‘সোনাবন্ধু তুই আমারে করলিরে দিওয়ানা’, ‘পাঞ্জাবিঅলা মনে বড় জ্বালারে’, ‘মনের বাগানে ফুটিল ফুল গো’, ‘তুঁই যাইবা সোনাদিয়া বন্ধু মাছ মারিবার লাই’, ‘অ শ্যাম রেঙ্গুম ন যাইও, বানুরে অ বানু’, ‘বইনদ্দি নওশিরো, নিশিরও কালে’ কিংবা মাইজভান্ডারি গান ‘দেখে যারে মাইজভান্ডারি হইতাছে নূরের খেলা’, ‘কত খেলা জানোরে মাওলা’, ‘মাইজভান্ডারে কী ধন আছে’ এবং মোহছেন আউলিয়ার গান ‘চল যাই জিয়ারতে মোহছেন আউলিয়ার দরবারে’, ‘আল্লাহর ফকির মরে যদি’—এমন অনেক গানের রচয়িতা আবদুল গফুর হালী। তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক, মাইজভান্ডারি, মুর্শিদি, মারফতি ধারায় দুই হাজারের অধিক গান লিখেছেন।
তার জন্ম ১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার রশিদাবাদে। তার বাবা আবদুস সোবহান, মা গুলতাজ খাতুন। রশিদাবাদ আরেক সাধকশিল্পী আস্কর আলী পণ্ডিতের গ্রাম। ৮০ বছরের বেশি সময় সুর-সংগীতে এক আড়ম্বরপূর্ণ কিন্তু ব্যক্তি জীবনে সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন। তিনি ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত লিখেছেন, সুর তুলেছেন এবং গেয়েছেন।