অনেকটা তৃপ্তি নিয়েই অভিসার থেকে বের হয়েছি তাঁরকাটা দেখে। অনেকদিন পরই এরকম তৃপ্তি নিয়ে হল থেকে বের হয়েছি। বেশি তৃপ্তির কারন বোধহয় এ ছবি নিয়ে প্রত্যাশার পরিমাণটা অনেক কমিয়ে নিয়েছিলাম ‘প্রজাপতি’র কথা মনে করে। কিন্তু পুরো সিনেমা দেখার পর ধারনাটা বদলে গেল। পূর্ণ বিনোদনের ছবি ‘তাঁরকাটা’।
এই সিনেমার শ্যুটিং শুরুর সময় কাহিনীর অংশবিশেষ পত্রিকায় পড়ে মনে হয়েছিল সিনেমায় আশিকি২’র ছায়া রয়েছে। কিছুটা রয়েছে তবে সেটা দোষের কিছু মনে হয়নি। সিনেমার শুরুতেই এবং পুরো সিনেমা জুড়েই ভাই-বোনের সম্পর্ক অনেক আবেগঘন করে দেখানো হয়েছে যা হলের দর্শকদের স্তব্ধ করে রাখে রেশ থাকা পর্যন্ত। যদিও সিনেমা বলেই মাফ করে দেয়া যায়, কারন বাস্তবে এত অল্পতেই ছোট ভাইয়ের উপর বিশ্বাস হারায় না বড়বোন। ছোট্ট বুড়িটার অভিনায়ও মন কাড়ে।
অভিনয়ের দিক দিকে সবাই মোটামুটি ভাল করেছেন। যদিও অভিনেতা হিসেবে ডঃ এজাজ কেমন সেটা নতুন করে বলার নেই তবুও এ ছবিতে তার উপস্থিতি আর অভিনয় ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। মৌসুমীও নতুন নন। খারাপের দিক দিযে ফারুক হোসেন আর মীমের সেক্রেটারির চরিত্রের মহিলাটার অতি অভিনয় বিরক্তি যুগিয়েছে।
আরেফিন শুভ এই প্রথম কোন ছবিতে পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ পেলেন নির্মাতার। গ্ল্যামারে তো চমক আছেই আশা করি তিনি আরো মনোযোগ দেবেন অভিনয়ে।
মীম!! উঠতি তিনজন নায়িকার মধ্যে আমার দৃষ্টিতে মীম সবচেয়ে এগিয়ে। শুধু গ্ল্যামারের জন্যই নয়, তার অভিব্যক্তি ও চেহারা অনেক বেশি নায়িকাসুলভ ও শৈল্পিক। ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবিতেই তাকে ভালো লেগেছিল নায়িকা হিসেবে। কিন্তু নির্মাতারা তাকে কাজে লাগাতে অনেক দেরি করলেন।
গান!! তাঁরকাটা একটি সুরসমৃদ্ধ গানের ছবি। আর আরেফিন রুমি সেই সুরের ধারা। পুরো সিনেমায় গানের আবেশে আচ্ছন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আবহ সংগীতে তার মিউজিক সেন্সের মুন্সিয়ানা প্রকাশিত। পর্দায় সুরকার হিসেবে হাসান মাসুদের পরিবর্তে আরেফিন রুমীকে দেখালে বিশেষ আকর্ষন হয়ে থাকত।
ভালো এবং ব্যতিক্রম কিছু করতে গেলে খারাপ এবং প্রচলিত অনেক কিছু বাদ দেয়া বাঞ্চনীয়। যেমন, সব ছবিতেই এই ছবির ‘ঘাগড়া’ জাতীয় গান কি বাধ্যতামূলক? এছাড়া ‘আমি তুমি’র মত গান মিউজিক ভিডিও হিসেবে ভাল হয়েছে নি:সন্দেহে। কিন্তু সিনেমার মূল আবহ থেকে সরে গিয়ে দীর্ঘক্ষন এ ধরনের গান দেখতে বিরক্ত লাগে। তাছাড়া এভাবে কল্পনায় গান দেখানো খুবই প্রচলিত একটা পদ্ধতি। ভয় পেয়ে নায়িকা নায়ককে জড়িয়ে ধরলেই যেন আমরা ধরে নেই এবার গান——–
এছাড়া ছবির ভিডিও কোয়ালিটি খুব ভালো বলতে আমার আপত্তি আছে। বিশেষ করে কালার কারেকশনে। আমার ভালো ধারনা নেই, তবে মনে করি এটা করা হয়ে থাকতে পারে টেলিফিল্ম ভাব কাটানোর জন্য। কিন্তু পর্দায় গাছপালা আর ঘাস সবুজ না দেখে অন্য রঙের দেখলে চোখ ও মনে এক ধরনের চাপ অনুভব করি।
আর একটি বিষয় হলো ক্যানভাস। একজন নির্মাতা অনেক স্বপ্ন নিয়ে, দলবল, নানা রঙ নিয়ে ছবি আঁকতে বসেন। কিন্তু ফ্রেমটা এতো ছোট কেন? কেন্ এমন হয় না যতদূর দৃষ্টিটা যায়। ছবির চরিত্রগুলোর পাশের প্রকৃতি আর পরিবেশ কেন উঠে আসে না স্বরুপে? জানি আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু এটুকুতেই যদি হাফিয়ে উঠি তাহলে কখন আয়োজন করে আমরা সঞ্জয় লীলা বানসালি, এস এস রাজামৌলি, মিল গিবসন এর মত ছবি আঁকব?
