News Category:
সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া
বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, স্থির চিত্রগ্রাহক, কাহিনীকার ও চিত্রনাট্যকার। তিনি ১৯৬৩ সালে বড় ভাই সফদার আলী ভূঁইয়ার হাত ধরে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন। তিনি খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সালাহউদ্দিন ও খান আতা’র সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘পারুলের সংসার’ ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায়। এরপর তিনি আরও পরিচালনা করেন, ‘নিমাই সন্ন্যাসী’, ‘দস্যুরাণী’, ‘জননী’, ‘শ্রীমতী ৪২০’, ও ‘একালের নায়ক’। তাঁর পরিচালিত সর্বাধিক আলোচিত ও ব্যবসা সফল ছবি ‘দস্যুরাণী’।
সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার জন্ম ১৯৪২ সালে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার ভাওয়াল বাড়িয়া ইউনিয়নের কামাড়িয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মওলানা মোসলেহউদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি ভাওয়ালবাড়িয়া হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ছিলেন ৫ম। তাঁর বড় ভাই সফদার আলী ভূঁইয়া ছিলেন একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান ভূঁইয়া ছিলেন চলচ্চিত্রের স্থির চিত্রগ্রাহক।
সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ১৯৭০ সালে জাহানারা ভুঁইয়া’র সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জাহানারা একজন অভিনেত্রী ও গীতিকার। তাঁর মেয়ে শিরিন জাহান আঁখি এক সময় শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ছেলে জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া নয়ন আমেরিকা প্রবাসী। তার এক শ্যালক মঞ্জুর এলাহি চলচ্চিত্র প্রদর্শক, আরেক শ্যালক প্রয়াত চিত্রপরিচালক আজিজ আহমেদ বাবুল।
তিনি ১৯৮০ সালের ৯ জানুয়ারি ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
হারুনর রশীদ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনিনির্ভর অন্যতম চলচ্চিত্র ‘মেঘের অনেক রং’-এর পরিচালক হারুনর রশীদ। ১৯৬৩ সালে পরিচালক সালাউদ্দিনের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বশীর হোসেন, জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’, ‘কাঞ্চনমালা’ ও ‘রূপবান’ ছবিতে হিসেবে কাজ করেছেন। তার পরিচালিত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, ‘গৌরব’, ‘রঙিন গুনাই বিবি’, ‘ধনবান’ ও ‘অসতী’।
হারুনর রশীদ ১৯৪০ সালের ১৫ মার্চ কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মেয়ে রোমানা রশীদ।
তিনি ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে তিনি ২৭ দিন অসুস্থ ছিলেন। ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরের দিন শুক্রবার বাদ জুমা বাড্ডা লিংক রোডের বাড়ির সামনের মসজিদে হারুনর রশীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরে সমাহিত করা হয়েছে।