News Category:
শম্পা
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শম্পার প্রথম ছবি মাটির পিঞ্জিরা। ২০০৯ সালে বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভি-র রিয়েলিটি শো সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মিডিয়ায় সকলের নজর কাড়েন। প্রতিযোগিতায় থাকাকালীন সময়েই তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ছোট পর্দায়ও বিচরণ করেন শম্পা। টিভিতে উপস্থাপনাও করেছেন। সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েই আরেক প্রতিযোগি সাগরের সাথে পরিচয় হয় শম্পার। পরবর্তীতে একত্রে চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে তাদের সম্পর্ক প্রণয়ে রূপ নেয় এবং ২০১৫ সালের ১৫ অগাস্ট তারিখে পরিণয়ে পরিণত হয়।
শাহিদ খান
শাহিদ আলী খান ২০০৫ সালে ‘কাঙ্গালী রাজা’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আগমন করেন। এরপর তিনি ‘প্রেম কয়েদী’, ‘তোমার কাছে ঋণী’, ‘জোর করে ভালোবাসা যায় না’ প্রভৃতি। প্রধান নায়ক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাটির পিঞ্জিরা’।
কায়েস আরজু
চলচ্চিত্র অভিনেতা কায়েস আরজু ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষিক্ত হন। প্রথম কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি খুব পরিচিত না হলেও ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ ছবি মুক্তির পর তিনি সবার নজরে পড়েন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পূর্বে কায়েস আরজু চট্টগ্রামে গ্রুপ থিয়েটারে কাজ করতেন। ঢাকায় আসার পর তিনি বিজ্ঞাপন ও নাটকে কাজ করতে শুরু করেন। এ সময় অনেকেই তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের উৎসাহ দেন। সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার সময় তিনিও তাকে উৎসাহ দেন। পরবর্তীতে এটিএন বাংলায় চলচ্চিত্র নির্মাতা হাসিবুল ইসলাম মিজান তাকে চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব দেন। প্রথমে তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তীতে তিনি রাজী হন এবং তুমি আছো হৃদয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’, ‘অবুঝ প্রেম’, ‘হেডমাস্টার’, ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’, ‘জলরঙ’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
সুবর্ণা মুস্তাফা
সুবর্ণা মুস্তাফা নিয়মিত গড়পড়তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। তবে মূলধারার কিছু ছবিতেও তাঁর উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। অনেকের মতে চেহারায় বাঙালি রমনীর শাশ্বত সৌন্দর্যের মৌন রূপ স্পষ্ট এবং স্মিত যৌন আবেদন ও রহস্যময় ঘরানার সৌন্দর্য তার সামগ্রিক সৌন্দর্যকে প্রায় ক্ল্যাসিক রূপ দিয়েছে। আবার অনেকে মতে টিভি পর্দায় তিনি যতটা ভরাট, আকর্ষণীয়, চলচ্চিত্রের পর্দায় তিনি অতটা নন।
১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ দিয়ে তিনি চলচ্চিত্র জগতে আসেন। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। পরের বছর ‘নয়নের আলো’ ছবিতে তার অভিনয় সব শ্রেণীর দর্শককে নাড়া দিয়েছিল।
সুবর্ণা মুস্তাফার জন্ম ১৯৫৯ সালের ২রা ডিসেম্বর ঢাকায়। তার বাবা গুণী অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ইংরেজী বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। বিবাহিত জীবনে তিনি প্রথমে অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদিকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং পরে তিনি নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন।
সম্রাট
২০০৮ সালে আমি বাঁচতে চাই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে এবং বাপ্পারাজের ভাই সম্রাট।
তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম্পিউটার সায়েন্সে বিএ।
বাপ্পারাজ
১৯৮৬ সালে রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘চাঁপাডাঙার বউ’ ছবি মাধ্যমে সিনেমায় আসেন বাপ্পারাজ। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল ‘আশার প্রদীপ’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘বেঈমানের শাস্তি’, ‘অচল পয়সা’, ‘বাংলার কমান্ডো’, ‘প্রেমের সমাধি’, ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘একটি সংসারের গল্প’, ‘কথা দাও’, ‘মা যখন বিচারক’, ‘ত্যাজ্যপুত্র’, ‘নিষ্পাপ বধূ’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘ভুলোনা আমায়’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘কার্তুজ’ প্রভৃতি।
তার জন্ম ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ কলকাতার নাগতলায়। তার আসল নাম রেজাউল করিম। তার বাবা নায়করাজ রাজ্জাক এবং নায়ক সম্রাট তার ছোট ভাই।
সিনথিয়া
সিনথিয়া একজন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ‘চেহারা’, ‘তোমার সুখই আমার সুখ’, ‘সেই তুমি অনামিকা’, ও ‘তোমার আছি তোমারই থাকবো’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।