জামান আখতার

জামান আখতার চলচ্চিত্রের কাহিনি ও সংলাপ রচয়িতা। তার রচিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল ‘মায়ের অধিকার’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’, ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ প্রভৃতি।

অজিত রায় নন্দী

অজিত রায় নন্দী একজন প্রযোজক। তিনি ‘মায়ের অধিকার’ ও ‘পাহারাদার’ ছবি প্রযোজনা করেছেন।

সৈয়দ আখতার আলী

সৈয়দ আখতার আলী (Syed Akhtar Ali) বাংলা চলচ্চিত্রের একজন পরিচিত মুখ। তিনি নদী ও নারী ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। আকতার আলী অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে সূর্যদীঘল বাড়ি, সারেং বউ, কী যে করি, সুরুজ মিঞা, এখনই সময়, বংশধর, শ্যামল ছায়া প্রভৃতি। পরিচালক হিসেবে তিনি নাবালক ছবিটির নির্মাণ শুরু করলেও কাজ শেষ করতে পারেননি। Continue reading

শাবনাজ

নব্বই দশকের বাংলা চলচ্চিত্র, এমনকি সার্বিক বিচারে বাংলা চলচ্চিত্র যাদের কাছে ঋণী তাদের অন্যতম শাবনাজ। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা রোমান্টিক এ জুটি শাবনাজ-নাঈম বাংলা সিনেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য এক উচ্চতায়। Continue reading

সৈয়দ আব্দুল হাদী

বাংলা গানের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ, জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী (Syed Abdul Hadi)। তার গাওয়া কালজয়ী অনেক দেশের গানই শ্রোতাদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে গান গাইছেন তিনি। তার জন্ম বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেরার শাহপুর গ্রামে (তৎকালীন কুমিল্লা জেলা বলা হতো)। বেড়ে উঠেছেন আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এবং কলকাতায়। তবে তার কলেজ জীবন কেটেছে রংপুর আর ঢাকায়। বাবা সৈয়দ আবদুল হাই। তার বাবা গান গাইতেন আর কলেরগানে গান শুনতে পছন্দ করতেন। বাবার শখের গ্রামোফোন রেকর্ডের গান শুনে সেই কৈশোর জীবন থেকেই সঙ্গীত অনুরাগী হয়ে উঠেন সৈয়দ আবদুল হাদী। ছোটবেলা থেকে গাইতে গাইতে গান শিখেছেন। তারপর আর থেমে থাকেননি। নিরন্তর গান করে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

১৯৫৮ সালে সৈয়দ আব্দুল হাদী ভর্তি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন সৈয়দ আব্দুল হাদী। তখনকার সিনেমায় প্লেব্যাক মানেই ছিল উর্দু ছবিতে গান গাওয়া। তবে ১৯৬৪ সালে হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন। সিনেমার নাম ছিল ‘ডাকবাবু’। মো. মনিরুজ্জামানের রচনায় সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে একটি গানের মাধ্যমে সৈয়দ আব্দুল হাদী চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। বেতারে গাওয়া তার প্রথম জনপ্রিয় গান ‘কিছু বলো, এই নির্জন প্রহরের কণাগুলো হৃদয়মাধুরী দিয়ে ভরে তোলো’ চমৎকার রোমান্টিক এ গানটি গেয়েছিলেন ১৯৬৪ সালে আবদুল আহাদের সুরে। সালাউদ্দিন জাকি পরিচালিত ঘুড্ডি চলচ্চিত্রের গানে সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছিলেন লাকী আখান্দ। এই ছবির খুব জনপ্রিয় গান ‘সখি চলনা, সখি চলনা জলসা ঘরে এবার যাই’- গেয়েছেন হাদী। চলচ্চিত্রের কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই সৈয়দ আব্দুল হাদীকে সবাই চেনেন-জানেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত গেয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় হাদীর প্রথম রবীন্দ্র সংগীতের একক অ্যালবাম ‘যখন ভাঙলো মিলন মেলা’।

হাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে অনার্স পড়ার সময় সুবল দাস, পি.সি গোমেজ, আবদুল আহাদ, আবদুল লতিফ প্রমুখ তাকে গান শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। তার বাবা ছিলেন ইপিসিএস (ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস) অফিসার। বিটিভির প্রথম চারজন প্রযোজকের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় মাস্টার্স শেষ করে লন্ডনে ওয়েল্‌স ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরীয়ান হিসেবে অবসর নিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী।

পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। এর মধ্যে রয়েছে – গোলাপী এখন ট্রেনে – ১৯৭৮, সুন্দরী – ১৯৭৯, কসাই – ১৯৮০, গরীবের বউ – ১৯৯০ এবং ক্ষমা ১৯৯২।