চলে গেলেন চিত্রগ্রাহক মাসুদ রানা

image_2115.masud rana (1)-2তরুণ চিত্রগ্রাহক মাসুদ রানা আর নেই। গতকাল ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার দিকে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।

ডি ইউ শুভর পরিচালনায় ‘নবনিতা তোমার জন্য’ নাটকের শুটিং শেষে ফেরার পথে মিরপুর ডিওএইচএস-এর পাশে মিরপুর ১২-এর চত্বরে ট্রাক চাপায় মৃত্যু হয় তাঁর। Continue reading

অভিনেত্রী রীতা চক্রবর্তীর সাহায্যের আবেদন

62631_e6চলচ্চিত্র, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রীতা চক্রবর্তী পক্ষাঘাতে অসুস্থ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে তিনি অসুস্থ। সুচিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। Continue reading

পূর্ণিমার জন্মদিন আজ

62065_e5জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমার জন্মদিন আজ।

পূর্ণিমার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ রীতা। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পূর্ণিমার। Continue reading

গুরুতর অসুস্থ চলচ্চিত্রাভিনেতা সৈয়দ আকতার আলী

61786_e5যারা নিয়মিত বাংলা ছবি দেখেন তাদের কাছে সৈয়দ আকতার আলী অপরিচিত নন। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থাবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। পরিবারের সদস্য ও ডাক্তারদের ভাষায়, জীবনের শেষ সময় পার করছেন তিনি। Continue reading

উদযাপিত হলো ‘সিনেমা পিপলস’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

cinemapeoples-3rd-foundation-year-660x330শুক্রবার  ৫  জুলাই  উদযাপিত হয়ে গেলো ‘সিনেমা পিপলস’র ৩য় বর্ষপূর্তি। দাবি করা হয় এটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ ফিল্ম নেটওয়ার্ক ।

অনুষ্ঠানের ভেন্যু ছিল ফার্মগেইটের ম্যাজিক ইমেজ।

শর্ট ফিল্মের প্রিমিয়ার, মেম্বারদের ফিল্ম প্রদর্শন, সিনেমা পিপলস লোগো সম্বলিত টি-শার্ট বিতরন শেষে কেক কাটা দিয়ে শেষ হয় এই ৬ ঘন্টা ব্যাপী বর্ষপূর্তী অনুষ্ঠান।

এতে প্রায় ৪০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

‘স্বপ্ন বুনি ফ্রেমে ফ্রেমে’-এ শ্লোগান নিয়ে সিনেমা পিপলস এর যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসের এক তারিখ। অনলাইনে ফেসবুক গ্রুপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বৃদ্ধি পাওয়া এই নেটওয়ার্কের অনেক মেম্বার নিজেদের মাঝে যোগাযোগ করে শর্ট ফিল্ম নির্মান করছেন।

বিএমডিবি-র পক্ষ থেকে ‘সিনেমা পিপলস’ ও এর সাথে জড়িত সবার জন্য শুভ কামনা।

সুত্র: সিনে ম্যাগাজিন মুখ ও মুখোশ

‘মুক্তির গান’র বিপুল ভট্টাচার্য আর নেই

image_532_74586স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী বিপুল ভট্টাচার্য আর নেই। প্রায় তিন বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার (৫ জুন) সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিপুল ভট্টাচার্য একাধারে একজন গণসঙ্গীতশিল্পী, লোকসঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীতশিক্ষক ও সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

১৯৭১ সালে কণ্ঠযোদ্ধা বিপুল ভট্টাচার্যের বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। সেই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিপুল ভট্টাচার্যের গাওয়া গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তার দেশপ্রেমমূলক এবং বিদ্রোহাত্মক গানে শরণার্থী শিবিরের হাজার হাজার মানুষের মনে সাহস সঞ্চারিত হয়েছিল। তিনি মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থার সদস্য ছিলেন। তিনি গানে গানে যুদ্ধ করেছিলেন।

