মোস্তফা কামাল একজন চিত্রগ্রাহক। তিনি ‘তোমাকে চাই’, ‘জীবনসঙ্গী’, ‘রঙ্গীন নয়নমনি’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘রং নাম্বার’, ‘পিতার আসন’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘তোমাকেই খুঁজছি’, ‘হরিজন’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছেন।
News Category:
প্রবীর মিত্র
প্রবীর মিত্র বাংলা চলচ্চিত্রের একজন বর্ষীয়ান শক্তিমান অভিনেতা। প্রায় চার যুগ ধরে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে অন্য কোন ধরনের পেশার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতেও বাধা দিয়েছে। Continue reading
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
বাংলা গানে যে কজন মেধাবী গীতিকার রয়েছেন তাদের মধ্যে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান অন্যতম। আধুনিক, চলচ্চিত্র, দেশাত্মবোধক সব মৌলিক গানে রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। বিশেষ করে চলচ্চিত্রের গানে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের অবদান অনন্য।
এ যাবৎ তিনি গান রচনা করেছেন দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে। কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনা করেছেন নব্বইটিরও বেশী চলচ্চিত্রের জন্যে। গান লিখতে লিখতেই নাট্যকার রফিকউজ্জামান ১৯৭৫ সালেজড়িয়ে পড়েন চিত্রনাট্য রচনায়। চলচ্চিত্রের জন্যে ক্রমে তিনি হয়ে উঠেন সর্বাপেক্ষা সফল কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও সঙ্গীত রচয়িতা। তিনিই একমাত্র চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, যিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কলকাতার অনেক ছবির জন্যেও একাধারে কাহিনি সংলাপ চিত্রনাট্য ও গান রচনা করেছেন।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য চিত্রনাট্যগুলো হচ্ছে- ‘দেবদাস’, ‘ঘর সংসার’, ‘সৎ ভাই’, ‘কাজললতা’, ‘বিরাজ বউ’, ‘শুভদা’, ‘সহযাত্রী’, ‘ছেলেকার’, ‘জন্মদাতা’, ‘চরম আঘাত’, ‘না বলো না’ এবং ‘মরণের পরে’সহ আরও অনেক।
তিনি একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে ‘চন্দ্রনাথ’ ও ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার এবং ২০০৮ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেন ।
১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান নানা বাড়ী ঝিনাইদহ জেলার ফুরসুন্দি-লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার পৈতৃক নিবাস যশোর শহরের খড়কী এলাকায়। মো. শাহাদত আলী ও বেগম সাজেদা খাতুনের দ্বিতীয় পুত্র রফিকউজ্জামান। তার বড়ভাই ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান। একই সাথে তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য কবি, সাহিত্যিক ও গীতিকবি। তার অপর ভাইয়েরা হচ্ছেন- জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, বামপন্থী রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান, মোহাম্মদ ইমামুজ্জামান, মোহাম্মদ এনামুজ্জামান, মোহাম্মদ হাবিবুজ্জামান এবং প্রাক্তন জাতীয় দলের হকি খেলোয়াড় মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান।
তিনি ১৯৬০ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যট্রিক পাশ করেন। শিক্ষাজীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে যশোর সরকারী মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে আই. এ পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স এবং পরে ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র রচয়িতা, ও গীতিকার। ফোক ফ্যান্টাসি ও পারিবারিক অ্যাকশন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সুপরিচিত এই নির্মাতা সত্তরের অধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এবং শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনি লিখেছেন।
মনির খান
১৯৯০ ও শূন্য দশকের জনপ্রিয় পপ শিল্পী মনির খান। ‘তোমার কোনো দোষ নেই’, ‘আট আনার জীবন’, ‘ভাড়া করে আনবি মানুষ’, ‘বিধি আমার এ চোখ অন্ধ করে দাও’র মতো জনপ্রিয় সব গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ‘তোমার কোনো দোষ নেই’ নামে একক অ্যালবাম নিয়ে তিনি সংগীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন। প্রথম অ্যালবামই ছড়িয়ে শহর থেকে গ্রামে। দীর্ঘ সংগীত জীবনে তিনি ৪২টি একক অ্যালবাম এবং ৩০০ এর অধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া তার কণ্ঠে বেশ কিছু চলচ্চিত্রের গান পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা।
চলচ্চিত্রে তার গাওয়া জনপ্রিয় গানসমূহ হল ‘লাল দরিয়া’ ছবির “সে আমার ভালোবাসার আয়না”, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ ছবির “খড় কুটার এক বাসা বাধলাম”, কনকচাঁপার সাথে ‘ভালোবাসা কারে কয়’ ছবির “আর যেন ভুল না হয়”, ‘বলো না ভালবাসি’ ছবির “তোমার প্রেমে পড়েছি আমি”, ‘লাল দরিয়া’ ছবির “দুই নয়নে দেখে তোমায়” ও “আমায় তুমি মনে রাখো”, ‘জামাই শ্বশুর’ ছবির “ও প্রিয় ও প্রিয় ভুল বুঝে যাবে কোথায়”, ‘প্রেম সংঘাত’ ছবিতে “মাথায় পাগড়ী পড়ে” ও “বেঁচে আছি যত দিন”, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবির “প্রেমও রঙে রাঙিয়েছি মন”; বেবী নাজনীনের সাথে “মানুষ বাঁচার জন্য মরণকালে বন্ধু যেমন করে”; ইভা রহমানের সাথে “তোমাকে ছেড়ে বল কি নিয়ে থাকব” প্রভৃতি।
কনকচাঁপা
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সবধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী। চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তিনি নিয়মিত কাজ করেছেন প্রায় তিন দশক। এ পর্যন্ত তিনি চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
প্রকাশিত হয়েছে তার ৩০টি একক গানের অ্যালবাম।
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে এন্ড্রু কিশোরের সাথে তার রোমান্টিক গানের জুটি গড়ে ওঠে। কনকচাঁপার সাথে তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য দ্বৈত গানসমূহ হল ‘তোমাকে চাই’ ছবির শিরোনাম গান ও ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘নয়নের কাছে থেকো’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘একদিন তোমাকে না দেখলে’, ”একদিকে পৃথিবী একদিকে তুমি যদি থাক’, ‘তুমি হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ’, ‘একটু চাওয়া একটু পাওয়া’, ‘সবারই মনে আছে একটি আশা’, ‘জীবন ফুরিয়ে যাবে’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘এত প্রেম ছিল তোমারই বুকে’, ‘ছোট্ট একটা জীবন নিয়ে’, ‘সাগরের মতই গভীর’, ‘আমার হৃদয় একটা আয়না’, ‘জীবনে এসেছো তুমি ধীরে ধীরে’, ‘তোমার আমার এইনা ভালবাসা’, ‘এমন একটা দিন নাই’, ‘কি যাদু করেছ বলোনা’, ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও’ প্রভৃতি।
তার অন্যান্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে – খালিদ হাসান মিলুর সাথে ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘অনেক সাধনার পরে আমি’, ‘সাথী তুমি আমার জীবনে’, ‘আসসালামু আলাইকুম বিয়াইন সাব’, ‘কোন কাননের ফুল গো তুমি’; মনির খানের সাথে ‘ঈশ্বর আল্লাহ বিধাতা জানে’, ‘এ বুকে বইছে যমুনা’, ‘তোমার প্রেমে পড়েছি আমি’, ‘ও ‘প্রিয় ভুল বুঝে যাবে কোথায়’, ‘ভালোবাসা ছাড়া জানি বাঁচে না হৃদয়’, ‘মাথায় পাগড়ী পড়ে’ ও ‘বেঁচে আছি যত দিন’; আসিফের সাথে ‘জীবনের চেয়ে বড় প্রেম’; কুমার বিশ্বজিতের সাথে ‘ভালোবাসা ছাড়াতো হয়না জীবন’; বিপ্লবের সাথে ‘লক্ষ তারার মাঝে তুমি চাঁদ’ ইত্যাদি। চলচ্চিত্রের গান নিয়ে তার সর্বশেষ প্রকাশিত অ্যালবাম ‘আবার এসেছি ফিরে’।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলামও লেখেন তিনি।
কনকচাঁপা ১৯৬৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহন করেন। বাবা আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার স্বামী মইনুল ইসলাম খান।
কনকচাঁপা বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বশীর আহমেদের ছাত্রী। দীর্ঘদিন তাঁর কাছে উচ্চাঙ্গ, নজরুল সঙ্গীতসহ অন্যান্য ভারতীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন।
এন্ড্রু কিশোর
বাংলা চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক সম্রাট হিসেবে খ্যাত গায়ক এন্ড্রু কিশোর। তিনি ‘মেইল ট্রেন’ ছবিতে প্লেব্যাক করার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে তার কর্মজীবন শুরু করেন, তবে ছবিটি মুক্তি পায়নি। এরপর তিনি ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’ ছবিতে প্লেব্যাক করেন। মূলধারার চলচ্চিত্রে তার প্রথম প্লেব্যাক ছিল ‘প্রতিজ্ঞা’ ছবিতে।
তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল ‘বড় ভাল লোক ছিল’ ছবির “হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস”, ‘নয়নের আলো’ ছবির “আমার বাবার মুখে”, “আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি”, ‘লাল মেম সাহেব’ ছবির “ওগো বিদেশিনী তোমার চেরী ফুল দাও”, ‘ভাই বন্ধু’ ছবির “ভেঙ্গেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা”, ‘সারেন্ডার’ ছবির “সবাইতো ভালোবাসা চায়”, “জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প”, “ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে”, ‘অনুতপ্ত’ ছবির “তুমি এসেছিলে পরশু”, ‘আশা ভালবাসা’ ছবির “গান আমি গেয়ে যাবো”, ‘শেষ ঠিকানা’ ছবির “আমি পাথরে ফুল ফুটাবো”, ‘হারানো প্রেম’ ছবির “এলো বসন্ত আমার গানে”, ‘প্রেমগীত’ ছবির “সুখেরও নীড়ে আমি নীড়হারা পাখি”, ‘প্রেমের সমাধি’ ছবির শিরোনাম গান ও “জীবনের নৌকা চলে”, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ ছবির “পড়েনা চোখের পলক”, ‘বিয়ের ফুল’ ছবির “ঐ চাঁদ মুখে যেন লাগে না গ্রহণ” ও ‘নারীর মন’ ছবির “ঘুমিয়ে থাকো গো সজনী”, ‘আজ গায়ে হলুদ’ ছবির “চোখ যে মনের কথা বলে” প্রভৃতি।
তার গাওয়া অসংখ্য জনপ্রিয় দ্বৈত গানের মধ্যে রয়েছে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে “কি দিয়া মন কাড়িলা”, ‘দোলনা’ ছবির “তুমি আমার কত চেনা”, ‘প্রিয়জন’ ছবির “এ জীবনে যারে চেয়েছি”, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ ছবির “ও সাথীরে যেওনা কখনো দূরে”, ‘হৃদয়ের আয়না’ ছবির “তুমি চাঁদের জোছনা নও”; সামিনা চৌধুরীর সাথে ‘নয়নের আলো’ ছবির “আমার বুকের মধ্যেখানে”; রিজিয়া পারভীনের সাথে ‘ভাংচুর’ ছবির “সবার জীবনে প্রেম আসে”, ডলি সায়ন্তনীর সাথ ‘বাস্তব’ ছবির “বুক চিন চিন করছে হায়” প্রভৃতি।
রুনা লায়লার সাথে এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলো হল ‘অবুঝ হৃদয়’ ছবির “তুমি আমার জীবন”, ‘দুই জীবন’ ছবির “তুমি আজ কথা দিয়েছো” ও “আমি একদিন তোমায় না দেখিলে”, ‘আশীর্বাদ’ ছবির “চাঁদের সাথে আমি দেব না”, ‘প্রেমের অহংকার’ ছবির “প্রিয়া প্রিয়া বলে ডাকি যতবার”, ‘অধিকার চাই’ ছবির “মন মানেনা মানে না”, ‘বস্তির মেয়ে’ ছবির “আমার মনেরই অঙ্গনে সুখের ফাগুন এলো” প্রভৃতি।
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে কনকচাঁপার সাথে তার রোমান্টিক গানের জুটি গড়ে ওঠে। কনকচাঁপার সাথে তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য দ্বৈত গানসমূহ হল ‘তোমাকে চাই’ ছবির শিরোনাম গান ও “ভালো আছি ভালো থেকো”, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ ছবির “নয়নের কাছে থেকো”, ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবির “তুমি মোর জীবনের ভাবনা”, ‘কাজের মেয়ে’ ছবির “একদিন তোমাকে না দেখলে”, ‘ভুলনা আমায়’ ছবির “একদিকে পৃথিবী একদিকে তুমি যদি থাক”, ‘মন মানেনা’ ছবির “তুমি হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ” ও “একটু চাওয়া একটু পাওয়া”, ‘অন্তরে ঝড়’ ছবির “সবারই মনে আছে একটি আশা”, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’ ছবির “জীবন ফুরিয়ে যাবে”, ‘বিয়ের ফুল’ ছবির “তোমায় দেখলে মনে হয়”, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ ছবির “এত প্রেম ছিল তোমারই বুকে”, ‘প্রেমের তাজমহল’ ছবির “ছোট্ট একটা জীবন নিয়ে”, ‘প্রেমের জ্বালা’ ছবির “সাগরের মতই গভীর”, ‘ফুল নেবে না অশ্রু নেবে’ ছবির “আমার হৃদয় একটা আয়না”, ‘দিল তো পাগল’ ছবির “জীবনে এসেছো তুমি ধীরে ধীরে”, ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবির “কি যাদু করেছ বলোনা”, ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ ছবির “এক বিন্দু ভালোবাসা দাও” প্রভৃতি।
তার জন্ম ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহী শহরে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে এম কম ডিগ্রি অর্জন করেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
সাবিনা ইয়াসমিন ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের ভুবনে বিচরন করছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ বোধ হয় এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রেখে চলতে পারেননি। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি চলচ্চিত্রে প্রায় ১২ হাজারের মত গান করছেন। সেরা গায়িকা হিসেবে ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন এবং পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক।
মরমী শিল্পী আবদুল আলীম থেকে শুরু করে এন্ড্রু কিশোর, খুরশিদ আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, সুবীর নন্দী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, মনির খান, এমনকি হালের উঠতি গায়কদের সাথেও অবিরাম গেয়েছেন তিনি।
তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল “জানিনা সে হৃদয়ে কখন এসেছে”, “সে যে কেন এলো না”, “ও পাখি তোর যন্ত্রণা”, “একটুস খানি দেখ”, “যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম”, “আমি আছি থাকবো”, “আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত”, “এই মন তোমাকে দিলাম”, “আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য”, “শত জনমের স্বপ্ন”, “এ সুখের নেই কোন সীমানা” প্রভৃতি।
তার গাওয়া জনপ্রিয় দ্বৈত গানের মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর সাথে “হৈ হৈ হৈ রঙিলা”; খুরশীদ আলমের সাথে “ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই”; এন্ড্রু কিশোরের সাথে “কি দিয়া মন কাড়িলা”, “তুমি আমার কত চেনা”, “তুমি চাঁদের জোছনা নও”; খালিদ হাসান মিলুর সাথে “শুধু একবার বলো ভালোবাসি”; রফিকুল আলমের সাথে “তুমি আমার মনের মানুষ” প্রভৃতি।
সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর। পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তাঁর পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন। বাকি তিনজন হলেন ফরিদা ইয়াসমিন, ফৌজিয়া ইয়াসমিন, ও নিলুফার ইয়াসমিন।
কবির বকুল
কবির বকুল একজন গীতিকার, লেখক এবং সাংবাদিক। ১৯৮৮ সালে গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ‘অগ্নিসন্তান’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে গান লেখা শুরু করেন। চলচ্চিত্রের প্রথম গানের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। কবির বকুল ২০০৮, ২০০৯, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে পাঁচবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। Continue reading
মুনশী ওয়াদুদ
মুনশী ওয়াদুদ (Munshi Wadud) বাংলা চলচ্চিত্রের একজন প্রতিথযশা গীতিকারের নাম। চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখে যাচ্ছেন। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ভারতীয় শিল্পীদের জন্যও গান লিখেছেন। গান লিখেই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। Continue reading