নাগমা

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে হাতে গোনা খলনায়িকাদের অন্যতম নাগমা। ১৯৯০ সালে এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে অভিনয়ে আসেন তিনি। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম ছবি কামরুজ্জামান পরিচালিত ‘খুনের বদলা’। এরপর দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।

নাগমা খলনায়িকা হিসেবে অসংখ্য ছবিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘আখেরী জবাব’, ‘সাহেব নামে গোলাম’, ‘আসামী গ্রেফতার’, ‘স্বামী হারা সুন্দরী’, ‘বিষে ভরা নাগিন’, ‘ডাইনী বুড়ি’, ‘খুনের বদলা’, ‘শক্তির লড়াই’ ইত্যাদি।

মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে অকালে মৃত্যুবরণ করেন খল চরিত্রের অভিনেত্রী নাগমা । মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যাসন্তান রেখে যান। তাকে ইব্রাহিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নাফিজ আহমেদ

নাফিজ আহমেদ একজন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ‘ডন’ ও ‘বাংলার বাঘ’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

সোহেল আহমেদ সবুজ

সোহেল আহমেদ সবুজ একজন প্রযোজক। তার প্রযোজিত ছবিগুলো হল ‘বাংলার বাঘ’ ও ‘বাংলার হিরো’।

কাজী হারুন

‘বেদের মেয়ে জোছনা’ চলচ্চিত্রের রূপসজ্জাকর হিসেবে কাজ করে প্রশংসিত হন কাজী হারুন। ১৯৭৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হৃদয় থেকে হৃদয় ছবির জন্য সেরা মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া তিনি ‘অন্য জীবন’, ‘শঙ্খমালা’, ‘বাঁশীওয়ালা’, ‘আব্দুল্লাহ’, ‘গোলাপি এখন ঢাকায়’, ‘জীবন সংসার’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের রূপসজ্জার দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৯ সালে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ (ব্রেন স্টোক) হয়। এতে তার শরীরের ডানপাশ পুরোটা অকেজো হয়ে যায়। অসুস্থ হওয়ার কারণে সে আর কাজ করতে পারছিল না । ২০১৯ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য অনুদান হিসেবে তাকে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের ১২ জুন ভোর পাঁচটায় রাজধানী ঢাকার শনির আখড়ার বাসায় মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭০ বছর।

ফজলে হক

ফজলে হক একজন চলচ্চিত্র সম্পাদক। তিনি ‘আবার বনবাসে রূপবান’, ‘কাজলরেখা’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘মোল্লা বাড়ীর বৌ’, ‘বাঙলা’ ও ‘হৃদয়ের কথা’ ছবি সম্পাদনা করেছেন।