শিরিন আলম

শিরিন আলম মঞ্চ থেকে শুরু করে ছোটপর্দা, সেখান থেকে বড়পর্দা—প্রতিটি মাধ্যমে তিনি রেখেছেন অনন্য ছাপ। টেলিভিশন নাটকের নন্দিত এই অভিনেত্রী তার চরিত্রগুলোয় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বহুমাত্রিক চরিত্রে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছেন বিগত দেড় যুগে।

তার অভিনয় জীবন শুরু মঞ্চে। ‘পদধ্বনি’ থিয়েটারের আঙিনা ছিল তার প্রথম পাঠশালা। তিনি ‘পদধ্বনি’ নাট্যদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন দশ বছর এবং ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়’র সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এক বছর। ‘পদধ্বনি’র হয়ে তিনি ‘মামা মন্ত্রী হবেন’ এবং ‘বাবার বিয়ে’ নাটকে অভিনয় করেছেন। মোমিনুর রশীদ মিল্লাতের নির্দেশনায় তিনি প্রথম ‘অভিশাপ’ নাটকে অভিনয় করেন। সেই থেকেই টিভি নাটকে তার পথচলা শুরু। ১৯৮৫ সালে বিটিভির ‘তৃতীয় পুরুষ’ নাটকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় অভিষেক। ১৯৯০–২০০০ পর্যন্ত থিয়েটারে নিয়মিত ছিলেন।

২০০০ সাল থেকে তিনি টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। তিনি আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশনায় ‘বাবা’, ‘সংসার’, ‘জোয়ার ভাটা’সহ আরো বহু নাটকে অভিনয় করেন। জাহিদ হাসানের নির্দেশনায় ‘লাল নীল বেগুনী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেও তিনি আলোচনায় ছিলেন। আবুল হায়াতের নির্দেশনায় তিনি প্রথম অভিনয় করেন কাজী নজরুল ইসলামের ‘ঝিলিমিলি’ নাটকে। এরপর তার নির্দেশনায় বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সালাহ উদ্দিন লাভলুর ‘ঘরকুটুম’, ‘ঢোলের বাদ্য’, ‘হাড়কিপ্টে’, ‘শিলবাড়ি’ নাটকে অভিনয় করেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছেন শিরিন আলম। শিরিন আলম অভিনীত আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক নাটক হচ্ছে তারিকুল ইসলামের ‘গাঁও গেরামের মানুষজন’, সৈয়দ শাকিলের ‘প্রেম নগর’, ‘সঞ্জিত সরকারের ‘মজনু একজন পাগল নহে’, আশীষ রায়ের ‘ভালোবাসার রং’।

টেলিভিশনের পাশাপাশি শিরিন আলম বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘শাস্তি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘মনপুরা’, ‘লাভ ম্যারেজ’, ‘ভালোবাসার গল্প’, ‘নীলচক্র’।

তার জন্ম ৯ আগস্ট। পুরো নাম আঞ্জুমান আরা বেগম, ডাকনাম শিরিন। তার স্বামী এস এম শাহ আলম। তিনি তিন সন্তানের জননী, তারা হলেন শাহরিয়ার আলম: ক্যামেরাপার্সন; শাহনেওয়াজ আলম: পেশায় শেফ (ইতিপূর্বে সৌদিতে, বর্তমানে দেশে), ও সাকিন আলম প্রান্ত।

 

 

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

পুরো নাম আঞ্জুমান আরা বেগম
ডাকনাম শিরিন