তারেক মাসুদ পরিচালিত ‘মুক্তির গান’ নামক চলচ্চিত্রে তার কাজ তুলে ধরা হয়েছে। ‘মুক্তির গানে’ ১১টি গান আছে। এর অধিকাংশই লোকসুরভিত্তিক। এ গানগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সব গানই বিপুল ভট্টাচার্য গেয়েছেন। ‘মুক্তির গান’ ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায়। ‘মুক্তির গান’র গানের কথাগুলো লিখেছিলেন মোশাদ আলী। বিপুল ভট্টাচার্যের একক কণ্ঠেই গানগুলো রেকর্ডিং করা হয়েছিল।

‘মুক্তির গান’র প্রতিটি গানই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। বিপুলের গাওয়া ‘এই না বাংলাদেশে গাইতে রে, দুঃখে আমার পরান কান্দেরে’ গানটি কোনোদিন ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ‘৭১-এ বিপুলের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সত্যিই যেন গর্জে উঠেছিল।

এক পলকে বিপুল ভট্টাচার্য
নাম : বিপুল ভট্টাচার্য
জন্ম : ১৯৫২ সাল
জন্মস্থান: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়
সহধর্মিণী : কুমকুম ভট্টাচার্য
সন্তান : এক ছেলে এক মেয়ে
অর্জন : ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় লোকসঙ্গীত বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান : ১৯৭১ সাল
পেশা : সঙ্গীতশিল্পী এবং সঙ্গীতশিক্ষক
বয়স : ৬১ বছর
মৃত্যু : ৫ জুলাই, ২০১৩

সুত্র: যায় যায় দিন

দেড় লাখ টাকা হলেই চলাফেরা করতে পারবেন সাত্তার

60251_e3ফোক ছবির অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক সাত্তার এখন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাটাচ্ছেন এক রকম মানবেতর জীবন। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার জন্য থেরাপি মেশিন কিনতে সাত্তারের প্রয়োজন দেড় লাখ টাকা।

বর্তমান অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। সেখানে নিয়মিত  তার খোঁজ-খবর রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান ফরিদুর রেজা সাগর, মাসুদ পারভেজ, ইলিয়াস কাঞ্চন, শেলী মান্না, সুব্রত, সাদেক সিদ্দিকী ও আতিকুর রহমান চুন্নুকে।

সাত্তার বলেন, অসুস্থ হওয়ার পর ফরিদুর রেজা সাগর আমার চিকিৎসার জন্য অর্থ পাঠিয়েছেন। এখনও তার ‘আনন্দআলো’ পত্রিকা থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে টাকা পাচ্ছি। এটা দিয়েই কোনমতে চলে যাচ্ছে দিনকাল।

তিনি আরো জানান কোরিয়ান যে মেশিনটি দিয়ে তিনি থেরাপি নিচ্ছেন এটা কিনতে দেড় লাখ টাকা লাগবে। নিয়মিত থেরাপি নিলে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।

তিনি আশা করেন, সুস্থ্য হয়ে আবার ক্যামেরার সামনে দাড়াবেন।

আশির দশকের এই জনপ্রিয় নায়কের উল্লেখযোগ্য ছবি হলো- সাত্তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘পাগলী’, ‘রঙ্গীন রূপবান’, ‘রঙ্গীন কাঞ্চনমালা’, ‘ঘর ভাঙা সংসার’, ‘রঙ্গীন রাখালবন্ধু’, ‘রঙ্গীন আলোমতি প্রেমকুমার’, ‘পাতাল বিজয়’, ‘রাজবধূ’, ‘রঙ্গীন সাতভাই চম্পা’, ‘ভিখারীর ছেলে’, ‘মধুমালা মদনকুমার’, ‘বেদকন্যা পঙ্খিরানী’, ‘মোহনবাঁশি’, ‘রঙ্গীন অরুণ বরুণ কিরণ মালা’, ‘জেলের মেয়ে রোশনী’, ‘বনবাসে বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘ভালোবাসার যুদ্ধ’, ‘ইজ্জতের লড়াই’, ‘স্বামীহারা সুন্দরী’ এবং ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ ইত্যাদি।

সুত্র: মানবজমিন

এফডিসি ঘুরে গেলেন আনোয়ার হোসেন

59112_e5‘নবাব সিরাজদৌলা’খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন তার দীর্ঘদিনের  কর্মস্থল এফডিসিতে ঘুরে গেলেন গতকাল দুপুরে।

