আখতারুজ্জামান

আখতারুজ্জামান চলচ্চিত্রে আসেন ১৯৮৪ সালে ফেরারী বসন্ত (যৌথভাবে) ছবি পরিচালনার মাধ্যমে। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে প্রিন্সেস টিনা খান, নগ্ন আগন্তুক, পোকামাকড়ের ঘর-বসতি ইত্যাদি। এছাড়া তিনি পিঞ্জর, রক্ত পলাশ, ফকির মজনু শাহসহ অসংখ্য ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেন। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি সাংবাদিক, শিক্ষক, গীতিকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে।

মৃত্যুর পূর্বে তিনি ‘সূচনা রেখার দিকে’। রাষ্ট্রীয় অনুদানে নির্মিত এ ছবিটি ভবিষ্যত কি এখনো নিশ্চিত না। তার এই ছবিতে ছবিতে ওপার বাংলা-এপার বাংলার মানুষদের মিলনাকাঙ্ক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু, সীমান্ত সংঘর্ষ, বাউল আর অবিভক্ত নদীর পানিবণ্টনসহ বাঙালির জাতিগত সমস্যা উঠে এসেছে।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।

আনোয়ার হোসেন

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে মুকুটহীন সম্রাট হিসেবে খ্যাত অভিনেতার নাম আনোয়ার হোসেন (Anwar Hossain)। ১৯৬১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তোমার আমার‘ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। প্রথম দিকে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে তিনি মূল ও চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে তিনি ‘মুকুটহীন সম্রাট’ উপাধি লাভ করেন। Continue reading

অঞ্জনা

‏বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে অঞ্জনা বহুল আলোচিত একটি নাম। দীর্ঘ ৪০ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি ৩৫০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় , কত্থক নৃত্য ও মডেলিং এই তিনটিতেই রয়েছে তার সফল বিচরণ। এর পাশাপাশি অঞ্জনা একজন সংগীতশিল্পীও।

মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করা শুরু করেছিলেন অঞ্জনা। নাচ নিয়ে ব্যস্ততার সময়ই মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন। সারথী পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’ ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রজীবন শুরু হয়। আলমগীর কবির পরিচালিত ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অঞ্জনা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

অঞ্জনা নায়করাজ রাজ্জাকের সাথে ৩০টি ছবিতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে অশিক্ষিত, রজনীগন্ধা, আশার আলো, জিঞ্জির, আনারকলি, বিধাতা, বৌরানী, সোনার হরিণ, মানা, রামরহিমজন, সানাই, সোহাগ, মাটির পুতুল, সাহেব বিবি গোলাম ও অভিযান উল্লেখযোগ্য। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হল মাটির মায়া, রূপালি সৈকতে, মোহনা, গুনাই বিবি, গাংচিল, রাজবাড়ী, নূরী, সুখের-সংসার, অন্ধবধূ, যাদু নগর।

তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ‘প্রাণ সজনী’, ‘দেশ-বিদেশ’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘নেপালি মেয়ে’সহ একাধিক ছবি নির্মিত হয়েছে।

অঞ্জনার জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন ঢাকা ব্যাংক কোয়ার্টারে। তার পৈতৃক নিবাস চাঁদপুর। শুরুতে তিনি ‘অঞ্জনা রহমান’ নামে পর্দায় কাজ করলেও বর্তমানে তিনি অঞ্জনা সুলতানা নামেই সমধিক পরিচিত।

অঞ্জু ঘোষ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে অঞ্জু ঘোষ ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ভোলানাথ অপেরার হয়ে যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গানও গাইতেন। ১৯৮২ সালে এফ. কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এই ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। তিনি বাংলার নীলো নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি রাতারাতি তারকা বনে যান। অনেকের মতে অঞ্জুর সাফল্য ছিল ভিত্তিহীন মৌলিক সাফল্য। অঞ্জু বাণিজ্যিক ছবির তারকা হিসেবে যতটা সফল ছিলেন সামাজিক ছবিতে ততটাই ব্যর্থ হন। ১৯৮৬ সালে তাঁর ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও তিনি ফিরে আসেন ভালোভাবে। ১৯৮৭ সালে অঞ্জু সর্বাধিক ১৪টি সিনেমাতে অভিনয় করেন মন্দার সময়ে যেগুলো ছিল সফল ছবি। ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে তার অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ অবিশ্বাস্য রকমের ব্যবসা করে এবং সৃষ্টি করে নতুন রেকর্ড। তিনি সুঅভিনেত্রীও ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলা চলচ্চিত্রে নতুনের আগমনে তিনি ব্যর্থ হতে থাকেন। তিনি এই দেশ ছেড়ে চলে যান এবং কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন। বর্তমানে তিনি ভারতে বিশ্বভারতী অপেরায় যাত্রাপালায় অভিনয় করছেন।

অঞ্জু ঘোষ বিয়ে করেছিলেন পরিচালক এফ কবীর চৌধুরীকে। বিয়ের পর প্রথমদিকে অস্বীকার করেছিলেন তারা। এফ কবীরের সাথে তার বিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকেনি, বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

অরুণা বিশ্বাস

অরুণা বিশ্বাস অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চাঁপাডাঙার বউ’। এরপর তিনি ‘পরশ পাথর’, ‘কংকর’, ‘দুর্নাম’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘মায়ের দোয়া’, ‘কৈফিয়ত’, ‘গরীবের বউ’, ‘শেষ আঘাত’, ‘লটারি’, ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘ত্যাগ’, ‘দিনমজুর’, ‘সম্মান’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অসম্ভব’।

তার জন্ম ১৯৬৭ সালের ১ আগস্ট চট্টগ্রামে। তার আসল নাম যশোদা। তার বাবা বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাস ও মা জ্যোৎস্না বিশ্বাস।

অলিভিয়া

১৯৭২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এম শফির ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন অলিভিয়া। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের রক্ষণশীল বৈশিষ্ট্যের বাইরে প্রথম অভিনয় করেছিলেন অলিভিয়া। নায়ক ওয়াসিমের সঙ্গে তাঁর জুটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। অলিভিয়া অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে ‘মাসুদ রানা’, ‘দ্য রেইন’, ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’, ‘বহ্নিশিখা’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘পাগলা রাজা’, ‘বাহাদুর’, ‘শাহজাদী’, ‘গুলবাহার’, ‘বেদ্বীন’, ‘শ্রীমতি ৪২০’, ‘চন্দ্রলেখা’, ‘টক্কর’, ‘হিম্মতওয়ালী’, ‘ডার্লিং’, ‘রাস্তার রাজা’, ‘বন্ধু’, ‘লাল মেমসাহেব’, ‘তকদিরের খেলা’, ‘সতীনাথ কন্যা’, ‘ভাইবোন’, ‘নাগ নাগিনী’, ‘জংলি রাণী’, ‘জামানা’, জীবন সংগীত’, ‘শপথ নিলাম’, ‘টাকার খেলা’, ‘দূর থেকে বলছি’, ‘সেয়ানা’, ‘তীর ভাঙা ঢেউ’, ‘শাপমুক্তি’, ‘একালের নায়ক’, ‘কুয়াশা’, ‘আগুনের আলো’, ‘কালা খুন’, ‘আগুন পানি’ ইত্যাদি। তাঁর অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ‘দুশমনি’।

অলিভিয়ার জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে। দেশভাগের পর অলিভিয়ার পরিবার পশ্চিম পাকিস্তান ছেড়ে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশে) চলে আসে। ওই সময় পরিবারটি ঢাকার মগবাজারে ইস্পাহানি কলোনির গলিতে বসবাস করত। খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী এই পরিবারের আদি নিবাস ছিল ভারতের গোয়ায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অলিভিয়া হোটেল পূর্বাণীতে রিসিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা ছিলেন তিন ভাই ও চার বোন। এক বোন বাংলাদেশ বিমানের এয়ারহোস্টেস ছিলেন। আরেক বোন কলকাতায় থাকতেন। বাবা বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার রিডিং সেকশনে কাজ করতেন। ইংরেজিমাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করা অলিভিয়া মাত্র ১৪ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন। তখন একাধিক বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। তিনি ৫৩টি ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এম শফিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

