এ বছর মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সম্পর্কে চলচ্চিত্র সংগঠন ও প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ বলছে শতকরা ৮০ ভাগই ব্যবসা সফল হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অন্যরকম ভালোবাসা, দেহরক্ষী, জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার, জটিল প্রেম, নিষ্পাপ মুন্না, রোমিও ২০১৩ ও পোড়ামন।
বুকিং এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব চলচ্চিত্রের সর্বনিম্ন টেবিল কালেকশন ছিল ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে ওপেনিং কালেকশনের গড় হার শতকরা ৮০ ভাগের নিচে নয়। প্রদর্শক সমিতি বলছে, প্রেক্ষাগৃহ ও নির্মাণ ভিজিটাল প্রযুক্তিতে আসায় এ সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তবে কমপক্ষে দুইশত প্রেক্ষাগৃহ ডিজিটাল করা গেলে দেশীয় চলচ্চিত্রের বাজার পুরোপুরি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
ডিজিটাল প্রজেক্টের ঝকঝকে ছবি এবং নিখুঁত শব্দে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে এসে চলচ্চিত্র দেখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।
তবে এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া নেই, এমন নয়। কোন কোন প্রেক্ষাগৃহে ডিজিটাল সিনেমা প্রজেক্টর স্থাপনের পরিবর্তে ভিডিও প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়েছে। এতে ডিজিটাল প্রযুক্তির চলচ্চিত্রে যে ঝকঝকে ছবি ও নিখুঁত শব্দ থাকার কথা তা পাওয়া যাচ্ছে না। এই প্রযুক্তিতে নির্মাণ ব্যয় কমে যাওয়ায় অনেকে চলচ্চিত্রের নামে টেলিছবি প্রদর্শন করছে। এছাড়া, রেড ক্যামেরায় শুট করে ডিজিটাল প্রজেক্টরে প্রদর্শন করার নাম ডিজিটাল চলচ্চিত্র নয়।
চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের মধ্যে নির্মাণ আগ্রহ বাড়ছে। এর প্রমাণ চলতি বছর এ পর্যন্ত এফডিসিতে প্রায় ১১৫টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। অথচ এর আগের কয়েক বছরের এ সংখ্যা ছিল পুরো বছরে ১০০’র বেশি নয়।
এদিকে গতকাল মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’র ওপেনিং কালেকশনের গড় হার ছিল ৮০ শতাংশ। বুঝা যাচ্ছে নতুন শিল্পীরা এই জোয়ারে ভূমিকা রাখছেন।
সবমিলিয়ে চলচ্চিত্রে আবার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।
সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন