News Category:
দেলোয়ার আরজুদা শরফ
গীতিকার হয়ে ওঠার গল্প জানতে চাইলে দেলোয়ার আরজুদা শরফ মৃদু হাসলেন। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে হারিয়ে গেলেন নিজের সোনালি অতীতে। এরপর গল্পের ঝাঁপি খুলে বলা শুরু করলেন, ‘শুরুটা স্কুলজীবন থেকে। ওই সময় প্রচুর গান শুনতাম। মান্না দে, হেমন্ত দা, আশা জি, লতা জি, কিশোর কুমারের গান শুনতাম বেশি। একসময় আমাদের ভরসা ছিল কলকাতার গান। পড়াশোনার পাশাপাশি গান শুনতে শুনতে সংগীতের ভেতর মনটা ডুবে যেতে থাকলাম। তখন ভাবতে শুরু করলাম গান কীভাবে লেখা যায়? এপর গান লেখা শুরু করলেও তখন সেগুলো আসলে গান হচ্ছিল না। তাই গান লেখার নিয়মটা জানতে চেষ্টা করলাম। পরে গান লেখার প্র্যাকটিসও করলাম। এভাবেই স্কুল পেরিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করলাম। পরবর্তীকালে গানের জগতে প্রবেশ করলাম। শুরুতে গান লেখা ছিল আমার শখ। সেটা একসময় পেশায় পরিণত হলো। ১৯৯৮ সালে আমার লেখা প্রথম গান রেকর্ডিং হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত গান লিখে যাচ্ছি। দীর্ঘ ১৬ বছরের সংগীতজীবনে আমার লেখা গানের সংখ্যা ৪ হাজারের উপরে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ জনপ্রিয় শিল্পী আমার লেখা গান কণ্ঠে ধারণ করেছেন। এরমধ্যে অনেক গান জনপ্রিয়ও হয়েছে। জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘দু’চোখে ঘুম আসে না’, ‘বিন্দিয়ারে বিন্দিয়া’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’, ‘ইন্দুবালা গো’, ‘জীবনের সবটুকু সুখ’, ‘নদী’, ‘টিপ টিপ বৃষ্টি’, ‘সংসার আমার ভালো লাগে না’, ‘আজ মন ভালো নেই আমার’, ‘যদি তুমি বলো’ ও ‘ছুঁয়ে দেখ জোছনা’, ‘প্রতিদিন ভোর হয় সূর্য ওঠে’, ‘শুধু ভালোবাসা’, ‘ভালোবাসার অধরা’ ও ‘জীবনের সবটুকু সুখ দেবো আমি তোমায়’ ইত্যাদি।’
খোকন
খোকন একজন অঙ্গসজ্জাকার। তিনি ‘তোমাকে চাই’, ‘শুধু তুমি’, ‘মধু পূর্ণিমা’, ‘গরীবের অহংকার’, ‘শিকারী, ‘ঘানি’, ‘মাস্তান সম্রাট’, ‘ময়না মতির সংসার’ ও ‘লাল টিপ’ ছবির অঙ্গসজ্জার দায়িত্ব পালন করেন।
ইরান আহমেদ
ইরান আহমেদ একজন নৃত্য পরিচালক।
খোকন মৃধা
খোকন মৃধা একজন রূপসজ্জাকার। তিনি ‘স্নেহ’, ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘রাগী’, ‘ভন্ড প্রেমিকা’, ‘তুমি কি সেই’ প্রভৃতি ছবির রূপসজ্জার দায়িত্ব পালন করেন।
মাহফুজুর রহমান
এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান।
দিলদার
বাংলা চলচ্চিত্রে দিলদারের (Dildar) প্রধান পরিচয় কৌতুক অভিনেতা। বাস্তবতার দৈনন্দিন ঘানি টানা শেষে ক্লান্ত শরীরে সাধারণ দর্শক যখন তার অভিনয় দেখতেন, তখন তারা মুগ্ধ হতেন, প্রাণ খুলে হাসতেন, ভুলে যেতেন সারা দিনের সব কষ্ট।
অভিনেতা দিলদার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কেন এমন হয় এ অভিনয় করার মাধ্যমে। ধীরে ধীরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতার আসন দখল করে নেন তিনি। দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করেই নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলী জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
অভিনয়ের জন্য স্বীকৃতিও পেয়েছেন দিলদার। সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে দিলদার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
দিলদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। তিনি ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই তারিখে ইন্তেকাল করেন।
সূত্র:
১. বণিক বার্তা
নাসির খান
ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান খল অভিনেতা নাসির খান। তিনি ‘স্নেহ’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘ভন্ড’, ‘বীর সৈনিক’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’ সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।