রত্না

রত্না ২০০২ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ‘কেন ভালোবাসলাম’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান। সেলিম আজম পরিচালিত এ ছবিতে তিনি ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় করেন।  এরপর তিনি কাজী হায়াৎ পরিচালিত ইতিহাস’ ছবিতে নবাগত কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করেন।

অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন রত্না, কাজ করেন শীর্ষ নায়কদের সাথেও। তার অভিনীত  উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে, ‘অঙ্ক’, ‘নষ্ট’, ‘মন নিয়ে লুকোচুরি’, ‘কোটি টাকার মেয়ে গরীবের ছেলে’, ‘রক্তে ভেজা বাংলাদেশ’, ‘পাঁচ টাকার রুটি’, ‘ধোঁকা’, ‘সন্তান আমার অহঙ্কার’, ‘সন্তানের মতো সন্তান’, ‘টাইম মেশিন’, ‘সেদিন বৃষ্টি ছিল’। কিন্তু চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার জোয়ার বইতে শুরু করলে নিজেকে গুটিয়ে নেন চলচ্চিত্র থেকে। নতুনভাবে চলচ্চিত্রে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন রত্না। চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, তামান্না ফিল্মস নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারপারসন তিনি।

রত্নার বাবা এম এইচ কবির হলেন একজন প্রকৌশলী ও মুক্তিযোদ্ধা এবং মা হুসনা কবির হলেন একজন সাংবাদিক। রত্না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০১৪ দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন রত্না।

রোকেয়া প্রাচী

রোকেয়া প্রাচীর প্রথম স্বামী সার্জেন্ট আহাদ পারভেজ। ডিউটিরত অবস্থায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সার্জেন্ট আহাদের মৃত্যু হয় ১৯৯৯ সালে। এর দুই বছর পরে ২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক জনপ্রিয় টক শো আলোচক আসিফ নজরুলকে বিয়ে করেন রোকেয়া প্রাচী। এ সংসারে তাদের একটি সন্তানও জন্ম নেয়। কিন্তু প্রায় একযুগের কাছাকাছি সংসার করার পর ২০১২ সালে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। আসিফ নজরুলের জামাতঘেষা অবস্থানের কারণেই বিচ্ছেদ ঘটে বলে জানা যায়। প্রাচী এখন আলাদা থাকেন। বাকী জীবনটা দুই সন্তান নিয়েই কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

 

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চ, টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সূচনা’।

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কলকাতা আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি।

*জন্ম সালটি সঠিক নয়।

মহম্মদ হান্‌নান

মহম্মদ হান্‌নান (Mohammad Hannan) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি তিনি টিভি নাটকও পরিচালনা করেছেন।

বেবী ইসলামের সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে তার কর্ম জীবন শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে ‘রাই বিনোদিনী’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়। তার
পরিচালিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘মালা বদল’, ‘মাইয়ার নাম ময়না’ , ‘অবরোধ’, ‘বিচ্ছেদ’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ‘সাবধান’, ‘খবরদার’, ‘দলপতি’, ‘পড়েনা চোখের পলক’। ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘জীবন এক সংঘর্ষ’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘টিপটিপ বৃষ্টি’ ইত্যাদি। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘শিখন্ডি কথা’।

তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি।  ২১ জানুয়ারী ২০১৪ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে লঞ্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের কলাপুরে তাকে দাফন করা হয়।

জাভেদ আহমেদ কিসলু

জাভেদ আহমেদ কিসলু একজন সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। তিনি অসংখ্য বাংলা ছবির গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।