সোমেশ্বর অলি কবি ও গীতিকার। নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরের বালিচান্দা গ্রামে তার জন্ম। দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রথম লেখা গল্প বের হয় ২০০২ সালে। ‘কিছুটা উপর থেকে মানুষ দেখতে ভালো লাগে’ (২০২৩) তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
সোমেশ্বর অলি ঢাকায় আসেন কবিতা লেখার জন্য। কবিতা চর্চার পাশাপাশি গানও লিখতে শুরু করেন। ২০১১ সালে প্রকাশিত লুৎফর হাসানের ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ এ্যালবামের সব গান তার লেখা। এরপর থেকে নিয়মিত লিখছেন নাটক, ওয়েব ফিল্ম, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গান। পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখছেন। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও ওয়েব পোর্টালে ১০ বছর চাকরি করার পর সাংবাদিকতায় ইস্তফা দিয়েছেন।
সোমেশ্বর অলির চলচ্চিত্রে প্রথম গান ‘কাগজের নাও’। বেলাল খানের সুরে গানটি গেয়েছিলেন কনা। কিন্তু ‘খুটি’ নামের ওই সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। এরপর গান লেখেন মোস্তফার সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’-এ। হৃদয় খান ও নির্ঝরের গাওয়া গানের নাম ‘আয়নামহল’। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত সৈকত নাসির পরিচালিত ‘দেশা- দ্য লিডার’ ছবিতে লিখেছেন দুটি গান। এগুলো হলো কনা ও কিশোরের গাওয়া ‘কতো রঙের হাতছানি’ ও শওকল আলী ইমনের সুরে রাজুর কণ্ঠে ‘এ কী মায়া’। শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমায় লিখেছেন কনা-ইমরানের গাওয়া ‘শূন্য থেকে আসে প্রেম’ গানটি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে আরও কিছু গান।
গীতিকার হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’, ‘ঈশ্বর কি তোমার আমার মিলন লিখতে পারতো না’, ‘তাই তোমার খেয়াল’, ‘বুকের বাঁ পাশে’, ‘রূপকথার জগতে’, ‘আমার আকাশ পুরোটাই’, ’খরচাপাতির গান’, ‘আয়না দিয়ে ঘর বেঁধেছি’, ‘আসো মামা হে’, ‘ভেজা ভেজা চোখ’ – এমন কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান লিখে।
উল্লেখযোগ্য ওয়েব ফিল্ম ও নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘উনিশ২০’, ‘পুনর্মিলনে’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’, ‘বড় ছেলে’, ‘বুকের বাঁ পাশে’, ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প’, ‘পথে হলো দেরি’, ‘বুকিং’ প্রভৃতি।
গান লেখার স্বীকৃতি হিসেবে অলি অর্জন করেছেন ব্লেন্ডার’স চয়েস-ডেইলি স্টার ওটিটি অ্যান্ড ডিজিটাল কন্টেন্ট অ্যাওয়ার্ডস (রূপকথার জগতে, নেটওয়ার্কের বাইরে), স্বপ্নধরা বিএফডিসি অ্যাওয়ার্ড (ঈশ্বর, প্রিয়তমা) ও সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড (ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো)।
সোমেশ্বর অলির ফেসবুক প্রোফাইল: সোমেশ্বর অলি