অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চ, টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সূচনা’।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কলকাতা আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি।
*জন্ম সালটি সঠিক নয়।
অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চ, টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সূচনা’।
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা কলকাতা আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি।
*জন্ম সালটি সঠিক নয়।
মহম্মদ হান্নান (Mohammad Hannan) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি তিনি টিভি নাটকও পরিচালনা করেছেন।
বেবী ইসলামের সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে তার কর্ম জীবন শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে ‘রাই বিনোদিনী’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়। তার
পরিচালিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘মালা বদল’, ‘মাইয়ার নাম ময়না’ , ‘অবরোধ’, ‘বিচ্ছেদ’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ‘সাবধান’, ‘খবরদার’, ‘দলপতি’, ‘পড়েনা চোখের পলক’। ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘নয়ন ভরা জল’, ‘জীবন এক সংঘর্ষ’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘টিপটিপ বৃষ্টি’ ইত্যাদি। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘শিখন্ডি কথা’।
তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি। ২১ জানুয়ারী ২০১৪ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে লঞ্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের কলাপুরে তাকে দাফন করা হয়।
জাভেদ আহমেদ কিসলু একজন সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার। তিনি অসংখ্য বাংলা ছবির গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
এম এ কাইয়ূম একজন চিত্রগ্রাহক।
রিজিয়া পারভীন একজন সঙ্গীতশিল্পী। তার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে। তখন ভারতীয় বিভিন্ন শিল্পীর গান গাইতেন। ঢাকায় আসার পর বিভিন্ন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে ভারতীয় আধুনিক বাংলা গান, হিন্দি গানের বাংলা রূপান্তর আর পুরোনো দিনের গানের রিমেক গাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। অল্প সময়ে পরিচিতি পাওয়ার জন্য তিনি রিমেক গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন। রিমেক গান গেয়ে তিনি ও পলাশ দারুণ জনপ্রিয়তা পান। অল্প সময়ের মধ্যে তাদের ২৫টি অ্যালবাম বাজারে আসে। রিমেক আর মৌলিক মিলে তার ১৩২টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় তিনি প্রথম চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৮২ সালে ‘তালাক’ ছবিতে তার গাওয়া গানটি রেকর্ডিং হয়। এরপর তিনি চলচ্চিত্রের দেড় হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে ‘চাঁদের আলো’ ছবির ‘তুমি আমার চাঁদ, আমি চাঁদেরই আলো/ যুগে যুগে তোমায় আমি বাসব ভালো’ গানটিই তার সংগীতজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দ্বৈত গানটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর তিনি ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘প্রিয়জন’, ‘মনের মত মন’, ‘টপ হিরো’, ‘এভাবেই ভালোবাসা হয়’ প্রভৃতি ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
১৯৯০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সেলেক্স-এর ব্যানারে বাজারে প্রথম ডলির একক অ্যালবাম ‘হে যুবক’ বাজারে আসে। ‘ঘেরাও’ সিনেমাতে তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। ডলি সায়ন্তনীর শ্রোতাসমাদৃত অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে- ‘কালিয়া’, ‘নীরব রাতে’, ‘বিরহী প্রহর’, ‘সুখে থেকো’, ‘নিতাইগঞ্জে জমছে মেলা’, ‘বাংলাদেশের মেয়ে’।
ডলির জন্ম ২২ আগস্ট। তার শৈশব কেটেছে পাবনাতে। তার ভাই বাদশা বুলবুল, বোন পলি সায়ন্তনীও জনপ্রিয় শিল্পী। মা মনোয়ারা বেগমও যুক্ত ছিলেন গানের সঙ্গে।
শাকিলা জাফর প্রথম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রকৌশলী মান্নার সঙ্গে। তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ সময় একা জীবন যাপন করেন এ সংগীতশিল্পী। ২০১৫ সালের শেষের দিকে জানা যায় তিনি প্রকৌশলী এবং কবি রবি শর্মাকে বিয়ে করেছেন। রবি শর্মা কর্পোরেট জগতের লোক হলেও নিয়মিত কবিতা লেখেন। ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইমস মিউজিক থেকে মুনলাইট হুইসপার নামে তার লেখা গানের একটি অ্যালবাম বেরিয়েছে।
‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’র মত বহু শ্রোতাপ্রিয় গানের কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্লেব্যাকে আসেন সুবীর । ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় আজিজুর রহমান অশিক্ষিত। সেই সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিন আর সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। দীর্ঘ সংগীত জীবনে তিনি আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এবং পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছরই তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।
তার আরও কিছু জনপ্রিয় গান হল ‘আশা ছিল মনে মনে’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’, ‘তুমি এমনই জাল পেতেছ’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, একটা ছিল সোনার কইন্যা’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’।
সুবীর নন্দীর জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায়। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব কেটেছে চা বাগানে। পরিণত বয়সে গানের পাশাপাশি চাকরি করেন ব্যাংকে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগে তিনি ২০১৯ সালে ৭ মে পরলোকগমন করেন।