‘জালালের গল্প’ ! চলচ্চিত্রটির প্রথম অর্ধাংশ দেখে সন্দিহান ছিলাম নামকরণটা কতটুক স্বার্থক হবে। কিন্তু যখন পুরো চলচ্চিত্রটি শেষ হল ঠিক তখন এমন নামকরণের প্রকৃত মাহাত্ম্যটা খুঁজে পেলাম। রিভিউ লিখার আগে সবাইকে অনুরোধ করছি বিনোদনের জন্য হোক, সমালোচনার জন্য হোক, দেশের চলচ্চিত্রকে উৎসাহিত করার জন্য হোক, সবাইকে হলে যেয়ে ছবিটি দেখার জন্য। কারণ ক্রমশ অগ্রসরমান আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিতে ‘জালালের গল্প’ নামের এমন একটা ব্যাপার সংযুক্ত হয়েছে যা কিনা ইতিমধ্যে লুফে এনেছে আন্তর্জাতিক সম্মাননা। সবচেয়ে বড় কথা পরিচালক আবু শাহেদ ইমনের প্রথম কাজ এটি। ছবিটির কনসেপশন অবশ্যই ভিন্ন ধারার। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে যারা একটু সৃজনশীল কাজের দিকে ইন্ডাষ্ট্রিকে নিয়ে যাতে যাচ্ছেন তাদের কাতারে আরেকজন যুক্ত হলেন। চলচ্চিত্রটির গল্প এমনভাবে করা হয়েছে যাতে আপনি শেষটা পর্যন্ত দেখেন। তবে হ্যাঁ জালালের বাপ যখন তৌকির আহমেদ তখন কাহিনীটা একটু লম্বা করা হয়েছে। হয়ত সেখানে আরেকটু দ্রুত এগুনো যেত। জালালের প্রথম বাপের অভিনয় তার চরিত্রের ভিতরে থেকে করা হয়েছে। তৌকির আহমেদ অভিনয়ে ছিলেন বরাবরের মতই বলিষ্ঠ ও সাবলীল। বড়পর্দায় তাকে অবশ্যই ভালো লেগেছে। জালালের দ্বিতীয় মায়ের অভিনয়টা আরও প্রাণবন্ত হতে পারত। গল্পে পরিচালক মাঝেই মাঝেই কিছু মজার সংলাপ রেখেছেন যা দর্শকদের অবশ্যই আনন্দ দিবে। ছবিটির অর্ধাংশ যাওয়ার পর হঠাৎ মনে হল প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। কারণ তখন অভিজ্ঞ অভিনেতা মোশাররফ করিম আসেন পর্দায়। যিনি কিনা এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যই পর্তুগালের ফিল্ম ফেস্টিভেল থেকে জিতে নিয়েছেন তার প্রথম আন্তর্জাতিক পুরষ্কার। মোশাররফ করিমের অনেকগুলো সিন আছে যা দর্শক আসলেই তার কাছ থেকে আশা করে। পরিচালক সেখানে দর্শকদের আশাহত করেননি। তবে এই অভিনয়গুলো তার জন্য নতুন কিছু নয়। বরাবরের মত দর্শকদের বিনোদন দিবে। এবার আসি মৌসুমী হামিদের কথায়। চরিত্রে তাকে হয়ত মানিয়েছে কিন্তু অভিনয়টা আরও ভালো করতে পারতেন। তবে নতুন হিসেবে যথেষ্ট ভাল হয়েছে। এবার আসি যুবক জালালের কথায়। আরাফাত রহমান। পর্দায় হয়ত এবারই তাকে প্রথম দেখেছি। তার অভিনয় এবং উপস্থাপনকে আমি ১০০ তে ৯০ দিব। যেমনটা করার কথা ঠিক তেমনই করেছেন। ছবিটিতে দর্শককে স্পর্শ করে যাবে এমন কিছু সিন আছে। যেমন ছোট জালালকে যখন বস্তায় ভরে আবার নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। চলচ্চিত্রটির সিনেমটোগ্রাফি অবশ্যই আরও ভাল হতে পারত। কিছু শট আরোপ করা হয়েছে মনে হয়। প্রথমদিকটায় অনেকবার ক্যামেরায় কাঁপাকাঁপি ছিল। তবে কিছু শট একস্ট্রা অর্ডিনারিও ছিল। সবমিলিয়ে ভালো। ব্যাকগ্রাওন্ড মিউজিক প্রত্যেকটা সিনের সাথে স্যুট করেছে। তবে সর্বস্তরের দর্শকের কথা বিবেচনা করে এবং ছবিটিকে আরও বেশি প্রাণচঞ্চল করতে পরিচালক একটা গান রাখতেই পারতেন। সেই সুযোগ তার ছিল। মোটের উপর আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘জালালের গল্প’ দেখে দর্শক ঠকবে না। বরং ভালোই লাগবে। হলে যেয়ে ছবিটি দেখুন। বাংলা চলচ্চিত্রকে উৎসাহিত করুন।
