খালিদ হাসান মিলু

খালিদ হাসান মিলুর সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকের প্রথমার্ধে । তার প্রকাশিত একক এ্যালবাম সংখ্যা ১২টি এবং মিশ্র ও দ্বৈত এ্যালবাম সংখ্যা প্রায় ১২০টি। তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে কণ্ঠে দিয়েছেন। তিনি প্রায় ১৫০০-এর মতো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। আলী হোসেনের সুরে ‘কালো গোলাপ’ এ প্রথম চলচ্চিত্রে গান করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল ‘সজনী আমি তো তোমায় ভুলিনি’, ‘সেই মেয়েটি আমাকে ভালবাসে কিনা’, ‘চিঠি লিখলাম তোমাকে’, ‘আমার মত এত সুখী’। তার দ্বৈত গানের মধ্যে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে ‘বড় মিষ্টি লাগে তুমি কাছে এলে’, ‘শুধু একবার বলো ভালবাসি’, ‘কত ভালোবাসি’, ‘এ বাঁধন যাবে না ছিড়ে’; কনকচাঁপার সাথে ‘সাথী তুমি আমার জীবনে’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘তুমি নাই কিছু নাই’; মিতালী মুখার্জীর সাথে ‘বার বার শতবার’ উল্লেখযোগ্য।

খালিদ হাসান মিলু জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬২ সালে ৩ এপ্রিল পিরোজপুরের আদর্শপাড়াতে। মিলুর বাবা মোদাচ্ছের আলী মিয়া ছিলেন স্থানীয় ‘গুনাইবিবি’ পালা গানের সাথে জড়িত। বাবা গানের মানুষ হিসেবে ছোট্ট মিলুরও ছিল গানের প্রতি বিশেষ এক ঝোঁক। এর কারণে তার গানের প্রতিভাও বিকশিত হয় দ্রুত। বাবার হারমোনিয়াম দিয়েই মিলুর গানের সাধনা শুরু।

তিনি ওস্তাদ রবীন দাস,সুরেশ দাস সহ আরো কয়েকজনের কাছে সঙ্গীত বিষয়ে তালিম নেন। তার তালিম নেয়া তখন পূর্নতা পায় যখন তিনি ১৯৭৮ সালে খুলনা বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পি হন। খুলনায় তিনি ‘স্পার্টান’ একটি ব্যান্ডও গঠন করেন। সঙ্গীতে নিজেকে আরো বিকাশিত করতে খালিদ হাসান মিলু ঢাকায় চলে আসেন।

মিলু লিভার সিরোসিসে ভুগে ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ ইন্তেকাল করেন। তার দুই পুত্র প্রতীক হাসান ও প্রিতম হাসানও সঙ্গীতের সাথে সম্পৃক্ত।

ফেরদৌস

ফেরদৌস একজন চলচ্চিত্র লেখক। তিনি ‘অন্তরে অন্তরে’ ও ‘সৎ মানুষ’ ছবির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন।

শিবলি সাদিক

রোমান্টিক ও সামাজিক এ্যাকশন ধারার চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত পরিচালকের নাম শিবলি সাদিক (Shibly Sadik)। ‘নোলক’ চলচ্চিত্রের জন্য তাকে বেশী স্মরণ করা হয়। Continue reading

সাইফুদ্দিন

বাংলাদেশের প্রথম সবাক ছবি মুখ ও মুখোশে অভিনয়ের মাধ্যমে যে গুটিকয়েক লোক চলচ্চিত্রের এবং নিজেদের চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু করেন তাদের মধ্যে সাইফুদ্দিন অন্যতম। বিভিন্নরকম চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি টিভি নাটকেও অভিনয় করেন। Continue reading

মুশফিকুর রহমান গুলজার

মুশফিকুর রহমান গুলজার (Mushfiqur Rahman Gulzar) একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচিত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নাসির হোসেন খান

নাসির হোসেন খান ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তার হিন্দি ভাষার ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’ চলচ্চিত্রটি বাংলা ভাষায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নামে পুনর্নির্মিত হয়।