আনিস

আনিস বাংলাদেশের মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের অন্যতম পরিচিত অভিনেতা। কৌতুক চরিত্রে বেশী অভিনয় করেন বলে তিনি কৌতুক অভিনেতা আনিস হিসেবে বেশী পরিচিত। তিনি টিভি, মঞ্চ এবং চলচ্চিত্র সবক্ষেত্রেই অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন।

Continue reading

রানী সরকার

অভিনেত্রী রানী সরকার চলচ্চিত্রে আসার পূর্বে তিনি মঞ্চ ও বেতারে কাজ করেছেন। তার অভিনীত প্রথম মঞ্চনাটক ‘বঙ্গের বর্গী’ (১৯৫৮)। তার প্রথম ছবি এ জে কারদারের ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’। এই ছবিটি মুক্তি পায় নি। তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি এহতেশামের উর্দু ভাষার ‘চান্দা’ (১৯৬২)। এরপর তিনি উর্দু ‘তালাশ’ ও বাংলা ‘নতুন সুর’ ছবিতে অভিনয় করেন।

রানী সরকারের প্রকৃত নাম মোসাম্মৎ আমিরুন নেসা খানম। তার ডাকনাম ছিল মেরী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন নৃত্য শিল্পী। এইতো জীবন, মালা, ঘূর্ণিঝড় সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি নৃত্য পরিচালনা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং পিত্তথলিতে পাথর, বাতজ্বর, জটিল কোলেলিথিয়েসিস রোগে ভোগে ২০১৮ সালের ৭ই জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে ইউনিটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

ফখরুল হাসান বৈরাগী

জনপ্রিয় প্যাকেজ অনুষ্ঠান ইত্যাদির পরিচিত মুখ ফখরুল হাসান বৈরাগী। তিনি একাধিক চলচ্চিত্রে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সেয়ানা’।

আরিফ জাহান

আরিফ জাহান (Arif Jahan) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক। পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এবং সঙ্গীত পরিচালক আনোয়ার জাহান নান্টু তার আপন চাচা। এম এন ইস্পাহানীর আপন ফুফাতো ভাই আরিফ জাহান এবং ইস্পাহানী যুগলভাবে চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেন। বাংলা চলচ্চিত্রের সবচে পুরানো পরিচালক জুটি হল এই ইস্পাহানী এবং আরিফ জাহান।

দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে আরিফ জাহানের পদচারনা। ১৯৮৯ সাল থেকে আরিফ জাহান ঝন্টুর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে ইস্পাহানীর সাথে মিলে যৌথভাবে চলচ্চিত্র পরিচালনা এবং প্রযোজনা শুরু করেন। তাদের প্রযোজনা সংস্থার নাম দিগন্ত চলচ্চিত্র।

আরিফ জাহান ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ।

আনোয়ার জাহান নান্টু

“তুমি আমার মনের মাঝি আমার পরান পাখি”, “চোখের জলে আমি ভেসে চলেছি”, “প্রেমের সমাধি ভেঙে”-সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সংগীত পরিচালক আনোয়ার জাহান নান্টু।

তার সংগীত পরিচালনায় নির্মিত ছবির মধ্যে রয়েছে বাংলার কিং কং, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বকুল ফুলের মালা, নাচ রূপসী, বিষাক্ত ছোবল, বীর সৈনিক, নায়ক, বিজলী তুফান, চুরমার, গরীবের রাজা রবিনহুড, গরীবরাও মানুষ, কন্যাদান ও প্রেমের সমাধি। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের জন্যও তিনি অনেক গানের সুর করেছেন।

তিনি ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ৩টায় ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। নান্টু দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসসহ একাধিক বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার ছেলে নাট্যপরিচালক সাগর জাহান।

বরেণ্য সংগীত পরিচালকের পরিবারের একাধিক সদস্য চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু তার ভাই। দুইভাইকে পরিচালক-সংগীত পরিচালক জুটি হিসেবে অনেক চলচ্চিত্রে পাওয়া গেছে।

দিলদার হাসান

দিলদার হাসান একজন চলচ্চিত্র সম্পাদক। তিনি ‘কন্যাদান’, ‘প্রেমের সমাধি’, ‘লাট সাহেবের মেয়ে’, ‘বীর সৈনিক’, ‘একজন সঙ্গে ছিল’ চলচ্চিত্রের সম্পাদনা করেছেন।