হৃদয় খান

২০১০ সালের শুরুর দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। এর আগে সাত বছর প্রেম করেন নওরীন নামের আরেকজন মেয়ের সঙ্গে। পরবর্তীতে হৃদয় খানের একটি গানের মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছিলেন সুজানা। এরপর তার থেকে সাত বছরের বড় সুজানাকে ভালো লেগে যায় হৃদয় খানের। সেই ভালো লাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়। প্রায় চার বছর ধরে প্রেম করে ২০১৪ সালের ১ আগস্ট বিয়ে করেন সাত বছরের বড় সুজানাকে। পত্র-পত্রিকা আর টিভির সামনেও স্বগর্বে নিজের প্রেমের কথা, ভালোবাসার কথা বলেছেন হৃদয় খান। কিন্তু হৃদয় খানের অনেক সাধনার বিয়ে বছর ঘুরার আগেই ভাঙনের মুখে পড়ে। কারণ, পারস্পরিক সমঝোতা না হওয়া। গত ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল বিচ্ছেদ হয় হৃদয়-সুজানার।

 

মিজু আহমেদ

বাংলা চলচ্চিত্রে খল চরিত্রের পরিচিত মুখ মিজু আহমেদ ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন করে। শৈশব থেকেই কুষ্টিয়ার স্থানীয় নাট্যগোষ্ঠীর সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।

শক্তিমান খল অভিনেতা রাজীবের মৃত্যুর পর তিনি ও মিশা সওদাগর খল চরিত্রে শীর্ষস্থান দখল করেন। ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না’ ছবিতে খল চরিত্রে অভিনয় করে তিনি একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

মিজু আহমেদ একাধিক ছবি প্রযোজনাও করেছেন। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম ফ্রেন্ডস মুভিজ। মিজু আহমেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং একমাত্র ছোট সন্তান হারসাতকে নিয়েই তার পরিবার।

২০১৭ সালের ২৭ মার্চ তারিখে একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য ট্রেনযোগে দিনজাপুর যাওয়ার উদ্দেশে তিনি বিমানবন্দর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ ঐ সময় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তিনি। এসময় ট্রেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পালস পরীক্ষা করে তার হার্টবিট পাননি। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে মিজু আহমেদকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সিদ্দিকুর রহমান

সিদ্দিকুর রহমান টেলিভিশনে রম্য অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ‘এইতো ভালোবাসা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন।

নিপুণ

দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী নিপুণের (Nipun) জীবনটাও অনেকটা চলচ্চিত্রের মত। ১৯৯৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার পর মস্কোতে চলে যান, সেখানে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করেন। এর মাঝে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধও হন তিনি। বিবাহসূত্রে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০০৬ সালে দেশে ফিরে এলে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান। অনেকটা শখের বশেই সিনেমায় অভিনয় করেন। দুর্ভাগ্য, প্রথম অভিনীত সিনেমা ‘রত্নগর্ভা মা’ নামের সেই চলচ্চিত্রটি মুক্তির আলো দেখে নি। ‘পিতার আসন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালী পর্দায় আসেন নিপুণ।

২০০৮ সালে ‘সাজঘর’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ২০০৯ সালে ‘চাদের মত বউ’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার  পাওয়ার পরই জীবনের মোড় ঘুরে যায়, নিজেকে চলচ্চিত্রকেন্দ্রিক হিসেবে তৈরী করে নেন। অতি সম্প্রতি কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ডাকও পেয়েছেন নিপুণ।

নিরব হোসেন

নিরব র‌্যাম্প মডেল দিয়ে বিনোদন জগতে পা রাখেন। এরপর তিনি টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। সেখান থেকে চলচ্চিত্রে ডাক পান নিরব। ২০০৯ সালে পরিচালক শাহীন-সুমনের ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন।

নিরব পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকে। তার স্ত্রী তাশফিয়া তাহের চৌধুরী। তাদের এক কন্যা রয়েছে।

ইমন

মডেলিং দিয়ে মিডিয়া যাত্রা শুরু। তারপর ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করে বড়পর্দায় আসেন ইমন (Emon)।

তৌকির আহমেদ পরিচালিত দারুচিনি দ্বীপ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ইমন। তারপরে কিছু নাটক এবং বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু সকলের নজড় কাড়েন বাংলালিংকের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে। ইমন অভিনীত প্রথম দিককার চলচ্চিত্রগুলো খুব একটা ব্যবসাসফল হয়নি। কিন্তু ধীরে ধীরে সফলতার মুখ দেখেন ইমন এবং শীর্ষ নায়িকাদের সাথে জুটি বেঁধে কাজ করতে শুরু করেন।

ইমনের প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন এবং ক্রিকেট, প্রিয় খাবার ভুনা খিচুড়ি এবং ইলিশ ভাজা।

ইমনের ফেসবুক প্রোফাইল: Mamnun Hasan Emon

মিশা সওদাগর

পর্দার খারাপ লোক মিশা সওদাগর (Misha Sawdagor) চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন ১৯৮৬ সালে। এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হন মিশা। ছট্কু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ১৯৯০ সালে। ‘অমরসঙ্গী’ ছবিতেও তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন, কিন্তু দুটোর একটিতেও সাফল্য পান নি। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিচালক তাকে খল চরিত্রে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ ছবিতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। আউটডোর শ্যুটিং শেষ করে ফিরে একে একে সাতটি ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন মিশা। ১৯৯৪ সালে ‘যাচ্ছে ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম খলনায়ক হিসেবে পর্দায় উপস্থিত হন।

মিশা সওদাগর ৯০০-রও বেশী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শুরুতে রাজীব, হুমায়ূন ফরীদ, মিজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, নাসির খানদের সাথে দ্বিতীয় ভিলেন হিসেবে অভিনয় করলেও অচিরেই তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে প্রধান ভিলেন হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন মিশা সওদাগর। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ খল চরিত্রে এবং শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনেতা চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছেন।