জাকির হোসেন রাজু একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও গীতিকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএম ডিগ্রিপ্রাপ্ত রাজু অভিনেতা-পরিচালক দারাশিকো’র সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পন করেন।
বাংলানিউজ২৪ এর সাথে এক সাক্ষাতকারে জাকির হোসেন রাজু তার চলচ্চিত্রে আগমনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘মূলত ছোটবেলা থেকে লেখালেখি করতাম। একটা সময় মনে হয়েছিল আমি সিনেমার গল্প লিখবো। একটি গল্প লিখলামও। সেই সময় কাজী জহির ছিলেন আমার পছন্দের একজন নির্মাতা। আমার লেখা গল্পটি নিয়ে ঢাকায় এসে দেখা করলাম কাজী জহিরের সাথে। সেটা অবশ্য আমার জন্য খুব সহজ কাজ ছিল না। তবুও আগ্রহের জায়গা থেকেই দেখা করলাম তার সাথে। আমাকে দেখে গল্পটি না পড়েই তিনি আমাকে বললেন ‘আরও বড় হও তারপর এ লাইনে এসো। হতাশ হয়ে ফিরে না গিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের সাথে দেখা করলাম। তার বাড়ির দারোয়ানকে অনেক বোঝাতে হয়েছিল সেদিন। রাজ্জাক ভাই আমাকে একই কথা বললেন। এবার আশা ছেড়ে দিলাম। পরে কোনভাবে ঢুকে গেলাম এফডিসিতে। সেসময় ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ সিনেমার পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল ভাইয়ার সাথে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করলাম কিছুদিন। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম গল্প লিখে আমি আমার গল্পের মত করে সিনেমা তৈরি করাতে পারবো না। সেজন্য ঠিক করলাম পরিচালক হবো। ‘জীবন সংসার’ দিয়ে শুরু। তারপর থেকে চলছে জাকিরের এই রেলগাড়ি।’
একই সাক্ষাতকারে লেখালিখি প্রসঙ্গে বলেন, ‘লেখালেখি আমার নিজের জন্য করি। কোন মুহুর্ত ভালোলাগলে সেই মুহুর্তকে লেখা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি আমি। তবে অনেকের অনুরোধে ‘কবিতাঞ্জলী’তে আমার একটা কবিতা দিয়েছি। পরিকল্পনা আছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ‘প্রিয় বাংলাদেশ এবং আমি’ নামের একটা প্রবন্ধ লিখবো। আর আমি চাই আমার প্রত্যেকটি লেখায় বাস্তবের প্রতিচ্ছবি থাকবে। ‘
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘জীবন সংসার’। ‘ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবির লেখনী ও পরিচালনার জন্য তিনি দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার পরিচালিত সাম্প্রতিক চলচ্চিত্রগুলো হল ‘নিয়তি’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘ভালো থেকো’ ও ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’।