সিনিয়র শিল্পীদের সংগঠন ‘বন্ধন’-এর প্রতিষ্ঠাতা অভি মঈনুদ্দীনের উদ্যোগে এবং আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হসপিটালের পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তীর সার্বিক সহযোগিতায়  এফডিসি কর্মস্থলে ঘুরে বেড়ান।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী নাসিমা আনোয়ার, চিত্রনায়িকা সুচন্দা, বরেণ্য অভিনেত্রী মীরানা জামানসহ চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতাসহ আরও অনেকে।

স্মরণীয় মুহূর্তটি দুপুর ১২-৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চ্যানেল আইতে সরাসরি প্রচার হয়।

এ সময় আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মীরানা জামান, সুচন্দা, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মিশা সওদাগর, আবদুল লতিফ বাচ্চু, আবু মুসা দেবুসহ অনেকে।

আনোয়ার হোসেন অভিনীত ছবি ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলার সংলাপ উপস্থাপন করেন চিত্রনায়ক সুব্রত।

আনোয়ার হোসেন চেষ্টা করেছেন এফডিসি নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই বলেননি তিনি।

সুত্র: মানবজমিন

আজ মা-মেয়ের জন্মদিন

অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার ও তাঁর মেয়ে ত্রপা মজুমদারের আজ জন্মদিন। আজ ৭০ পেরিয়ে ৭১-এ পা রাখছেন ফেরদৌসী মজুমদার। মা-মেয়ের জন্মদিন এক হলেও এবার ঘটা করে কোনো আয়োজন করা হচ্ছে না। ফেরদৌসী মজুমদার কালের কন্ঠকে বলেন, ‘এখন আর জন্মদিনে আগের মতো আনন্দ খুঁজে পাই না। তবে আমার জন্মদিনে সব ভালোলাগা ঘিরে থাকে মেয়ে ত্রপাকে নিয়ে। একই দিনে আমাদের জন্মদিন। প্রতিবছরই আমার কারণে ওর জন্মদিনটা চাপা পড়ে যায়। সবার কাছে আমার এবং মেয়ের জন্য দোয়া চাই।’ এদিকে জন্মদিন উপলক্ষে কাল শিল্পকলা একাডেমীতে ফেরদৌসী মজুমদারের অ্যালবামের আদলে একটি বই প্রকাশিত হচ্ছে। নাম ‘অভিনেতার রঙ্গমঞ্চ’।

সূত্র: কালেরকন্ঠ

আতিকুল হক চৌধুরীর মরদেহ শহীদ মিনারে

Atikul Haq Chyসর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সদ্য প্রয়াত খ্যাতিমান নাট্যকার আতিকুল হক চৌধুরীর মরদেহ মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেয়া হয়েছে।

এখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় ও দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের সামনে তার শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সকালে এ বরেণ্য নাট্যকারের মরদেহ তার শেষ কর্মস্থল ‘একুশে টিভি’ ভবনের সামনে রাখা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল পৌনে ১১টার দিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শেষ নামাজে জানাজার পর বিকেলে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

আতিকুল হক চৌধুরী সোমবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। স্ত্রী জোহরা বেগম, ছেলে ড. এনামুল হক চৌধুরী ও মেয়ে আসফিয়া বেগম নেহারসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী এবং শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন তিনি।

‘দূরবিন দিয়ে দেখুন’, ‘নীলনকশার সন্ধানে’, ‘সুখের উপমা’, ‘বাবার কলম কোথায়’সহ অসংখ্য সৃষ্টিশীল নাটকের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

১৯৩১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আতিকুল হক চৌধুরীর জন্ম। ১৯৬০ সালে রেডিও পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে।

বিটিভিতে কমর্রত অবস্থায় দেশবাসীকে অসংখ্য নাটক উপহার দেন তিনি। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপমহাপরিচালক ছিলেন। এরপর তিনি বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালর নাট্যকলা বিভাগেও তিনি ১১ বছর শিক্ষকতা করেছেন।

বাংলা একাডেমী পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিটিভির সেরা প্রযোজকসহ উল্লেখযোগ্য বেশকিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

সূত্র: সমকাল