আমার গ্রামের দিকে একটা ঘটনা বলি শুরুতেই। বছর সাতেক আগে প্রতিবারের মতোই এক ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছি । বিভিন্নজনের সাথে আড্ডার প্রাক্কালে জানতে পারলাম যে, আমাদের গ্রামে নাকি এক পীরের আবির্ভাব হয়েছে কিছুদিন যাবত, পীরের বয়স মাত্র ৪ বছর। সবাই তাকে ‘ছাবাল’ পীর বলে সম্বোধন করে; আসলে বাচ্চাদেরকে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ‘ছাবাল’ বলা হয়। তো, লোকমুখেই তখন জানতে পারলাম যে, সেই পীর নাকি নিয়মিত “পানি পড়া” আর “ফুঁ” দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। মুরিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি এরপর নাকি মোবাইলেও ফুঁ দেয়ার ব্যাবস্থা চালু করেছিলেন…
‘জালালের গল্প’ যখন দেখছিলাম তখন সবার আগে আমার মাথায় সেই পীরের কথা মনে পড়ে। পানিতে ভেসে আসা এক শিশু হঠাৎ করে হয়ে উঠে পুরো গ্রামের মধ্যমনি, প্রথমে দু একজন জোর করে পানি পড়া নিয়ে যেত; সেই সঙ্গে কিছু টাকাও ধরায়ে দিত। ধীরে ধীরে সে শিশুপীরের মুরিদের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গেল, সেই সাথে শিশুটির আশ্রয়দাতার ইনকামও। “পীরাকি ব্যাবসা” ফুলে ফেপে ওঠার ফলে সৃষ্ট গ্রামীন কোন্দলের কারণে ভেসে আসা শিশুটিকে একসময় আবারো ভাসিয়ে দেয়া হয় পানিতে…!
এই শিশুটিই হচ্ছে আমাদের ‘জালাল’ এবং তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত এই মুভির প্রথম অধ্যায়ের নাম ‘The Arrival’।
অতঃপর শুরু হয় জালালের আরেক অধ্যায়…
নাহ! যারা দেখন নি তাদের জন্যে আমি মুভির আর কোন অধ্যায়ের কথা বলব না। তবে যে জালালের নামে মুভির নামকরন, পুরো মুভি জুড়ে সে জালালের সংলাপ একেবারেই অনুপস্থিত। এখানে জালালের কোন বিরাট প্রকাশ নেই, বরং জালাল একজন নীরব দর্শক। তাঁর চোখেই ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের তিন ধরনের সামাজিক পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার গল্প।
তবে সর্বোপরি এসেছে আবহমান বাংলার নারীর অসহায়ত্বের দিকটি…
এবার আসি সিনেমাটার অন্যদিকে। পুরো মুভির ক্যামেরার কাজ, সিনেমাটোগ্রাফি আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক – এককথায় অসাধারণ। অনেকদিন পর বাংলার গ্রামীন অঞ্চলকে এমন ঝকঝকে প্রিন্টে দেখলাম। এখানে উল্লেখ্য, মুভির প্রতিটা দৃশ্যই বাস্তবতার সাথে এতটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ যে মনে হবে, পরিচালক ছাকনি দিয়ে ছেকে আমাদের চারপাশটাকে তুনে এনেছেন।
অভিনয় নিয়ে কোন কথা হবে না, সবাই চমৎকার যার যার জায়গা থেকে। আর মোশাররফ করিম যে অন্য লেভেলের একজন অভিনেতা, সেটার প্রমান দিলেন তিনি আবারো; আর যাই হোক পর্তুগালে তো আর এমনি এমনি সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতেন নি!
