আমার মা আমাকে জন্ম দিয়েছেন, কিন্তু থিয়েটার আমাকে মানুষ করেছে – নাজনীন চুমকীর (Naznin Chumki) এ মন্তব্যই তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। মঞ্চ অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকী মঞ্চ-টিভি-চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক লিখেছেন, পরিচালনাও করেছেন।
জন্মস্থান চুয়াডাঙ্গার অরিন্দম সংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ১৯৯২ সালে জড়িত হয়ে মঞ্চে অভিনয় শুরু। চারবছর বাদে চলে আসেন ঢাকায়, যোগ দেন দেশ নাটকে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত দেশ নাটকে থাকেন চুমকী, কৃতজ্ঞতার সাথে উচ্চারণ করেন দেশ নাটক এবং ইসরাত নিশাত আপার নাম। দেশ নাটকের হয়ে চুমকী ‘লোহা’, ‘বিরষাকাব্য’, ‘নিত্যপুরাণ’সহ আরো কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন।
‘যেতে যেতে অবশেষে’ নাটকের মাধ্যমে টিভি পর্দায় প্রথম উপস্থিত হন চুমকী। মঞ্চকে বেশী ভালোবাসতেন বলে প্রথমে টিভি নাটকে অভিনয় করতে আগ্রহী হন নি চুমকী। পরবর্তীতে তিনি টিভির জন্য নাটক লিখেছেন, পরিচালনাও করেছেন। মঞ্চ এবং টিভি-র পাশাপাশি চুমকী মাত্র তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, এর মাঝে ঘানি-তে অভিনয় করে জিতে নিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মত সম্মানজনক পুরস্কার।
তার লেখা প্রথম নাটকের নাম বাইনিকুলার। তারই রচিত নাটক ‘একটি রাত অতঃপর নিঃশূন্যতা’-র পরিচালনার মাধ্যমে নাট্য পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৩ সালে।
নাজনীন হাসান চুমকী সংসার করছেন দেশীয় কোম্পানীর উচ্চপদে চাকুরীরত স্বামী আহমেদ পাশা তুষারের সাথে। সময় কাটানোর জন্য রয়েছে মিউ এবং সুন্দরী নামে দুটি কুকুর।
সবসময়ই ভালো গল্পের চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী চুমকীর পছন্দ কোলকাতার অফট্র্যাকের কিছু চলচ্চিত্র। এ ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগ্রহও প্রকাশ করেন তিনি।