জায়েদ খান (Jayed Khan) ২০০৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানে প্রথম নির্বাচিত হওয়ায় চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে এর আগেও ঢালিউডে নামী দামী নায়ক-নায়িকারা চলচ্চিত্রে আসেন। জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রে ব্রেক দেন প্রযোজক মাহমুদ হক শামীম। তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে বরেণ্য পরিচালক মহম্মদ হাননান এর ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবির মাধ্যমে।
প্রথম দিকে জায়েদ খান সহ-নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাংলা ভাই’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। এ বছর থেকেই চলচ্চিত্রে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পায় জায়েদ খানের এবং তিনি নায়ক চরিত্রে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হতে থাকেন। তাঁর অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘জমিদার বাড়ির মেয়ে’, ‘নাগনাগিনীর স্বপ্ন’, ‘পাপের প্রায়শ্চিত্ত’, ‘মন ছুঁয়েছে মন’, ‘রিকসাওয়ালার ছেলে’, ‘কাজের মানুষ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নিজের অবস্থান তৈরীর জন্য জায়েদ খান অনেক পরিশ্রম করেন। বিশেষ করে, বাংলা ভাই চলচ্চিত্রে ডামি ব্যবহার না করেই তিনি বেশ কিছু ঝুকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে ‘লাভ ইন মালয়েশিয়া’ নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি সমুদ্রে পড়ে যান। পরে তাকে হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করা হয়।
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অশ্লীলতা এবং নকলের দায়ে অভিযুক্ত ‘দাবাং’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণে বেশ সমালোচিত হন জায়েদ খান। সমালোচনার প্রতিবাদ করে জায়েদ খানের ফেসবুক স্ট্যাটাস বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমি দাবাং মুক্তির পর দুই-তিন দিন ধরে দেখছি ছবিটির পোস্টার ও ট্রেলার নিয়ে বিভিন্নজন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাছে। কিন্তু আমি জায়েদ খান বলছি, এ ছবিতে আমি কোন অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করিনি। ছবিটির গল্প যখন আমাকে শোনানো হয় তখন গল্পটি ভালো ছিল এবং আমি ভালো দৃশ্যে আমার চরিত্রটিতে অভিনয় করি। পরে এ ছবিটির আমার অভিনীত অংশটুকু ছাড়া যে দৃশ্য ধারণ করা হয়, পোস্টার তৈরি করা হয় তার সব দায়দায়িত্ব পরিচালক ও প্রযোজকের। আর এ ছবির দায়দায়িত্ব সেন্সর বোর্ডকে বহন করতে হবে।’
জায়েদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ সম্পন্ন করেছেন। তারা চার ভাইবোন এবং সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ২০১২ সালে জায়েদ খানের মা মিসেস শাহিদা হক ‘রত্নগর্ভা’ হিসেবে পুরস্কৃত হন।