মুভিটা সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ রইল। বিশ্বাস করেন দেখে বের হওয়ার পর মাথায় অনেকক্ষণ মুভিটা চক্কর দিবে, এমনকি অনেকদিন পর্যন্তও…
‘জালালের গল্প’ ! চলচ্চিত্রটির প্রথম অর্ধাংশ দেখে সন্দিহান ছিলাম নামকরণটা কতটুক স্বার্থক হবে। কিন্তু যখন পুরো চলচ্চিত্রটি শেষ হল ঠিক তখন এমন নামকরণের প্রকৃত মাহাত্ম্যটা খুঁজে পেলাম। রিভিউ লিখার আগে সবাইকে অনুরোধ করছি বিনোদনের জন্য হোক, সমালোচনার জন্য হোক, দেশের চলচ্চিত্রকে উৎসাহিত করার জন্য হোক, সবাইকে হলে যেয়ে ছবিটি দেখার জন্য। কারণ ক্রমশ অগ্রসরমান আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিতে ‘জালালের গল্প’ নামের এমন একটা ব্যাপার সংযুক্ত হয়েছে যা কিনা ইতিমধ্যে লুফে এনেছে আন্তর্জাতিক সম্মাননা। সবচেয়ে বড় কথা পরিচালক আবু শাহেদ ইমনের প্রথম কাজ এটি। ছবিটির কনসেপশন অবশ্যই ভিন্ন ধারার। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে যারা একটু সৃজনশীল কাজের দিকে ইন্ডাষ্ট্রিকে নিয়ে যাতে যাচ্ছেন তাদের কাতারে আরেকজন যুক্ত হলেন। চলচ্চিত্রটির গল্প এমনভাবে করা হয়েছে যাতে আপনি শেষটা পর্যন্ত দেখেন। তবে হ্যাঁ জালালের বাপ যখন তৌকির আহমেদ তখন কাহিনীটা একটু লম্বা করা হয়েছে। হয়ত সেখানে আরেকটু দ্রুত এগুনো যেত। জালালের প্রথম বাপের অভিনয় তার চরিত্রের ভিতরে থেকে করা হয়েছে। তৌকির আহমেদ অভিনয়ে ছিলেন বরাবরের মতই বলিষ্ঠ ও সাবলীল। বড়পর্দায় তাকে অবশ্যই ভালো লেগেছে। জালালের দ্বিতীয় মায়ের অভিনয়টা আরও প্রাণবন্ত হতে পারত। গল্পে পরিচালক মাঝেই মাঝেই কিছু মজার সংলাপ রেখেছেন যা দর্শকদের অবশ্যই আনন্দ দিবে। ছবিটির অর্ধাংশ যাওয়ার পর হঠাৎ মনে হল প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। কারণ তখন অভিজ্ঞ অভিনেতা মোশাররফ করিম আসেন পর্দায়। যিনি কিনা এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যই পর্তুগালের ফিল্ম ফেস্টিভেল থেকে জিতে নিয়েছেন তার প্রথম আন্তর্জাতিক পুরষ্কার। মোশাররফ করিমের অনেকগুলো সিন আছে যা দর্শক আসলেই তার কাছ থেকে আশা করে। পরিচালক সেখানে দর্শকদের আশাহত করেননি। তবে এই অভিনয়গুলো তার জন্য নতুন কিছু নয়। বরাবরের মত দর্শকদের বিনোদন দিবে। এবার আসি মৌসুমী হামিদের কথায়। চরিত্রে তাকে হয়ত মানিয়েছে কিন্তু অভিনয়টা আরও ভালো করতে পারতেন। তবে নতুন হিসেবে যথেষ্ট ভাল হয়েছে। এবার আসি যুবক জালালের কথায়। আরাফাত রহমান। পর্দায় হয়ত এবারই তাকে প্রথম দেখেছি। তার অভিনয় এবং উপস্থাপনকে আমি ১০০ তে ৯০ দিব। যেমনটা করার কথা ঠিক তেমনই করেছেন। ছবিটিতে দর্শককে স্পর্শ করে যাবে এমন কিছু সিন আছে। যেমন ছোট জালালকে যখন বস্তায় ভরে আবার নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। চলচ্চিত্রটির সিনেমটোগ্রাফি অবশ্যই আরও ভাল হতে পারত। কিছু শট আরোপ করা হয়েছে মনে হয়। প্রথমদিকটায় অনেকবার ক্যামেরায় কাঁপাকাঁপি ছিল। তবে কিছু শট একস্ট্রা অর্ডিনারিও ছিল। সবমিলিয়ে ভালো। ব্যাকগ্রাওন্ড মিউজিক প্রত্যেকটা সিনের সাথে স্যুট করেছে। তবে সর্বস্তরের দর্শকের কথা বিবেচনা করে এবং ছবিটিকে আরও বেশি প্রাণচঞ্চল করতে পরিচালক একটা গান রাখতেই পারতেন। সেই সুযোগ তার ছিল। মোটের উপর আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘জালালের গল্প’ দেখে দর্শক ঠকবে না। বরং ভালোই লাগবে। হলে যেয়ে ছবিটি দেখুন। বাংলা চলচ্চিত্রকে উৎসাহিত করুন।
Onek pore hole o cinema ti dekhlam. Osadharan kahini and mosharaf karimer acting. 10 e 9 paowar joggo. Apnara dekhte bhulben na.
