সুবীর নন্দী

‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’র মত বহু শ্রোতাপ্রিয় গানের কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্লেব্যাকে আসেন সুবীর । ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় আজিজুর রহমান অশিক্ষিত। সেই সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিন আর সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। দীর্ঘ সংগীত জীবনে তিনি আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এবং পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছরই তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।

তার আরও কিছু জনপ্রিয় গান হল ‘আশা ছিল মনে মনে’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’, ‘তুমি এমনই জাল পেতেছ’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, একটা ছিল সোনার কইন্যা’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’।

সুবীর নন্দীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায়। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব কেটেছে চা বাগানে। পরিণত বয়সে গানের পাশাপাশি চাকরি করেন ব্যাংকে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগে তিনি ২০১৯ সালে ৭ মে পরলোকগমন করেন।

বারী সিদ্দিকী

দরদভরা গলায় বিরহের গানের সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন যে বংশীবাদক সংগীত শিল্পী তার নাম বারী সিদ্দিকী। ‘শুয়াচান পাখি’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’সহ বহু গানের মাধ্যমে হৃদয়ে হাহাকার তোলায় সিদ্ধহস্ত শিল্পী বারী সিদ্দিকী চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে গানের মাধ্যমে তার প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। Continue reading

সিরাজ হায়দার

সিরাজ হায়দার (Siraj Haider) অভিনয়ের সাথে জড়িত ছিলেন পঞ্চাশ বছরের বেশী সময় ধরে। ১৯৬২ সালে নবম শ্রেণীর ছাত্রকালীন সময়ে ১৪ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় দিবসে টিপু সুলতান নাটকে করিম শাহ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন। ২০১২ সালে এসে সেটা ৫০ বছর পূর্ণ করলো। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি অভিনয় করেছেন যাত্রা, মঞ্চ, রেডিও, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে। Continue reading

কাজল

কাজল ‘মাটির পিঞ্জিরা’ ও ‘কুমারী মা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন।

সাগর

আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলের হাত ধরে ১৯৯৮ সালে র‍্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে কাজ শুরু করেন সাগর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ৫০টির মতো বিজ্ঞাপনচিত্র এবং পাঁচ শতাধিক মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে এনটিভিতে প্রচারিত সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সেরা ছয়ের মধ্যে স্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হন সাগর। এই অবস্থান তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ তৈরী করে দেয়। লাভ ইউ প্রিয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে কাজ করা শুরু হলেও তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র মনের মধ্যে লেখা। দুটো ছবিতেই তার বিপরীতে অভিনয় করেন সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতার আরেক প্রতিযোগি শম্পা হাসনাইন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় থেকেই দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক পরিচয় থেকে প্রণয়ে রূপ নিয়েছিল। ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

সাগর একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।

নাসিমা খান

নাসিমা খান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রথম দিকের অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। এ পর্যন্ত তিনি ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন৷ ১৯৫৯ সালে তিনি এ জে কারদার পরিচালিত ‘জাগো হুয়া সাভেরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। ‘বেগানা’, ‘সূর্যস্নান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন৷ তবে নায়িকা হিসেবে আবির্ভার ঘটে ১৯৬১ সালে ‘যে নদী মরু পথে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তিনি ষাটের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন।
তার জন্ম ১৯৯৪ সালে পুরান ঢাকার লালবাগে৷ তার পৈতৃক বাড়ি ভাগ্যকুলের মান্দ্রা গ্রামে৷

রাইসুল ইসলাম আসাদ

রাইসুল ইসলাম আসাদ দেশের একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি একাত্তরের গেরিলা যোদ্ধা। ১৯৭৩ সালে ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন আসাদ। ‘গুড্ডি’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন আসাদ। তার বিপরীতে ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। সালাহউদ্দিন জাকি পরিচালিত চলচ্চিত্রটির আবেদন আজও রয়ে গেছে নতুন প্রজন্মের কাছে। এই চলচ্চিত্রের গানগুলো আজও মানুষের মনকে ছুঁয়ে যায়। তার অভিনীত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রের প্রশংসা বাক্য আজও শোনা যায়। এই সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। এছাড়া ‘সুরুজ মিয়া’, ‘অন্যজীবন’, ‘দুখাই’, ‘লালসালু’, ‘কীর্তনখোলা’, ‘লালন’, ‘মনের মানুষ’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

আসাদের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৫ জুলাই ঢাকার পুরানা পল্টনে। তার পুরো নাম আসাদুজ্জামান মোহাম্মাদ রাইসুল ইসলাম। তিনি ১৯৭৯ সালের ৯ নভেম্বর তাহিরা দিল আফরোজকে বিয়ে করেন। তার একমাত্র কন্যার নাম রুবায়না জামান।