এশা ইউসুফ

মঞ্চ অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক এশা ইউসুফ নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে নিয়মিত কাজ করছেন। ‘আয়নাবাজি’, ‘আলফা’, ‘গেরিলা’ ছবি ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। ২০২৩ সালে তিনি জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম হৈচৈ বাংলাদেশের প্রজেক্ট হেড হিসেবে যোগ দেন।

মঞ্চে ‘টেম্পেস্ট’, ‘ধাবমান’, ‘পুত্র’ ও ‘আউটসাইডার’ নাটকে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

এশা ইউসুফ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও অভিনয়শিল্পী শিমূল ইউসুফের মেয়ে। তিনি কলকাতার জনপ্রিয় ব্যান্ড ক্যাকটাসের গায়ক সাকি ব্যানার্জিকে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর কলকাতার ম্যারিয়ট হোটেলে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

আলতাফ মাহমুদ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের অমর সুরকার আলতাফ মাহমুদ (Altaf Mahmud) ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও সংস্কৃতিকর্মী। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রকৃত নাম এ.এন.এম আলতাফ আলী।

আতিকুর রহমান চুন্নু

আতিকুর রহমান চুন্নু বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন নন্দিত অ্যাকশন পরিচালক। ঢাকাই সিনেমার হাতেগোনা কয়েকজন অ্যাকশন পরিচালকের নাম নিতে গেলে তার নাম ধরতে হয় শীর্ষেই।

রূপালি জগতে চুন্নুর পদার্পণ ১৯৭৭ সালে চিত্রপরিচালক মোতাহার হোসেনের হাত ধরে। শাহজাহান চৌধুরীর ‘পিঞ্জর’ সিনেমাতে প্রথম অভিনয় করে ক্যারিয়ার শুরু করেন চুন্নু। এরপর চিত্রনায়ক জসিমের সঙ্গে তার সখ্য হয়। জায়গা পান জসিমের ফাইটিং দল ‘জেমস গ্রুপ’-এ। তার হাত ধরেই চুন্নু বনে যান অ্যাকশন পরিচালক। তিনি এখন পর্যন্ত ৬৭৫টি সিনেমায় কাজ করেছেন।

বাংলাদেশের ‘মায়ের দোয়া’, ‘আগুন’, ‘দুই রংবাজ’, ‘ওমর আকবর’, ‘মাস্তান রাজা’, ‘জিদ্দি’, ‘কালিয়া’ ‘লালু মাস্তান’, ‘বাহাদুর’, ‘তুফান মেইল’, ‘গেরিলা’, ‘জয়যাত্রা’সহ অসংখ্য ছবির অ্যাকশন পরিচালক তিনি। এছাড়া কলকাতার ‘শিবা’, ‘অন্যদাতা’, ‘অন্যায়’সহ বেশকিছু ছবিতেও কাজ করেছেন চুন্নু।

তার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। বাবা চেয়েছিলেন তিনি যেন পুলিশের লোক হন। কিন্তু শৈশব থেকেই বড় পর্দা তাকে খুব টানতো। তাইতো এখন অ্যাকশন ডিরেক্টর হয়ে যান। চুন্নু তিতুমীর কলেজ থেকে আইএসসি পাস করে পলিটেকনিক থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। বেশ কিছুদিন রাজউকেও চাকরি করেছেন।