৯০ দশকের শুরুর দিকে বলিউডের হিন্দি চলচ্চিত্রে অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র, ঋষিকাপুর, মিঠুন চক্রবর্তীদের মতো পুরাতন মুখগুলোর পাশাপাশি বলিউড ও এই দেশের দর্শকরা পেয়েছিল আমির খান, সালমান খান, রাহুল রায়, অজয় দেবগন, জুহি চাওলা, মাধুরী দিক্ষিত, দিব্য ভারতী’র মতো একবারে নতুন টগবগে তরুণ মুখগুলো। কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমার দর্শকরা তখনও রাজ্জাক, আলমগীর, সোহেল রানা, জসিম,ইলিয়াস কাঞ্চন, জাফর ইকবালদের মতো একই মুখগুলো ঘুরে ফিরে বারবার দেখতে দেখতে ক্লান্ত হচ্ছিল। Continue reading
লিখেছেনঃ কবি ও কাব্য
আমি ফজলে এলাহী পাপ্পু, কবি ও কাব্য নামে লিখি। স্বর্ণযুগের বাংলাদেশী চলচ্চিত্র এবং বাংলা গানকে এ যুগের সকলের কাছে পৌছে দেয়ার আগ্রহে লিখি।
দেশপ্রেমিক : যে গল্পের প্রেক্ষাপট আজ আরও বাস্তব
কাজী হায়াৎ নামের বাংলাদেশের মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে একজন অসাধারন পরিচালক আছেন যা আজকের ডিজিটাল চলচ্চিত্রের তথাকথিত মেধাবী গোষ্ঠীর অনেক ডিজিটাল নির্মাতারা স্বীকারই করতে চান না। এই সকল নব্য মেধাবীরা মনে করে যে উনারা আজ যা দেখাচ্ছেন সেটাই মূলত চলচ্চিত্র আর কাজী হায়াৎ ও তাঁর সমমনা যারা ছিলেন তাঁরা সব বস্তাপোঁচা ছবি দেখিয়েছেন আমাদের !!! যা তাঁদের চরম মূর্খতার প্রমাণ দেয়। আমাদের নতুনধারার চলচ্চিত্রে এমনও কিছু নির্বোধ আছে যারা বলে ‘’ তখন (৮০/৯০ দশক) বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে ‘’So called মেধাবী‘’ ছিল যারা আসলে মেধাবী না ‘’যা শুনে হাসবো না কাঁদবো ভেবে পাইনা। যারা মনে করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র কিছু গতানুগতিক ফর্মুলার ছবি তাঁদেরকে বলবো দেশপ্রেমিক ছবিটা পারলে একটু দেখেন।
Continue reading
বিপ্লব : যে সিনেমা আজ কেউ বানাতে পারবে না
আমাদের বাংলা চলচ্চিত্র নাকি আজ গল্পের শূন্যতায় ভুগছে !!! আজকের বর্তমান সময়ের প্রযোজক পরিচালকরা উপভোগ্য কোন গল্পের সিনেমা বানাতে পারেনা। অথচ আজ থেকে ২৬ বছর আগেও আমরা কত দারুন দারুন সব গল্পের দুর্দান্ত সব সিনেমা দেখেছিলাম । নিচের ছবিতে তেমনই একটি দুর্দান্ত সিনেমার বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং দেখতে পাচ্ছেন যার নাম ‘’বিপ্লব’’। পেপার কাটিংটা দেখে ২৬ বছর আগের স্মৃতিগুলো জ্বলজ্বল করে উঠছে আমার । Continue reading
মতিন রহমানের ‘রাঙা ভাবী’ : যে গল্পের ছবি আজ হয় না
১৯৮৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন সেই বছরে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের দারুন একটি বছর ছিল। পুরস্কারের তালিকায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মূলধারার বাণিজ্যিক বিনোদনধর্মী ছবির জয় জয়কার। সেই বাণিজ্যিক ছবির জোয়ারে আলমগীর ও শাবানা’ দুই অভিনেতা অভিনেত্রীর সত্য মিথ্যা, ক্ষতিপূরণ, রাঙাভাবী, ব্যথার দান’র মতো একাধিক জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত ছবির লড়াই। আজ সেই ১৯৮৯ সালের একটি দর্শক নন্দিত ছবির কথা সংক্ষেপে বলছি। Continue reading
মাসুদ করিমঃ বাংলা গানের অমর গীতিকবি