অনেকটা তৃপ্তি নিয়েই অভিসার থেকে বের হয়েছি তাঁরকাটা দেখে। অনেকদিন পরই এরকম তৃপ্তি নিয়ে হল থেকে বের হয়েছি। বেশি তৃপ্তির কারন বোধহয় এ ছবি নিয়ে প্রত্যাশার পরিমাণটা অনেক কমিয়ে নিয়েছিলাম ‘প্রজাপতি’র কথা মনে করে। কিন্তু পুরো সিনেমা দেখার পর ধারনাটা বদলে গেল। পূর্ণ বিনোদনের ছবি ‘তাঁরকাটা’।
এই সিনেমার শ্যুটিং শুরুর সময় কাহিনীর অংশবিশেষ পত্রিকায় পড়ে মনে হয়েছিল সিনেমায় আশিকি২’র ছায়া রয়েছে। কিছুটা রয়েছে তবে সেটা দোষের কিছু মনে হয়নি। সিনেমার শুরুতেই এবং পুরো সিনেমা জুড়েই ভাই-বোনের সম্পর্ক অনেক আবেগঘন করে দেখানো হয়েছে যা হলের দর্শকদের স্তব্ধ করে রাখে রেশ থাকা পর্যন্ত। যদিও সিনেমা বলেই মাফ করে দেয়া যায়, কারন বাস্তবে এত অল্পতেই ছোট ভাইয়ের উপর বিশ্বাস হারায় না বড়বোন। ছোট্ট বুড়িটার অভিনায়ও মন কাড়ে।
অভিনয়ের দিক দিকে সবাই মোটামুটি ভাল করেছেন। যদিও অভিনেতা হিসেবে ডঃ এজাজ কেমন সেটা নতুন করে বলার নেই তবুও এ ছবিতে তার উপস্থিতি আর অভিনয় ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। মৌসুমীও নতুন নন। খারাপের দিক দিযে ফারুক হোসেন আর মীমের সেক্রেটারির চরিত্রের মহিলাটার অতি অভিনয় বিরক্তি যুগিয়েছে।
আরেফিন শুভ এই প্রথম কোন ছবিতে পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ পেলেন নির্মাতার। গ্ল্যামারে তো চমক আছেই আশা করি তিনি আরো মনোযোগ দেবেন অভিনয়ে।
মীম!! উঠতি তিনজন নায়িকার মধ্যে আমার দৃষ্টিতে মীম সবচেয়ে এগিয়ে। শুধু গ্ল্যামারের জন্যই নয়, তার অভিব্যক্তি ও চেহারা অনেক বেশি নায়িকাসুলভ ও শৈল্পিক। ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ ছবিতেই তাকে ভালো লেগেছিল নায়িকা হিসেবে। কিন্তু নির্মাতারা তাকে কাজে লাগাতে অনেক দেরি করলেন।
গান!! তাঁরকাটা একটি সুরসমৃদ্ধ গানের ছবি। আর আরেফিন রুমি সেই সুরের ধারা। পুরো সিনেমায় গানের আবেশে আচ্ছন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আবহ সংগীতে তার মিউজিক সেন্সের মুন্সিয়ানা প্রকাশিত। পর্দায় সুরকার হিসেবে হাসান মাসুদের পরিবর্তে আরেফিন রুমীকে দেখালে বিশেষ আকর্ষন হয়ে থাকত।
ভালো এবং ব্যতিক্রম কিছু করতে গেলে খারাপ এবং প্রচলিত অনেক কিছু বাদ দেয়া বাঞ্চনীয়। যেমন, সব ছবিতেই এই ছবির ‘ঘাগড়া’ জাতীয় গান কি বাধ্যতামূলক? এছাড়া ‘আমি তুমি’র মত গান মিউজিক ভিডিও হিসেবে ভাল হয়েছে নি:সন্দেহে। কিন্তু সিনেমার মূল আবহ থেকে সরে গিয়ে দীর্ঘক্ষন এ ধরনের গান দেখতে বিরক্ত লাগে। তাছাড়া এভাবে কল্পনায় গান দেখানো খুবই প্রচলিত একটা পদ্ধতি। ভয় পেয়ে নায়িকা নায়ককে জড়িয়ে ধরলেই যেন আমরা ধরে নেই এবার গান——–
এছাড়া ছবির ভিডিও কোয়ালিটি খুব ভালো বলতে আমার আপত্তি আছে। বিশেষ করে কালার কারেকশনে। আমার ভালো ধারনা নেই, তবে মনে করি এটা করা হয়ে থাকতে পারে টেলিফিল্ম ভাব কাটানোর জন্য। কিন্তু পর্দায় গাছপালা আর ঘাস সবুজ না দেখে অন্য রঙের দেখলে চোখ ও মনে এক ধরনের চাপ অনুভব করি।
আর একটি বিষয় হলো ক্যানভাস। একজন নির্মাতা অনেক স্বপ্ন নিয়ে, দলবল, নানা রঙ নিয়ে ছবি আঁকতে বসেন। কিন্তু ফ্রেমটা এতো ছোট কেন? কেন্ এমন হয় না যতদূর দৃষ্টিটা যায়। ছবির চরিত্রগুলোর পাশের প্রকৃতি আর পরিবেশ কেন উঠে আসে না স্বরুপে? জানি আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু এটুকুতেই যদি হাফিয়ে উঠি তাহলে কখন আয়োজন করে আমরা সঞ্জয় লীলা বানসালি, এস এস রাজামৌলি, মিল গিবসন এর মত ছবি আঁকব?