শর্মীমালা (Shormimala) চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন গৌতম ঘোষ পরিচালিত মনের মানুষ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এর আগে তিনি মঞ্চে এবং টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন এবং বর্তমানে করে যাচ্ছেন। তবে শর্মীমালা নিজেকে চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
পরিবারে সাংস্কৃতিক আবহ থাকার দরুন ছোটবেলায় বোনের সাথে মিলে গান শিখেছিলেন, কিন্তু বেশীদিন চর্চা করেন নি। ২০১২ সালের মার্চ মাসে কালের কন্ঠে প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান অভিনেত্রী হওয়ার কোন স্বপ্ন তিনি দেখেন নি, বরং খেলোয়ার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়ার সময় তিনি যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাবে। ক্যাম্পাসের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রথম অভিনয় করেন রোকেয়া প্রাচীর পরিচালনায় ‘গাঁওগেরামের কিস্সা’ নাটকে। এটিই তাঁর মঞ্চে অভিষেক। পরেরবার তিনি একই অনুষ্ঠানে অভিনয় করেন সাইদুর রহমান লিপন নির্দেশিত ও বাদল সরকার রচিত ‘হট্রমালার উপরে’ নাটকে।
২০০৬ সালে শর্মীমালা যোগ দেন পালাকারের ছয় মাসব্যাপী কর্মশালায়। অভিনয় করেন হাসান আজিজুল হক রচিত ‘চন্দর কোথায়’ নাটকে। পালাবারে শর্মীমালা অভিনীত আলোচিত নাটকের মধ্যে আছে ‘ডাকঘর’, ‘মানগুলা’, ‘মৃত্তিকাকুমারী’, ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। নিজেদের দলের বাইরে তিনি অভিনয় করেছেন দশরূপক নাট্যদলের নায়লা আজাদ নূপুরের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’-এ। গ্যেটে ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করেছেন ‘থিয়েটার ফর চিলড্রেন’-এ। মুকুল আহমেদের নির্দেশনায় অভিনয় করেছেন শেঙ্পিয়ারের ‘জুলিয়াস সিজার’, ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ এবং ‘সোনাটা’ নাটকে।
টেলিভিশনে প্রথম ক্যামেরার সামনে আসেন মান্নান হীরার রচনা ও আমিনুর রহমান মুকুলের পরিচালনায় ‘বকুল ফুল’ নাটকে। কাজ করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুলের ধারাবাহিক ‘সাতকাহন’, নাহিদ আহমেদ পিয়ালের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘যোগাযোগ’, অসিম গোমেজের পরিচালনায় ‘রেডলাইন’, কৌশিক শঙ্কর ধরের ‘মার্বেল’, লুসি তৃপ্তি গোমেজের ‘মুক্তির যুদ্ধ’সহ আরো অনেক নাটকে।
তার এ কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে রঙিন পালক হিসেবে রয়েছে গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ ছবিটি। শর্মীমালা সেটাকে জীবনের এক দারুণ অভিজ্ঞতা মনে করেন। তিনি বলেন, ‘পেশাদারিত্ব কাকে বলে, তা তাদের কাছে শিখেছি। সবাই ঠিক সময়ে স্পটে উপস্থিত। কেউ কারো সঙ্গে চিত্কার করছেন না। কারণ সবাই নিজেদের কাজটা জানেন।’
পর্দার আড়ালে শর্মীমালা নিয়মিত আরেকটি কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া মাঝে মধ্যে চলচ্চিত্রে অন্য শিল্পীর ডাবিং করেন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবরে বণিকবার্তায় প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে শর্মীমালা বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, অফ ট্র্যাকের চলচ্চিত্র মূলধারার হয় না। এ ধারণাটা ভেঙে দিতে চাই।’