এইতো জীবন, আলোর পিপাসা, অভিশাপ, মিলন, সাগর, পুণম কি রাত, ওয়েটিংরুম, জংলী ফুল, অবুঝ মন, মোমের আলো, দিল এক মিশা প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে স্মরণীয় হয়ে আছেন যে কিংবদন্তি অভিনেতা তার নাম শওকত আকবর (Shawkat Akbar)। ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত শওকত আকবর বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে আড়াইশ’ ছবিতে অভিনয় করেন। Continue reading
News Category:
রহমান
রহমান একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক। তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ঢাকা, করাচি ও লাহোরে বাংলা, উর্দু ও পশতু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহ হল ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘হারানো দিন’, ‘যে নদী মরুপথে’, ‘নতুন সুর’, ‘এইতো জীবন’, ‘নতুন দিগন্ত’, ‘জোয়ার ভাটা’ এবং ‘দেবদাস’।
রহমানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ের আটোয়ারিতে। তিনি ২০০৫ সালের ১৮ জুলাই মারা যান।
সুভাষ দত্ত
সুভাষ দত্তের জন্ম দিনাজপুরে মামা বাড়িতে। ১৯৩০ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। দিনাজপুরে ছিল তার মামার বাড়ি। বাবা মায়ের বাড়ি ছিল বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। আঁতুড় ঘর থেকে পরবর্তী শৈশব-কৈশোর কেটেছে তার মামা বাড়িতে। সে অর্থে বাবার বাড়ি ছিল তার কাছে অনেকটাই অচেনা। মূলত লেখাপড়ার জন্যই তাকে মামার বাড়িতে রাখা হয়। Continue reading
খান আতাউর রহমান
বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। খান আতা নামে পরিচিত এই গুণীজন একাধারে সুরকার, গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, প্রযোজক, সংলাপ রচয়িতা ও কাহিনীকার ছিলেন। তার কাজ বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। Continue reading
মুস্তাফিজ
মুস্তাফিজ (Mustafiz) তার বড় ভাই এহতেশামের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। পরিচালক হিসেবে তার প্রথম ছবি ‘হারানো দিন’, যা ঢালিউডের প্রথম সিলভার জুবিলি হিট ছবি।
তিনি ১৯৬২ সালে উর্দু ভাষার ‘তালাশ’ নির্মাণ করে বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করেন। মুস্তাফিজের অন্যান্য ছবিগুলো হল উর্দু ভাষার ‘প্যায়সে’ (১৯৬৪), ‘মালা’ (১৯৬৫), ‘ছোটে সাহেব’ (১৯৬৭), ‘কুলি’ (১৯৬৮), ‘আনাড়ি’ (১৯৬৯), ‘পায়েল’ (১৯৭০) ও ‘মুন্না অউর বিজলী’ (১৯৭০)। ‘মুন্না অউর বিজলী’ ছবিটি বাংলা ভাষায় ‘বিজলী’ ও ‘বাবলু’ নামে পরিচিত। এচাড়া তার পরিচালিত বাংলা ভাষার ছবিগুলো হল ‘ডাক বাবু’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’ ও ‘আলো ছায়া’।
ওমর সানি
ওমর সানি একজন তারকা চলচ্চিত্র অভিনেতা। তার প্রথম অভিনীত ছবি ‘চাঁদের আলো’। এরপর তিনি ‘শান্তি চাই’, ‘পাপের শাস্তি’, ‘গোলাগুলি’, ‘সুখের স্বর্গ’, ‘কাল পুরুষ’, ‘প্রিয় তুমি’, ‘স্নেহের বাঁধন’, ‘অধিকার চাই’, ‘ঘায়েল’, ‘প্রেমের অহংকার’, ‘রঙিন রংবাজ’, ‘রঙিন নয়নমনি’, ‘মধুর মিলন’, ‘তুমি সুন্দর’, ‘ত্যাজ্যপুত্র’, ‘বাপের টাকা’, ‘কে অপরাধী’, ‘কথা দাও’ প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেন। Continue reading
এফ আই মানিক
এফ আই মানিক একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল – ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘দাদীমা’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘চাচ্চু’, ‘পিতার আসন’, ‘আমাদের ছোট সাহেব’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’, ‘মাই নেম ইজ সুলতান’ প্রভৃতি।
তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাহী কমিটির ২০১১-১২ সেশনের মহাসচিব।
এ. জে. মিন্টু
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের মাস্টার মেকার হিসেবে সুপরিচিত এ. জে. মিন্টু। তিনি একাধারে পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার ও চিত্রনাট্যকার। তিনি পরিচালক আমজাদ হোসেনের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মিন্টু আমার নাম’। এওরপ রিত্নি ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘বাঁধন হারা’, ‘প্রতিহিংসা’, ‘মান সম্মান’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘অন্যায়’, ‘অশান্তি’, ‘বিশ্বাস ঘাতক’, ‘ন্যায় অন্যায়’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘বাপের টাকা’, ‘একটি সংসারের গল্প’, ‘সংসারের সুখ দুঃখ’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তিনি ‘লালু মাস্তান’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘পিতা মাতা সন্তান’ ও ‘বাংলার বধূ’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার প্রযোজনা সংস্থা সানফ্লাওয়ার মুভিজ।
তার জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৬ জুলাই পাবনার মোকসেদপুরে। তার আসল নাম আবদুল জলিল মিন্টু।
এ কে সোহেল
এ কে সোহেল একজন পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি পরিচালক গাজী জাহাঙ্গীরের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন। তার সহকারী হিসেবে তিনি ‘শেষ সংগ্রাম’ ছবিতে কাজ করেছেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র খায়রুন সুন্দরী। তার পরিচালিত অন্যান্য ছবিগুলো হল বন্ধক, জমেলা সুন্দরী, বাংলার বউ, ডাইনী বুড়ি, প্রাণের স্বামী ও পবিত্র ভালোবাসা। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম মেঘালয় চলচ্চিত্র।
সোহেলের আসল নাম আবদুল কাদের সোহেল। তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিং শহরে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বি কম।
এহতেশাম
এহতেশাম বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গুণী পরিচালক। শবনম, শাবানা থেকে শুরু করে শাবনূর পর্যন্ত অনেকেই তার হাত ধরে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। এহতেশাম একাধারে চলচ্চিত্র প্রদর্শক, প্রযোজক এবং পরিচালক।
এহতেশামের জন্ম ঢাকার বংশাল এলাকার এক ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে। দিল্লি ও করাচিতে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে তদানীন্তন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তিনি যোগ দিয়ে কমিশনপ্রাপ্ত হন। সামরিক বাহিনীর একটি রেজিমেন্টে ক্যাপ্টেন পদাধিকার পেয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ছবির প্রদর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন।