিদ বা ঈদগাহ বানাতে চায় এবং মন্দির কমিটি মন্দির বানাতে চায়। এ নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাস, প্রেম, দ্বন্দ্ব, মৃত্যুর সমাবেশ ঘটেছে ছবিতে। Continue reading
এখন সম্ভব নয় ‘জীবন থেকে নেয়া’
কয়েকজন নারী আর একটি চাবির গোছাকে নিয়ে গল্পকে মনে হতে পারে একটি সাধারণ পরিবারের গল্প। সে গল্পও হয়ে উঠতে পারে একটি রাষ্ট্রের গল্প। তেমনই একটি চলচ্চিত্র ১৯৭০ সালে নির্মিত জহির রায়হান পরিচালিত ‘জীবন থেকে নেয়া’। একটি পরাধীন দেশ কিভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়- এটি সেই গল্প। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ছবিটি নির্মিত হয়েছে পরাধীন সময়ে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যে কজন তরুন প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে কারাবরন করেছিলেন- জহির রায়হান তাদের একজন। সেই আন্দোলনকে নিয়ে লিখেছিলেন ‘পোস্টার’ নামে একটি গল্প ও ‘আরেক ফাগুন’ নামের উপন্যাস। ইচ্ছে ছিল ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নামে ছবি নির্মাণের। সে ছবির জন্য একটি পোস্টারও ডিজাইন করেছিলেন। কিন্তু সরকারের বাধার কারণে তা হতে পারেনি। Continue reading
কবরীর কথা..
এক.
অভিনয়ের পঞ্চাশ বছর পার করছেন অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। তিনি মিষ্টি হাসির মেয়ে নামে পরিচিত।বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তার আলাদা স্থান রয়েছে। এটাই স্বাভাবিক যে, তার অভিনয় প্রতিভা নিয়ে খুব একটা কথা শোনা যায় না। সাদামাটা চেহারার এমন সিগ্ধ হাসি আছেই বা কয় জনের। সেই উদাহরণে পরে আসি।
বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকা প্রসঙ্গে আসলে আরো দুইজনের কথা বলতে হয়। আসলে এমন হতে পারে এই দুইজনের প্রভাবে কবরীর আলাদা অবস্থানটা চোখের আড়ালেই থেকে গেছে। কিন্তু সেই বলয়ের বাইরে কবরীর সংগোপন আলাদা একটা অবস্থান ও গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। Continue reading
চলে গেলে কি হয়!
বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রজ অভিনেতা আনোয়ার হোসেন অতিসম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন। তাকে বলা হয় মুকুটহীন নবাব। এটা বোধকরি আমাদের সবার জানা আছে। তা সত্ত্বেও, আমরা এই সময়ের দর্শকেরা তার সম্পর্কে খুব একটা ধারণা রাখি না বা তার শেষদিকের ছবিগুলো আমাদের বড় ধারণা দেয় না। এটা হতে পারে এই ইন্ড্রাস্টিতে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেয়ার ট্রাজেডি অথবা আপন খামখেয়ালী। তা সত্ত্বেও সীমিত অনুসন্ধানে তার কিছু ভালো কাজের সন্ধান পেতে পারি এখনো। এছাড়া তার সম্পর্কে জানা আগ্রহ কমেছে এমন না। এসব বিষয়ের খুবই সামান্যের উপর আলো ফেলার চেষ্টা করব এই লেখায়। Continue reading
বড় ভালো লোক ছিল
‘বড় ভালো লোক ছিল’ ১৯৮২ সালের মুভি। পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। আমি ২০০১ সালের দিকে টিভিতে দেখেছি। ম্যালা বছর। এর আগে থেকে এই সিনেমার একটা গান মুখে মুখে খুবই শুনেছি। আপনারাও নিশ্চয় শুনেছেন। বাংলাদেশি সিনেমার ক্লাসিক গানগুলোর একটি- ‘হায়রে মানুষ রঙের ফানুস…’। Continue reading
আমরা সবাই আবদুর রহমান
আবদুর রহমান নামটা শুনলে আপনি চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু আপনি নিজেই তো আবদুর রহমান। সেই কথাটা আমরা শুনছি ‘জ্বী হুজুর’ চলচ্চিত্রেরর প্রধান নারী চরিত্র বান্টির মুখে। তার কথার মধ্যে ঠাট্টার সুর ছিলো বেশ। কিন্তু মানুষে মানুষে সমচেতনা জোরদারে কথাটা নিশ্চয় জোশ। জ্বী হুজুর পরিচালনা করেছেন ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে বেশ কটি বিভাগে পুরষ্কার জেতা ভালোবাসলে ঘর বাধা যায় না-র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন মাদ্রাসার ছাত্র নিয়ে একটা চলচ্চিত্র বানাবেন। সেটা গতানুগতিক মোল্লা ধারনার বাইরে। সেই দিক থেকে এই চলচ্চিত্র কৌতুহল তৈরির জন্য যথেষ্ট। এই চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন জাকির হোসেন রাজু নিজে। Continue reading