বশীর হোসেন

বশীর হোসেন একজন চলচ্চিত্র সম্পাদক এবং পরিচালক। তার চলচ্চিত্রাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে চিত্রসম্পাদক হিসেবে। এরপর তিনি ‘রাজধানীর বুকে’, ‘হারানো দিন’, ‘সূর্যস্নান’, ‘ধারাপাত’, ‘মেঘ ভাঙ্গা রোদ’, ‘অনেক দিনের চেনা’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘গোধুলীর প্রেম’, ‘রূপবান’, ‘জানাজানি’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘অপরাজেয়’, ‘সাত ভাই চম্পা’ ইত্যাদি। তার সম্পাদিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রগুলো হল চান্দাতালাশইয়ে ভি এক কাহানিবন্ধনমিলনক্যায়সে কহোসাত রং, ও বেগানা, ‘উলঝন‘, ‘তুম মেরে হো‘, ও ‘সোয়ে নদীয়া জাগে পানি‘। তিনি ‘মাটির মায়া’ ও ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবির জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ সম্পাদক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

বশীর হোসেনের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২২ নভেম্বর কুমিল্লার দেবীদ্বারে। তিনি ১৯৭৮ সালের ২৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন।

এম এ মোবিন

এম এ মোবিন হলেন একজন চিত্রগ্রাহক। তিনি ‘সীমানা পেরিয়ে’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক পুরস্কার জয় করেন।

সিমলা

প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এমন স্বল্প অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে সিমলা (Shimla) অন্যতম। শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ম্যাডাম ফুলি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন সিমলা ১৯৯৯ সালে। প্রথম ছবির এই সাফল্যে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।

সিমলা চলচ্চিত্রে আসেন গীতিকার-সুরকার মিল্টন খন্দকারের মাধ্যমে। সিমলা মিল্টন খন্দকারের চাচাতো বোন, তিনিই পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের সাথে সিমলার পরিচয় করিয়ে দেন। খোকন তার পরপর তিনটি চলচ্চিত্রে সিমলাকে কাস্ট করেন। এগুলো হল ম্যাডাম ফুলি, পাগলা ঘন্টি এবং বওয়া। তৃতীয় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয় নি।

চলচ্চিত্রে আগমনের আগে সিমলার অভিনয়কেন্দ্রিক কোন প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা না থাকলেও শুধুমাত্র আগ্রহ আর প্রচেষ্টার দ্বারা তিনি চলচ্চিত্রে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হন। ২০১৩ সালের জুন মাসে কোলকাতায় ‘সমাধি’ চলচ্চিত্রে তিনি মুম্বাইয়ের তারকা অভিনেতা গোবিন্দের বিপরীতে অভিনয় করেন। কোলকাতার সংগীতকার বাপ্পী লাহিড়ীর মাধ্যমে গোবিন্দে বিপরীতে কাজ করার সুযোগ পান বলে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন সিমলা।

চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হলেও সিমলা টিভি নাটক এবং বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। তিন পুরুষ, ফ্ল্যাট নং ৪০ ইত্যাদি তার অভিনীত নাটক।

সিমলার শৈশব কৈশোর কেটেছে ঝিনাইদহের শৈলকূপায়। শৈলকূপা গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি শৈলকূপা সরকারী কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়ই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন বলে পড়াশোনার ইতি ঘটে।

সিমলার বাবা প্রয়ত আব্দুল মাজেদ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মা একজন গৃহিণী। ৬ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে সিমলা সবার ছোট।