অমল বোস

জনপ্রিয় প্যাকেজ অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’-তে নানা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত অমল বোস। তিনি মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আসেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্র প্রথম চলচ্চিত্র ‘রাজা সন্ন্যাসী’। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘কেন এমন হয়’। তিনি ‘মহানায়ক’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘অচল পয়স’, ‘দাঙ্গা’ ছবিতে অভিনয় করেন।

১৯৯৪ সালের ‘আজকের প্রতিবাদ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। একই বছর তিনি মহাকাব্যিক ‘সোহরাব রুস্তম’ ছবিতে মাজেন্দ্রনের সুলতান সফেদ সাদা চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘মহামিলন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘অজান্তে’, ‘স্বজন’, ‘কে অপরাধী’, ‘রাঙা বউ’, ‘অধিকার চাই’, ‘সাগরিকা’, ‘মধু পূর্ণিমা’, ‘অনন্ত ভালবাসা’, ‘আমি তোমারি’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘হাসন রাজা’, ‘রং নাম্বার’, ‘দুই নয়নের আলো’, ‘এক টাকার বউ’, ‘এক কাপ চা’ প্রভৃতি।

তার জন্ম ১৯৪৩ সালের ১২ অক্টোবর (১৩৪৪ বঙ্গাব্দের ২৬ আশ্বিন) ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার চত্রুল গ্রামে। তার আসল নাম অমলেন্দু বোস। তিনি ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ইহলোক ত্যাগ করেন।

অনন্য মামুন

অনন্য মামুন কাহিনীকার আবদুল্লাহ জহির বাবুর সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই কাহিনীকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কাহিনীকার হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘জানোয়ার’। তার লেখা অন্যান্য চলচ্চিত্র হল ‘কথা দাও সাথী হবে’, ‘তোমার জন্য মরতে পারি’, ‘১০ নং মহাবিপদ সংকেত’, ‘অন্ধকার জীবন’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘জাদরেল সন্তান’, ‘তুমি আমার স্বামী’।

অনন্ত জলিল প্রযোজিত ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ ছবির মাধ্যমে অনন্য মামুন তার পরিচালনার অধ্যায় শুরু করেন। এরপর তিনি ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’, ‘ব্ল্যাকমেইল’, ‘ভালোবাসার গল্প’, ‘অস্তিত্ব’, ‘আমি তোমার হতে চাই’, ‘চালবাজ’, ‘তুই শুধু আমার’, ‘আবার বসন্ত’, ‘মেকআপ’, ‘নবাব এলএলবি’, ‘কসাই’, ‘সাইকো’, ‘অমানুষ’, ‘রেডিও’ ও ‘দরদ’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

অনন্যর জন্ম ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ বগুড়ার উত্তর চেলোপাড়াতে। তার আসল নাম আল মামুন। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস সম্পন্ন করেছেন।

অন্তরা

অন্তরা শিশুশিল্পী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শিকল’। একই বছর তিনি ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবিতে অভিনয় করেন। এছাড়া তাকে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবিতে শিশু জোসনার চরিত্রে দেখা যায়। প্রধান নায়িকা হিসেবে তার অভিষেক ঘটে ‘পাগল মন’ ছবি দিয়ে। এরপর তিনি ‘বালিকা হল বধূ’, ‘প্রেমের সমাধি’, ‘শয়তান মানুষ’, ‘সুপারম্যান’, ‘আমার মা’, ‘বেইমানের শাস্তি’, ‘আলিফ লায়লা আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ, ‘প্রেমের কসম’, ‘নিষ্পাপ বধূ’, ‘লাঠি’, ‘গরীবের অহংকার’ ও ‘পারলে ঠেকাও’ ছবিতে অভিনয় করেন।

অন্তরার জন্ম ঢাকায়। তার পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুরে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা আইএ।

রিয়াজ

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজ (Riaz)। চলচ্চিত্রে আসার আগে রিয়াজ এয়ারফোর্সে চাকরী করতেন। পড়াশোনা বিএসসি, অ্যারোনেটিক্স। চাচাতো বোন ববিতার হাত ধরে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাংলার কমান্ডো’।

রিয়াজ শাবনূর ও পূর্ণিমার সাথে জুটি বেঁধে দর্শকদের একাধিক সফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। তিনি  দুই দুয়ারী (২০০০), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) এবং কি যাদু করিলা (২০০৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন।