ফকির লালন শাহ

লালন ফকির ছিলেন একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক। তাঁর গানের মধ্যে সন্ধান পাওয়া যায় এক বিরল মানব দর্শনের।

লালন শাহ, যিনি লালন ফকির বা লালন সাঁই নামেও পরিচিত, তিনি মৃত্যুর পর আজও বেঁচে আছেন তাঁর গানের মাঝে। তাঁর লেখা গানের কোন পাণ্ডুলিপি ছিল না, কিন্তু গ্রাম বাংলায় আধ্যাত্মিক ভাবধারায় তাঁর রচিত গান ছড়িয়ে পড়ে লোকের মুখে মুখে।

লালন ফকিরকে “বাউল-সম্রাট” বা “বাউল গুরু” হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তাঁর গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তিনি প্রায় দু হাজার গান রচনা করেছিলেন বলে লালন গবেষকরা বলেন।

লালন ফকিরের সঠিক জন্ম ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কোন কোন লালন গবেষক মনে করেন তেরশ’ চুয়াত্তর সালে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার ভাড়ারা গ্রামে লালন জন্মগ্রহণ করেছিলেন সম্ভ্রান্ত এক হিন্দু কায়স্থ পরিবারে। বাবা মাধব কর ও মা পদ্মাবতীর একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি।

কুমারখালির ছেউড়িয়ায় নিজের আখড়ায় ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর, বাংলা ১২৯৭ সালের পয়লা কার্তিক ১১৬ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন মহাত্মা ফকির লালন শাহ।

বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় ১২ নম্বরে আছেন বাউল সাধক ফকির লালন শাহ।

শমী কায়সার

অভিনেত্রী শমী কায়সার (Shomi Kayser) মূলত একজন মঞ্চ এবং টিভি অভিনেত্রী। অনাগ্রহ থেকে শমী কায়সার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন নি, তবে ভিন্ন ধারার একাধিক চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন।

অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তার। এইচএসসি শেষ করে স্থাপত্যকলায় পড়ার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু এইচএসসি পড়ার সময়ই আতিকুল হক চৌধুরীর কাছ থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে। ‘প্রথম নাটকের সাফল্য আমাকে অভিনেত্রী হতে অনুপ্রাণিত করে’ বলেন অভিনেত্রী শমী।

একসময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী শমী কায়সার ২০০৫ সালের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে সর্বশেষ নাটকের কাজ করেন। আলী বশীরের প্রযোজনায় এবং মান্নান হীরার পরিচালনায় নাটকটির নাম ‘নোনা জলের কাব্য’। প্রায় সাত বছর বিরতির পর ‘প্যারালাল ইমেজ’ টেলিছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে আবার ফিরে আসেন। ভালো চিত্রনাট্যের অভাব এবং নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ ধানসিঁড়ি নিয়ে ব্যস্ততাই তাকে অভিনয় থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল।

শমী কায়সারের প্রথম বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। ভারতীয় নির্মাতা রিঙ্গোকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তখনকার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার। তবে মাত্র দুই বছর আয়ু ছিল এই দাম্পত্য জীবনের। এই বিয়েকে জীবনের বড় ভুল হিসেবে স্বীকার করে শমী বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন, ”আমি ভুল থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি ডিভোর্সের মাধ্যমে’। ২০০৮ সালের ৬ অক্টোবর তারিখে শমী কায়সার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরাফাত এ রহমানকে বিয়ে করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সার এবং সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারের সন্তান শমী কায়সারের ভাই অমিতাভ কায়সার একজন সঙ্গীত শিল্পী।