মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী

‘ওই দূর দূর দূরান্তে’, ‘হেসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়’, ‘হৈ হৈ হৈ রঙিলা রঙিলা রে’, ‘শোনো গো রুপসী’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী (Mohammad Ali Siddiqui)। ১৯৬০ সাল থেকে তিনি রেডিও আর চলচ্চিত্রে গান গাইতে শুরু করেন। ষাট, সত্তর ও আশির দশকে তিনি একাধারে চলচ্চিত্র, রেডিও এবং টেলিভিশনে গান গাইতেন।

তার স্ত্রী সুরাইয়া সিদ্দিকী। তাঁদের তিন কন্যা – এ্যানি সিদ্দিকী, রেনি সিদ্দিকী ও গিনি সিদ্দিকী।

খুরশীদ আলম

খুরশীদ আলম একজন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি সুরকার আজাদ রহমানের তত্ত্বাবধানে ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শিখেন। আজাদ রহমানের সুরে ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্রের “তোমার দু হাত ছুঁয়ে শপথ নিলাম” গান দিয়ে তার প্লেব্যাকে অভিষেক হয়। এরপর তিনি ‘দোস্ত দুশমন’, ‘জোকার’, ‘মধুমালতী’, ‘সাক্ষী’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘জিঘাংসা’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘লালু ভুলু’ সহ প্রায় সাড়ে তিনশ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন।

তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হল “নাচ আমার ময়না তুই পয়সা পাবি রে”, “পাখির বাসার মত দুটি চোখ”, “তোর রূপের গরব করিস না”, “নাচোগো অঞ্জনা নাচো কোমড় দুলাইয়া”, “এ আকাশকে সাক্ষী রেখে”, “ছবি যেন শুধু ছবি নয়”, “চুমকি চলেছে একা পথে”, “মা আমার সাধ না মিটিল” প্রভৃতি।

তার জন্ম ১৯৪৬ সালে জয়পুরহাট জেলায়। তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ (অনার্স) সম্পন্ন করেন।

ইনাম আহমেদ

পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ও সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ইনাম আহমেদ চলচ্চিত্রে আগমন করেন।

ইনাম আহমেদের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ তারিখে সিলেটে। তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৩ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।

এনামুল হক

এনামুল হক একজন চলচ্চিত্র সম্পাদক। তিনি এফডিসির প্রতিষ্ঠাকালীন চলচ্চিত্র সম্পাদকদের একজন। তার সম্পাদিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘যে নদী মরু পথে’। এরপর তিনি উর্দু ভাষার ‘প্রীত না জানে রীত’, ‘বাহানা’, ‘সংগম’, ‘নাচঘর’ এবং বাংলা ভাষার ‘জোয়ার এলো’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘বেহুলা’, ‘আনোয়ারা’, ‘দুই ভাই’, ‘মনের মত বউ’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের সম্পাদনা করেছেন।

তার জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৫ জুন পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার বারাসাতে।