Capone’s khan
আমার গ্রামের দিকে একটা ঘটনা বলি শুরুতেই। বছর সাতেক আগে প্রতিবারের মতোই এক ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছি । বিভিন্নজনের সাথে আড্ডার প্রাক্কালে জানতে পারলাম যে, আমাদের গ্রামে নাকি এক পীরের আবির্ভাব হয়েছে কিছুদিন যাবত, পীরের বয়স মাত্র ৪ বছর। সবাই তাকে ‘ছাবাল’ পীর বলে সম্বোধন করে; আসলে বাচ্চাদেরকে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ‘ছাবাল’ বলা হয়। তো, লোকমুখেই তখন জানতে পারলাম যে, সেই পীর নাকি নিয়মিত “পানি পড়া” আর “ফুঁ” দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। মুরিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনি এরপর নাকি মোবাইলেও ফুঁ দেয়ার ব্যাবস্থা চালু করেছিলেন…
‘জালালের গল্প’ যখন দেখছিলাম তখন সবার আগে আমার মাথায় সেই পীরের কথা মনে পড়ে। পানিতে ভেসে আসা এক শিশু হঠাৎ করে হয়ে উঠে পুরো গ্রামের মধ্যমনি, প্রথমে দু একজন জোর করে পানি পড়া নিয়ে যেত; সেই সঙ্গে কিছু টাকাও ধরায়ে দিত। ধীরে ধীরে সে শিশুপীরের মুরিদের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গেল, সেই সাথে শিশুটির আশ্রয়দাতার ইনকামও। “পীরাকি ব্যাবসা” ফুলে ফেপে ওঠার ফলে সৃষ্ট গ্রামীন কোন্দলের কারণে ভেসে আসা শিশুটিকে একসময় আবারো ভাসিয়ে দেয়া হয় পানিতে…!
এই শিশুটিই হচ্ছে আমাদের ‘জালাল’ এবং তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত এই মুভির প্রথম অধ্যায়ের নাম ‘The Arrival’।
অতঃপর শুরু হয় জালালের আরেক অধ্যায়…
নাহ! যারা দেখন নি তাদের জন্যে আমি মুভির আর কোন অধ্যায়ের কথা বলব না। তবে যে জালালের নামে মুভির নামকরন, পুরো মুভি জুড়ে সে জালালের সংলাপ একেবারেই অনুপস্থিত। এখানে জালালের কোন বিরাট প্রকাশ নেই, বরং জালাল একজন নীরব দর্শক। তাঁর চোখেই ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের তিন ধরনের সামাজিক পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার গল্প।
তবে সর্বোপরি এসেছে আবহমান বাংলার নারীর অসহায়ত্বের দিকটি…
এবার আসি সিনেমাটার অন্যদিকে। পুরো মুভির ক্যামেরার কাজ, সিনেমাটোগ্রাফি আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক – এককথায় অসাধারণ। অনেকদিন পর বাংলার গ্রামীন অঞ্চলকে এমন ঝকঝকে প্রিন্টে দেখলাম। এখানে উল্লেখ্য, মুভির প্রতিটা দৃশ্যই বাস্তবতার সাথে এতটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ যে মনে হবে, পরিচালক ছাকনি দিয়ে ছেকে আমাদের চারপাশটাকে তুনে এনেছেন।
অভিনয় নিয়ে কোন কথা হবে না, সবাই চমৎকার যার যার জায়গা থেকে। আর মোশাররফ করিম যে অন্য লেভেলের একজন অভিনেতা, সেটার প্রমান দিলেন তিনি আবারো; আর যাই হোক পর্তুগালে তো আর এমনি এমনি সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতেন নি!
মুভিটা সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ রইল। বিশ্বাস করেন দেখে বের হওয়ার পর মাথায় অনেকক্ষণ মুভিটা চক্কর দিবে, এমনকি অনেকদিন পর্যন্তও…
বিশাল ট্রাজেডির ছবি ।