ইলোরা গহর

ইলোরা গহর (Elora Gohor) প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন সূর্য দীঘল বাড়ি-তে। সে সময় তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তেন। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করে নেন। পরবর্তীতে প্রায় আঠারো বছর পরে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিফিল্ম চড়ুইভাতি-তে অভিনয় করার মাধ্যমে আবার অভিনয়ে নিয়মিত হন।

ইলোরা গহরের বাবা প্রখ্যাত লেখক, বুদ্ধিজীবি, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা পদক বিজয়ী নঈম গহর।

অপি করিম

সৈয়দা তুহিন আরা অপি করিম মডেল এবং অভিনেত্রী। অপি করিম ১৯৯৯ সালে লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় ‘মিস ফটোজেনিক’ খেতাব অর্জন করেন। নাটক, টেলিফিল্ম, উপস্থাপনা, চলচ্চিত্র, মঞ্চ, বিজ্ঞাপন, নাচ আবার পড়াশোনা- সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তার দ্যুতি ছড়ানো প্রতিভা।

রতন পাল

রতন পাল একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী শব্দগ্রাহক।

শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি

শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি (Srabosti Dutt Tinni) মিডিয়ায় আসেন মডেলিং এর মাধ্যমে। ২০০৪ সালে তিনি মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই জনপ্রিয়তা তাকে মূলধারার চলচ্চিত্রে নিয়ে আসে। কিন্তু মাদকাসক্তি, উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন ইত্যাদি তাকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হতে দেয় নি। Continue reading

রোজী সিদ্দিকী

২২ বছর আগে ১৯৯৩ সালে গৌতম ঘোষের পরিচালনায় ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এটি ছিল রোজী সিদ্দিকীর প্রথম চলচ্চিত্র। মঞ্চে রোজী সিদ্দিকীর যাত্রা শুরু ‘থিয়েটার আরামবাগ’ দিয়ে। মমতাজ উদ্দীন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় সর্বপ্রথম তিনি ‘সাতঘাটের কানাকড়ি’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন।  ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত এই দলের হয়ে অভিনয় করেছেন মঞ্চে। এরপর ১৯৯৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিয়ের পর থেকে তিনি ‘ঢাকা থিয়েটার’-এ নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এ দলেরই হয়ে কাজ করছেন। এ দলের হয়ে মঞ্চে তার উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ‘হাত হদাই’, ‘প্রাচ্য’, ‘বন পাংশুল’, ‘ধাবমান’ ইত্যাদি।

আশুতোষ সুজন

আশুতোষ সুজন দীর্ঘদিন ধরেই টেলিভিশন নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত। নির্মাণের এক নিপুণ কারিগর যদি বলি তবে ভুল হবার কথা নয়। কারণ তিনি ইতোমধ্যেই ছোট পর্দায় ভাল নাটক নির্মাণ করে বেশ আলোচিত। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘দেশান্তর’। এটি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় কিছু মানুষ নানা সংকটের মধ্যে দেশ ছাড়েননি, বরং দেশ প্রেমের তাগিদে থেকে গিয়েছিলেন এদেশে তাদের গল্প।

আশুতোষ সুজন ‘ব্যাচেলর’ ও ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি আলোচিত ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ জুয়েল ফুফার চরিত্রে অভিনয় করছেন।

সুজন ২০১৬ সালের মে মাসে কবি নির্মলেন্দু গুণের কন্যাকে মৃতিকা গুণকে বিয়ে করেন।

এম এ খালেক

এম এ খালেক একজন সঙ্গীতশিল্পী ও গীতিকার। তিনি ‘চাকর’, ‘মহামিলন’ ‘শেষ খেলা’, ‘ঘাটের মাঝি’ ও ‘ডান্ডা মেরে ঠান্ডা’ প্রভৃতি ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান হল ‘আমার হাড় কালা করলাম’, রুনা লায়লার সাথে দ্বৈত কণ্ঠে ‘তুমি আমারই আমারই থাকবে’, রিজিয়া পারভীনের সাথে দ্বৈত কণ্ঠে ‘জন্ম আমার তোমারি জন্য’, সালমা জাহানের সাথে দ্বৈত কণ্ঠে ‘এক দিন দুই দিন তিন দিন পর’।

মাসুদ আলী খান

মাসুদ আলী খান একজন বরেণ্য অভিনেতা। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু। তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।

মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে তাহমিনা খানকে বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।

তিনি ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।