ওমর সানি

ওমর সানি একজন তারকা চলচ্চিত্র অভিনেতা। তার প্রথম অভিনীত ছবি ‘চাঁদের আলো’। এরপর তিনি ‘শান্তি চাই’, ‘পাপের শাস্তি’, ‘গোলাগুলি’, ‘সুখের স্বর্গ’, ‘কাল পুরুষ’, ‘প্রিয় তুমি’, ‘স্নেহের বাঁধন’, ‘অধিকার চাই’, ‘ঘায়েল’, ‘প্রেমের অহংকার’, ‘রঙিন রংবাজ’, ‘রঙিন নয়নমনি’, ‘মধুর মিলন’, ‘তুমি সুন্দর’, ‘ত্যাজ্যপুত্র’, ‘বাপের টাকা’, ‘কে অপরাধী’, ‘কথা দাও’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেন। Continue reading

এফ আই মানিক

এফ আই মানিক একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল – ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘দাদীমা’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘চাচ্চু’, ‘পিতার আসন’, ‘আমাদের ছোট সাহেব’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’, ‘মাই নেম ইজ সুলতান’ প্রভৃতি।

তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাহী কমিটির ২০১১-১২ সেশনের মহাসচিব।

এ. জে. মিন্টু

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের মাস্টার মেকার হিসেবে সুপরিচিত এ. জে. মিন্টু। তিনি একাধারে পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার ও চিত্রনাট্যকার। তিনি পরিচালক আমজাদ হোসেনের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মিন্টু আমার নাম’। এওরপ রিত্নি ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘বাঁধন হারা’, ‘প্রতিহিংসা’, ‘মান সম্মান’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘অন্যায়’, ‘অশান্তি’, ‘বিশ্বাস ঘাতক’, ‘ন্যায় অন্যায়’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘বাপের টাকা’, ‘একটি সংসারের গল্প’, ‘সংসারের সুখ দুঃখ’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তিনি ‘লালু মাস্তান’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘পিতা মাতা সন্তান’ ও ‘বাংলার বধূ’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার প্রযোজনা সংস্থা সানফ্লাওয়ার মুভিজ।

তার জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৬ জুলাই পাবনার মোকসেদপুরে। তার আসল নাম আবদুল জলিল মিন্টু।

এ কে সোহেল

এ কে সোহেল একজন পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি পরিচালক গাজী জাহাঙ্গীরের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন। তার সহকারী হিসেবে তিনি ‘শেষ সংগ্রাম’ ছবিতে কাজ করেছেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র খায়রুন সুন্দরী। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবিগুলো হল বন্ধক, জমেলা সুন্দরী, বাংলার বউ, ডাইনী বুড়ি, প্রাণের স্বামী ও পবিত্র ভালোবাসা। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম মেঘালয় চলচ্চিত্র।

সোহেলের আসল নাম আবদুল কাদের সোহেল। তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিং শহরে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বি কম।

এহতেশাম

এহতেশাম বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গুণী পরিচালক। শবনম, শাবানা থেকে শুরু করে শাবনূর পর্যন্ত অনেকেই তার হাত ধরে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। এহতেশাম একাধারে চলচ্চিত্র প্রদর্শক, প্রযোজক এবং পরিচালক।

এহতেশামের জন্ম ঢাকার বংশাল এলাকার এক ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে। দিল্লি ও করাচিতে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে তদানীন্তন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তিনি যোগ দিয়ে কমিশনপ্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীর একটি রেজিমেন্টে ক্যাপ্টেন পদাধিকার পেয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ছবির প্রদর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন।

একা

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা একা ‘রঙিন রাখাল রাজা’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে আগমন করেন। এতে তিনি আয়েশা আরবী নামে অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেজি’ ছবিতে তিনি একা নামে আত্মপ্রকাশ করেন। ছবিটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। একা অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘পাগলা হাওয়া’।

দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার কারণও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে একা বলেন, ‘আমি পড়াশোনার জন্য লন্ডন চলে গিয়েছিলাম। সেখানে পড়াশোনার পর আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাই। যুক্তরাষ্ট্রে আমি এডিটিংয়ের ওপর কিছু কোর্স করি। লাইট, এডিটিং এর ওপর কাজ শিখে দেশে ফিরে আসি। এরপর আমি মাই টিভিতে যোগ দেই। সেখানে টানা ৫ বছর ধরে আছি, এখনও আছি।’

একার জন্ম ১৯৭৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ময়মনসিংহে। তার আসল নাম শাহিদা আরবী সিমন।

উত্তম আকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিনান্সে এমকম ডিগ্রিধারী উত্তম আকাশ সরাসরি চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন ১৯৯৫ সালে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুক্তির সংগ্রাম’।

প্রযোজক মালতী দেবী তার মা।

উজ্জ্বল

বাংলা চলচ্চিত্রে মেগাস্টার হিসেবে খ্যাত সোনালী যুগের অন্যতম অভিনেতা উজ্জ্বল। তার চলচ্চিত্রে অভিষক হয় ১৯৭০ সালে ‘বিনিময়’ চলচ্চিত্র দিয়ে। প্রথম ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর তিনি শাবানা, ববিতা, সুচরিতা, রোজিনা, সুজাতা, শবনমসহ অনেক নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন।

উজ্জ্বলের পুরো নাম আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। তার জন্ম ২৮ এপ্রিল ১৯৪৮ সিরাজগঞ্জে তার পিতার কর্মস্থলে। তার পৈতৃক নিবাস পাবনায়। তিনি রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি বেতার ও টেলিভিশনে অভিনয় করতেন।

ই. আর. খান

ই. আর. খান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি সহকারী হিসেবে এহতেশাম ও মুস্তাফিজের ‘লিও ফিল্মস’-এ যোগ দেন। তিনি এহতেশামের সঙ্গে ‘এদেশ তোমার আমার’ ছবিতে ব্যবস্থাপক ও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি জহির রায়হান, বেবী ইসলাম, সালাহ্উ‌দ্দিন, মুস্তাফিজ, এস এম পারভেজ, সাদেক খান প্রমুখের সঙ্গে প্রধান সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। ই আর খান পরিচালিত প্রথম ছবি ‘চেনা অচেনা’। তার প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘সন্তান’। তিনি মোট ২৬টি ছবি পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হল ‘রূপবানের রূপকথা’, ‘সন্তান’, ‘সাধারণ মেয়ে’, ‘দাসী’, ‘মামা ভাগ্নে’, ‘কাঁচের স্বর্গ’, ‘বধু’, ‘সময় কথা বলে’, ‘কোবরা’, ‘ব্যবধান’, ‘তামাশা’।

ই. আর. খানের জন্ম ১৯৩৫ সালে ২১ জুন পুরান ঢাকায়। তার পিতা হাকিম হাবীবুর রহমান। সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, মুসলিম হাই স্কুল ও এম এ জিন্নাহ কলেজ থেকে শিক্ষাজীবন শেষে মানসাটা ফিল্মস্ অব বোম্বে লিমিটেডে যোগ দেন। তিনি নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকা ক্লাব, ধানমন্ডি লায়ন্স ক্লাব, লায়ন্স ফাউন্ডেশন, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা সমিতি, ফিল্ম আর্কাইভ, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রদর্শন সমিতি ইত্যাদি বিভিন্ন সংগঠনের তিনি আজীবন সদস্য, সদস্য বা দাতা সদস্য ছিলেন। পরিচালক ভ্রাতৃদ্বয় এহতেশাম ও মুস্তাফিজ তার ভাগ্নে।

ইলিয়াস জাভেদ

নৃত্য পরিচালনা দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে আগমন করলেও ইলিয়াস জাভেদ পরবর্তী কালে অভিনেতা হিসেবে শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তার অভিনীত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘নিশান’।