আবদুল্লাহ জহির বাবু

সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘তুমি আমার’ এর কাহিনীকার হিসেবে আবদুল্লাহ জহির বাবু চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন। ছবিটির পরিচালক জহিরুল হক তারা বাবা, ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি চলচ্চিত্র সংক্রান্ত কর্মকান্ডের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করেছিলেন।

তার রচিত কাহিনিতে এফ আই মানিক, মনতাজুর রহমান আকবর, শাহাদাৎ হোসেন লিটন, শাহীন সুমনদের মত পরিচালক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।

আবদুল্লাহ জহির বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার প্রাক্তন স্ত্রীর নাম ফারজানা, ২০১৪ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের দুটি সন্তান, একটি পুত্র এবং একটি কন্যা।

আবিদ হাসান বাদল

আবিদ হাসান বাদল একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি ‘আত্মসাৎ’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘আলীবাবা’, ‘তুমি কত সুন্দর’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।

আরিফুল হক

আরিফুল হক একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে লালন ফকির, সারেং বউ, বড় বাড়ির মেয়ে, সূর্য কন্যা, সুন্দরী, সখি তুমি কার, কথা দিলাম, নতুন বউ, এখনই সময়, পিতা মাতা সন্তান, দেশপ্রেমিক, ঘৃণা, তোমাকে চাই, স্বপ্নের নায়ক ইত্যাদি।

কায়েস আরজু

চলচ্চিত্র অভিনেতা কায়েস আরজু তুমি আছো হৃদয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষিক্ত হন। প্রথম কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি খুব পরিচিত না হলেও সাইফ চন্দন পরিচালিত চলচ্চিত্র ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল ছবি মুক্তির পর তিনি সবার নজরে পড়েন।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পূর্বে কায়েস আরজু চট্টগ্রামে গ্রুপ থিয়েটারে কাজ করতেন। ঢাকায় আসার পর তিনি বিজ্ঞাপন ও নাটকে কাজ করতে শুরু করেন। এ সময় অনেকেই তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের উৎসাহ দেন। সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার সময় তিনিও তাকে উৎসাহ দেন। পরবর্তীতে এটিএন বাংলায় চলচ্চিত্র নির্মাতা হাসিবুল ইসলাম মিজান তাকে চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব দেন। প্রথমে তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তীতে তিনি রাজী হন এবং তুমি আছো হৃদয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।

পরবর্তীতে তিনি বাজাও বিয়ের বাজনা, অবুঝ প্রেম, হেডমাস্টার প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

আমিন খান

চিত্রনায়ক আমিন খান তার বয়সের তুলনায় এখনো তরুণই রয়ে গেছেন। তার চেহারায় বিন্দুমাত্র বয়সের ছাপ পড়েনি। দেহাবয়বেও সে ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। মেদহীন শরীরে তিনি আগের মতোই প্রাণবন্ত রয়েছেন। Continue reading

আলীরাজ

অভিনেতা আলীরাজ (Aliraj) চলচ্চিত্রে আসেন নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে। ছেলেবেলায় সিরাজগঞ্জে থাকতেই বর্ণালী ক্লাবের সাথে অভিনয় শুরু করেন। এরপর কাজ করেছেন তরুণ সম্প্রদায়, দুর্বার, সংলাপ থিয়েটারে। ঢাকায় চলে আসার পর ঢাকা থিয়েটারে কাজ শুরু করেন। সেখানে তার সহ অভিনেতা ছিলেন হুমায়ূন ফরিদী, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মোস্তফা, রাইসুল ইসলাম আসাদের মত বড় অভিনেতারা। তারপর একদিন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু-র ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ নাটকে অভিনয় করলেন, সেই নাটকের মাধ্যমে চোখে পড়লেন রাজ্জাকের। Continue reading

আলী যাকের

আলী যাকের ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। ওই বছরেরই জুন মাসে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে যোগ দেন। তখন থেকে নাগরিকই তাঁর ঠিকানা। ‘বাকি ইতিহাস’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘দেওয়ান গাজীর কিস্‌সা’, ‘কোপেনিকের ক্যাপটেন’, ‘গ্যালিলিও’, ‘ম্যাকবেথ’সহ অনেক আলোচিত মঞ্চনাটকের অভিনেতা ও নির্দেশক তিনি।

‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি’, ‘পাথর’, ‘দেয়াল’সহ বহু টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেও তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনি বেতারে ৫০টির বেশি নাটক করেছেন। এছাড়াও তিনি আগামী, নদীর নাম মধুমতী, লালসালু ও রাবেয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

আলী যাকেরের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রামে। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর বাবা মোহাম্মদ তাহের ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। বাবার চাকরির বদলি সূত্রে অল্প বয়সে তিনি কুষ্টিয়া ও মাদারীপুরে কাটান।

তার স্ত্রী স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পী সারা যাকের, ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের, ছেলের বউ মিম রশিদ, নাতনি নেহা ও মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া।

আলী যাকের ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন আলী যাকের। সেই চিকিৎসার অংশ হিসেবে নিয়মিত থেরাপি চলছিল তাঁর। গত সপ্তাহে শারীরিক সমস্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হলে গত শনিবার বাসায় নেওয়া হয়। রোববার আবার ভর্তি করানো হয়। সোমবার কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়। ফলাফল হাতে পেলে জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