রোকেয়া প্রাচী

রোকেয়া প্রাচীর প্রথম স্বামী সার্জেন্ট আহাদ পারভেজ। ডিউটিরত অবস্থায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সার্জেন্ট আহাদের মৃত্যু হয় ১৯৯৯ সালে। এর দুই বছর পরে ২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক জনপ্রিয় টক শো আলোচক আসিফ নজরুলকে বিয়ে করেন রোকেয়া প্রাচী। এ সংসারে তাদের একটি সন্তানও জন্ম নেয়। কিন্তু প্রায় একযুগের কাছাকাছি সংসার করার পর ২০১২ সালে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। আসিফ নজরুলের জামাতঘেষা অবস্থানের কারণেই বিচ্ছেদ ঘটে বলে জানা যায়। প্রাচী এখন আলাদা থাকেন। বাকী জীবনটা দুই সন্তান নিয়েই কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

 

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চ, টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সূচনা’।

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কলকাতা আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি।

*জন্ম সালটি সঠিক নয়।

মহম্মদ হান্‌নান

মহম্মদ হান্‌নান (Mohammad Hannan) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি তিনি টিভি নাটকও পরিচালনা করেছেন।

বেবী ইসলামের সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে তার কর্ম জীবন শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে ‘রাই বিনোদিনী’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়। তার পরিচালিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘মালা বদল’, ‘মাইয়ার নাম ময়না’ , ‘অবরোধ’, ‘বিচ্ছেদ’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ‘সাবধান’, ‘খবরদার’, ‘দলপতি’, ‘পড়েনা চোখের পলক’। ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘জীবন এক সংঘর্ষ’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘টিপটিপ বৃষ্টি’ ইত্যাদি। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘শিখন্ডি কথা’।

তিনি ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৩-১৯৯৫, ১৯৯৭-১৯৯৯, ১৯৯৯-২০০১ পর্যন্ত মহাসচিব এবং ২০১১ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

হান্‌নানের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের কড়াপুরে। ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে লঞ্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের কড়াপুরে তাকে দাফন করা হয়।

জাভেদ আহমেদ কিসলু

জাভেদ আহমেদ কিসলু একজন সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। তিনি অসংখ্য বাংলা ছবির গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

রিজিয়া পারভীন

রিজিয়া পারভীন একজন সঙ্গীতশিল্পী। তার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে। তখন ভারতীয় বিভিন্ন শিল্পীর গান গাইতেন। ঢাকায় আসার পর বিভিন্ন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে ভারতীয় আধুনিক বাংলা গান, হিন্দি গানের বাংলা রূপান্তর আর পুরোনো দিনের গানের রিমেক গাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। অল্প সময়ে পরিচিতি পাওয়ার জন্য তিনি রিমেক গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন। রিমেক গান গেয়ে তিনি ও পলাশ দারুণ জনপ্রিয়তা পান। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের ২৫টি অ্যালবাম বাজারে আসে। রিমেক আর মৌলিক মিলে তার ১৩২টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।

ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় তিনি প্রথম চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৮২ সালে ‘তালাক’ ছবিতে তার গাওয়া গানটি রেকর্ডিং হয়। এরপর তিনি চলচ্চিত্রের দেড় হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে ‘চাঁদের আলো’ ছবির “তুমি আমার চাঁদ, আমি চাঁদেরই আলো” গানটিই তার সংগীতজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দ্বৈত গানটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর এন্ড্রু কিশোরের সাথে ‘ভাংচুর’ ছবির “সবার জীবনে প্রেম আসে” গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর তিনি ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘প্রিয়জন’, ‘মনের মত মন’, ‘টপ হিরো’, ‘এভাবেই ভালোবাসা হয়’ প্রভৃতি ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