এরশাদ সরকারের আমলে [সম্ভবত ১৯৮৭/৮৮] এক ঈদে বিটিভিতে দেশসেরা কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রচার হবে। আমরা সবাই টেলিভিশনের সেটের সামনে উপস্থিত। অনুষ্ঠান শুরু হলো ‘’যখন থামবে কোলাহল/ ঘুমে নিঝুম চারিদিক’’ শিরোনামে একটি অদ্ভুত সুন্দর রোমান্টিক গান দিয়ে। সুবল দাসের সুর করা ও রুনার পাগল করা কণ্ঠে গানটি সেদিনই মনের ভেতর গেঁথে যায়। সেই অনুষ্ঠানে রুনা ১০ টি গান পরিবেশনা করেছিলেন যার মধ্য ‘’শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’’ শিরোনামে আরেকটি গান ছিল। সেই অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তার কারণে পরবর্তীতে ঐ গানগুলো ‘’ যখন আমি থাকবো নাকো’’ শিরোনামে একটি অডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন । সেই প্রথম মাসুদ করিম নামে একজন গীতিকারের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল ‘যখন থামবে কোলাহল’ গানটির জন্য। এর আগেও বিভিন্ন চলচ্চিত্রের টাইটেলে ‘গীতিকার মাসুদ করিম’ নামটি দেখেছিলাম তবে চলচ্চিত্রের সেই মাসুদ করিমই যে রুনার গানটির গীতিকার বুঝতে পারিনি। Continue reading
আরেকজন তোজাম্মেল হক বকুল পেলো না বাংলা চলচ্চিত্র
ছবিতে শীতল পাটির উপর নান্দনিক যে পোস্টারটা দেখছেন সেটা আজ থেকে ২২ বছর আগের বাংলা বাণিজ্যিক ছবির একটি পোস্টার। পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ইতিহাস গড়া ‘’বেদের মেয়ে জোছনা’’ ছবি দিয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন। পোস্টারটি হলো সেই তোজাম্মেল হক বকুলের ৯০ দশকের একটি ব্যবসাসফল ছবি ‘’বালিকা হলো বধূ’’র পোস্টার। Continue reading
গাজী মাজহারুল আনোয়ারঃ একজন ‘বাংলাদেশী’ ও একটি ‘প্রতিষ্ঠান’এর নাম
‘গাজী মাজহারুল আনোয়ার’ এই নামটি শুনেনি বাংলাদেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাংলা গান ও চলচ্চিত্রের এক জীবন্ত কিংবদন্তী’র নাম গাজী মাজহারুল আনোয়ার। যিনি ২১ হাজার গানের স্রস্টা ও আমাদের বাংলা গানের সর্বকালের সেরা গীতিকারদের একজন । একজন স্বনামধন্য কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালকও । Continue reading
যৌথ প্রযোজনার ছবি গাছে ধরে!
ইদানিং ”যৌথ প্রযোজনা”র চলচ্চিত্র যে হারে মুক্তি পাচ্ছে তা দেখে মনে হয় যৌথ প্রযোজনার ছবি গাছে ধরে যা ঝাঁকা মারলেই মাটিতে পড়ে। আবার এটাও শুনি যে এখন যৌথ প্রযোজনার নামে নাকি যৌথ প্রতারণা চলছে। অথচ এই গাছে ধরা যৌথ প্রতারণা করার সুযোগ আজ কে বা কারা করে দিচ্ছে সেটা নিয়ে কেউ কিছু বলেনা। Continue reading
একজন সোহেল রানা
আমরা যারা সিনেমা হলে বাংলা ছবি দেখার পাগল ছিলাম তাদের কাছে ‘মাসুদ পারভেজ’ ও ‘সোহেল রানা‘ নাম দুটি খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয়। এই নাম দুটি একটি মানুষেরই যাকে সবাই অভিনেতা সোহেল রানা নামে চিনেন। স্বাধীনতার পর বাংলা চলচ্চিত্র যে কজন তারার আলোয় আলোকিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে অন্যতম এক নক্ষত্রের নাম ‘মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা’। প্রযোজনা, পরিচালনা ও অভিনয় তিন ক্ষেত্রেই সফল একজন এই সোহেল রানা। বাংলা চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ”পারভেজ ফিল্মস” এর কর্ণধার এই সোহেল রানা । Continue reading