করিম শাহাবুদ্দিন ছেলেবেলা থেকেই সঙ্গীত চর্চা করতেন। তার বাবা ছিলো একজন মরমী সঙ্গীতশিল্পী। পণ্ডিত অরূণ ভাদুড়ীর নিকট তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয়। পরবর্তীতে ওস্তাদ এ দাউদ, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যয়, ওস্তাদ মশকুর আলী খা সাহেব’র কাছে তালিম নিয়েছেন। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সঙ্গীতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ওস্তাদ করিম শাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম খেয়ালের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯০ সালে ‘নাইট কুইন’ শিরোনামে তার খেয়ালের অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত পাঁচটি একক ও চারটি মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। পশ্চিবঙ্গের বঙ্গীয় সংগীত পরিষদে তার গান পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত। উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীতশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ শ্রেণিতে তালিকাভূক্ত রয়েছেন তিনি।
News Category:
ফয়েজ চৌধুরী
ফয়েজ চৌধুরী একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার।
কাজী শামসুজ্জামান
কাজী শামসুজ্জামান একজন ব্যবস্থাপক।
শেখ ফজলুল করিম
শেখ ফজলুল করিম একজন ব্যবস্থাপক।
আবু হানিফ
মোহাম্মদ আবু হানিফ একজন শব্দগ্রাহক। তিনি ‘ভানুমতি’, ‘স্মৃতিটুকু থাক’ ও ‘চোখের জলে’ ছবির শব্দগ্রহণ করেছেন।
মালতী দে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রথমদিকের নারী প্রযোজকদের মধ্যে অন্যতম মালতী দে। তিনি উত্তম চিত্রকথার কর্নধার। প্রযোজনার পাশাপাশি তিনি ঋত্বিক ঘটক, জহির রায়হান, খান আতাউর রহমানের মতো নির্মাতাদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘সুখ-দুঃখ’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘আপন পর’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ প্রভৃতি। তার প্রযোজিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘ঘাত-প্রতিঘাত’, ‘মুক্তির সংগ্রাম’, ‘আখেরি হামলা’, ‘রঙিন রংবাজ’, ‘দুষ্টু ছেলে মিষ্টি মেয়ে’ ইত্যাদি।
মালতী দে বার্ধক্যজনিত রোগসহ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ৮ নভেম্বর ২০১৭ সন্ধ্যায় তিনি মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণের কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।