ডলি সায়ন্তনী

“রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা” খ্যাত গায়িকা ডলি সায়ন্তনী ১৯৯০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সেলেক্স-এর ব্যানারে একক অ্যালবাম ‘হে যুবক’ প্রকাশ করেন। ‘ঘেরাও’ ছবিতে তিনি প্রথম প্লেব্যাক করেন। ডলি সায়ন্তনীর শ্রোতাসমাদৃত অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে- ‘কালিয়া’, ‘নীরব রাতে’, ‘বিরহী প্রহর’, ‘সুখে থেকো’, ‘নিতাইগঞ্জে জমছে মেলা’, ‘বাংলাদেশের মেয়ে’।

তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের গান হল ‘উত্থান পতন’ ছবির “রং চটা জিন্সের প্যান্ট পরা”, ‘কে অপরাধী’ ছবির “এ যে বিষম পিরিতি”, এন্ড্রু কিশোরের সাথে ‘বাস্তব’ ছবির “বুক চিন চিন করছে হায়”, ‘সেয়ানা পাগল’ ছবির “এক পলক না দেখলে”, ‘মগের মুল্লুক’ ছবির “কি যাদু করিলা”, খালিদ হাসান মিলুর সাথে ‘আমার অন্তরে তুমি’ ছবির “প্রতিদিন তোমাকে আমি চাই” প্রভৃতি।

ডলির জন্ম ২২ আগস্ট। তার শৈশব কেটেছে পাবনাতে। তার ভাই বাদশা বুলবুল, বোন পলি সায়ন্তনীও জনপ্রিয় শিল্পী। মা মনোয়ারা বেগমও যুক্ত ছিলেন গানের সঙ্গে।

মমতাজ বেগম

লোকসঙ্গীতের জনপ্রিয় মুখ মমতাজ বেগম চার দশকের কর্মজীবনে ৭০০-এর অধিক গান রেকর্ড করেছেন।

শাকিলা জাফর

গানের পাখি শাকিলা জাফর তার দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে ছয় শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। একক গানের পাশাপাশিত দ্বৈত গানে শাকিলা জাফর সফল হন। তিনি যখন যার সঙ্গে গান গেয়েছেন, মানিয়ে গেছেন ভীষণভাবে। প্রথমে গায়ক শুভ্রদেবের সঙ্গে তার গড়ে উঠেছিল সফল গানের জুটি। তারপর এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎ, সুবীর নন্দী, তপন চৌধুরী, নকিব খানের মতো সিনিয়র শিল্পী থেকে শুরু করে হালের আসিফ ও বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গেও গেয়েছেন বহু গান। তপন চৌধুরীর সাথে “তুমি আমার প্রথম সকাল” গানটির বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

চলচ্চিত্রে তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল তপন চৌধুরীর সাথে “পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়”, খালিদ হাসান মিলুর সাথে “বন্ধু তুমি আমার”, আগুনের সাথে “তোমাকে আমি যেন”, “তাকদুম তাকদুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল” এবং একক গান “নদী চায় চলতে”প্রভৃতি।

তার জন্ম পাকিস্তানের করাচীতে, ১৯৭০ সালে চলে আসেন বাংলাদেশে। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ বেতারে জাতীয় উচ্চাঙ্গসংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন শাকিলা জাফর। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘যদি কিছু মনে না করেন’ অনুষ্ঠানে “তুলা রাশির মেয়ে” গানটির মাধ্যমে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি তৈরি হয়।

শাকিলা জাফর প্রথম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রকৌশলী মান্নার সঙ্গে। তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ সময় একা জীবন যাপন করেন এ সংগীতশিল্পী। ২০১৫ সালের শেষের দিকে জানা যায় তিনি প্রকৌশলী এবং কবি রবি শর্মাকে বিয়ে করেছেন। রবি শর্মা কর্পোরেট জগতের লোক হলেও নিয়মিত কবিতা লেখেন। ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইমস মিউজিক থেকে মুনলাইট হুইসপার নামে তার লেখা গানের একটি অ্যালবাম বেরিয়েছে।

তার প্রথম স্বামী মান্না জাফরের ঘরে রয়েছে একমাত্র সন্তান মুফরাত জাফর। ‍‍‘বাংলাদেশ আইডল‍ ২০১৩’ এর অংশগ্রহণকারী সানজিদা মাহমুদ নন্দিতার সাথে মুফরাতের বাগদান হয়েছে।