সজল খালেদ পেশায় একজন প্রকৌশলী হলেও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে বেশী পরিচিত। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিকদের নিয়ে তিনি একটি ডকিউমেন্টারী নির্মান করেছিলেন, নাম ‘একাত্তরের শব্দসেনা’। ‘কাজলের দিনরাত্রি’ তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। Continue reading
News Category:
খন্দকার ফারুক আহমেদ
খন্দকার ফারুক আহমেদ (Khandokar Faruque Ahmed) নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘চাওয়া পাওয়া’ চলচ্চিত্রে সত্য সাহার সুরে ‘রিক্ত হাতে যারে ফিরিয়ে দিলে’ গানে কণ্ঠ প্রদানের মাধ্যমে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান “নীল আকাশের নীচে”, “কাছে এসো যদি বলো” প্রভৃতি।
আবদুল হাই আল হাদী
আবদুল হাই আল হাদী একজন গীতিকার। তিনি ‘কাজল রেখা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘নিষ্পাপ বধূ’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘রসের বাইদানী’ চলচ্চিত্রের গান লিখেছেন।
আজাদ মিন্টু
আজাদ মিন্টু একজন সঙ্গীত পরিচালক। তিনি ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘হাই রিস্ক’, ‘জ্বী হুজুর’, ‘খাস জমিন’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
দিলীপ ভৌমিক
দিলীপ ভৌমিক একজন চিত্রগ্রাহক। তিনি ‘স্বপ্নের নায়ক’ ও ‘আমার অন্তরে তুমি’ ছবির চিত্রগ্রহণ করেন।
আলী হাসান
আলী হাসান একজন চলচ্চিত্রের কাহিনিকার। তিনি ‘দোলা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’ ও ‘প্রাণের মানুষ’ ছবির কাহিনি লিখেছেন।
জহির উদ্দিন পিয়ার
জহির উদ্দিন পিয়ার মঞ্চ নাটক থেকে চলচ্চিত্র অভিনয়ে আসেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘জীবন দিয়ে ভালোবাসি’। এরপর তিনি ‘বিক্ষোভ’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘বাবার বাবা’, মানুষ কেন অমানুষ’, ‘ঝড়’, ‘খবর আছে’, ‘সাগরিকা’, ‘পৃথিবী তোমার আমার’, ‘মধুর মিলন’, ‘মহাযুদ্ধ’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তার অভিনীত মঞ্চ নাটক হল ‘সংবাদ কার্টুন’, ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘কীর্তনখোলা’, ‘ফণিমনসা’, ‘কেরামত মঙ্গল’ প্রভৃতি। তার অভিনীত টিভি নাটক হল ‘খাঁচা’, ‘বামুনের শব্দ শুনি’, ‘এখানে নোঙ্গর’, ‘শেষ বসন্তের নিশিতে রাত্রি’, ‘সেই এক গাইন’, ‘বকুলপুর কতদূর’, ‘ভালোবাসায় বসবাস’, ‘গ্রন্থিকগণ কহে’ প্রভৃতি।
পিয়ারের জন্ম ঢাকার আজিমপুরে।
সোনিয়া
সোনিয়া নব্বইয়ের দশকে ঢালিউড চলচ্চিত্রে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালে ‘মাস্তান রাজা’ ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। পরের বছর ‘প্রেমশক্তি’ ছবিতে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি সে সময়ের শীর্ষস্থানীয় নায়কদের সঙ্গে প্রায় ৫০টিরও অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল ‘আজকের বাদশা’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘আমার মা’, ‘মর্যাদার লড়াই’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘পরান কোকিলা’, ‘ঘাতক’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘অজান্তে’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘মেয়েরাও মাস্তান’, ‘বউ শাশুড়ীর যুদ্ধ’, ‘অন্তরে ঝড়’, ‘জিরো জিরো সেভেন’ প্রভৃতি।
সোনিয়া ১৯৭৭ সালের ২৯ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম রুখসান হাসি। শৈশবে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শিখেছেন এবং বিটিভির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেছেন। চলচ্চিত্রে কাজ করার পাশাপাশি তিনি নাটকেও অভিনয় করেছেন।
তিনি বর্তমানে লন্ডনে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছেন। তিনি তিন সন্তানের জননী।