তানভীর মোকাম্মেল

বাংলাদেশের বিকল্পধারার চলচ্চিত্রের অন্যতম পুরোধা তানভীর মোকাম্মেল একাধারে চলচ্চিত্রনির্মাতা, লেখক ও প্রশিক্ষক। চলচ্চিত্রের বিষয় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ, সাতচল্লিশের দেশভাগ এবং প্রান্তিক মানুষদের সামাজিক-রাজনৈতিক নানা বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের নদী তার প্রিয়। তার কাজে বারবার উঠে এসেছে নদীঘেঁষা মানুষের জীবন, কর্ম, তাদের সংগ্রাম, যেমন – ‘নদীর নাম মধুমতী’, ‘চিত্রা নদীর পারে’, ‘অয়ি যমুনা’, ‘কর্ণফুলীর কান্না’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’, ‘ধলেশ্বরীর কথা’।

কাহিনীচিত্র ছাড়াও তিনি নির্মাণ করেছেন ‘স্মৃতি ৭১’, ‘অচিন পাখী’, ‘কর্ণফুলীর কান্না’, ‘১৯৭১’, ‘সীমান্তরেখা’ এবং আরও বেশ কিছু প্রামাণ্যচিত্র। এছাড়াও উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা ও ভ্রমণকাহিনীসহ এ পর্যন্ত মোট ষোলটি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ হল ‘মার্কসবাদ ও সাহিত্য’, ‘চলচ্চিত্রকথা’, ‘সিসিফাস ও উপন্যাসে ঐতিহ্যজিজ্ঞাসা’, ‘লালনের খোঁজে’, ‘বিষাদনদী’ প্রভৃতি।

আনোয়ার হোসেন

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রশিল্পী, চিত্রগ্রাহক এবং স্থপতি আনোয়ার হোসেন (Anwar Hossain) বাংলাদেশে খুব বেশি সংখ্যক চলচ্চিত্রে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ না করলেও প্রায় সকল চলচ্চিত্রের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রে অসাধারণ চিত্রগ্রহণের জন্য আনোয়ার হোসেনের নাম শ্রদ্ধাভরে উচ্চারণ করা হয়।
Continue reading

কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু

কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম কিবরিয়া ফিল্মস। তিনি ‘ভাইয়া’, ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’ চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।

নিঝুম রুবিনা

নিঝুম (Nijhum) একজন মডেল হিসেবে মিডিয়ায় আসেন। মডেলিং শুরু করার প্রায় চার বছর পরে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।

প্রাণ-আরএফএল এর একটি বিজ্ঞাপনে মডেলিং এর মাধ্যমে অভিষেক হলেও ২০০৮ সালে কিসলুর নির্দেশনায় গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করে মিডিয়াতে আলোচিত হন নিঝুম। এরপর একে একে কফিক্যাপ চকলেট, শরীফ মেলামাইন, বোটানিক অ্যারোমা, প্রাণ আরএফএল ক্লোসেট, মুসলিম রাঙ্গাপরী মেহেদী, মুসলিম রাঙ্গা পরী হেয়ার অয়েলসহ আরো বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন তার অনেকদিনের। তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে নিয়ে আসতে সহায়তা করেন পরিচালক নূর মোহাম্মদ মণি তার পরিচালিত ‘কিস্তির জ্বালা’ ছবিতে সুযোগ দিয়ে। নানা কারণে ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে গেলেও জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এর বেশী ভালোবাসা যায় না ছবির মাধ্যমে নিঝুম প্রথম রূপালী পর্দায় উপস্থিত হন।

লিমা

‘লড়াই’ ছবির মধ্য দিয়ে ১৯৯২ সালে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে লিমার। মাত্র ৮ বছরের অভিনয়জীবনে ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন। তার উল্লেখযোগ্য ছবি ‘প্রেমযুদ্ধ’, ‘কন্যাদান’, ‘বাংলার কমান্ডো’, ‘নীল সাগরের তীরে’ প্রভৃতি।

লিমার পারিবারিক নাম শামীমা আলী লিমা। তার জন্ম ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিন বোনের মধ্যে লিমা সবার বড়। তার বাবা মোহর আলী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের পর ঢাকায় ব্যবসা শুরু করেন। তিনি শিল্পমনস্ক মানুষ। মোহাম্মদপুরে থাকতেই ‘কুট্টি ভাই’ নামে একজনের সঙ্গে মোহর আলীর পরিচয় হয়। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রকৌশলী ছিলেন। তিনিই লিমাকে দেখে বিটিভির অঙ্কুর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলেন। অঙ্কুরের মধ্যমেই লিমার অভিনয়ের শুরু। তখন লিমার বয়স ৯ বছর। লিমা ক্রমেই অভিনয়, নাচ, গানে ভালো করতে থাকেন। এরপর যুক্ত হন চলচ্চিত্রে। ১৯৯৮ সালের পর চলচ্চিত্র জীবনে ইতি টানেন। অভিনয় ছাড়ার পর লিমা মোহাম্মদপুরে বিউটি পারলারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন।

সালমা জাহান

সালমা জাহান একজন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গান ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘উত্তরে ভয়ংকর জঙ্গল’, ‘পৃথিবীকে ভালবেসে সুরে সুরে’, ‘আমি মাটিতে বাঁধিনি ঘর’ প্রভৃতি।