কিছু আশা কিছু ভালোবাসা ()

০.০
আপনার রেটিঙঃ
- / ১০ X
রেটিঙঃ ০.০/১০, ভোট দিয়েছেন জন | সমালোচক রেটিঙঃ
দর্শক মন্তব্যঃ ৫ টি

কাহিনী সংক্ষেপ

তুখোড় রাজনীতিবিদ মৌসুমী ও ধনাঢ্য শাবনূরের বন্ধুত্বের গল্প দিয়ে শুরু হবে এই কাহিনী। দুজনই ভালোবাসে ফেরদৌসকে। তাকে ঘিরেই দুই বান্ধবীর মনোমালিন্যের সূত্রপাত। দ্বন্দ্ব এমন অবস্থায় পৌঁছে যে, দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়। ওদিকে মৌসুমীর ভাই আবীর ও শাবনূরের বোন হ্যাপি পরস্পরের প্রেমে পড়ে। এ কথা জানাজানি হলে দুই পরিবারে শুরু হয় বিবাদ।মৌসুমী ও শাবনূর একে অপরকে দোষারোপ করেন। পরিস্থিতি জটিল আকার নেয়। Kisu Asha Kisu Bhalobasha

প্রধান অভিনেতা - অভিনেত্রী

ফেরদৌস আহমেদ
মৌসুমী
শাবনূর
no imageআবির
হ্যাপী
ইলিয়াস কোবরা
শিমুল খান
সকল কলাকুশলী

ছবি এবং ভিডিও

প্রধান কলাকুশলী

কাহিনী শচীন কুমার নাগ
চিত্রনাট্য -
সংলাপ শচীন কুমার নাগ
সঙ্গীত পরিচালক জে কে মজলিস, আরেফিন রুমি, আহমেদ হুমায়ুন
সুরকার -
গীতিকার সুদীপ কুমার দীপ
সকল কলাকুশলী

অন্যান্য তথ্যাবলী

মুক্তির তারিখ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
ফরম্যাট ডিজিটাল
রং রঙিন
নির্মাণ ব্যয়১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

৫টি রিভিউ

  1. লিখেছেনঃ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন

    মৌসুমী ও শাবনূর। দুজনেই দেশীয় চলচ্চিত্রের সেরা অভিনেত্রী। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দুজনের প্রেক্ষাগৃহের পর্দায় আসা। মৌসুমী পর্দায় আসেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের রোজার ঈদে। আর শাবনূর আসেন একই বছরের শেষ সময় ক্যাপ্টেন এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে। প্রথম ছবিতে মৌসুমী যতটা সফল শাবনূর ততটাই ব্যর্থ। তার পরও শাবনূর নির্মাতাদের সহযোগিতা আর নিজের যোগ্যতায় সাফল্যের মুখ দেখেন এবং একসময় নিজেকে মৌসুমীর যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই মৌসুমী শাবনূরকে নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পও দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি শিবিরের দৃষ্টিতে মৌসুমী সেরা, আরেকটি শিবিরে শাবনূর। মধ্যপন্থিদের হিসেবে দুজনই সেরা। মৌসুমী-শাবনূর কে সেরা
    এটা অমীমাংসিত বিষয় হলেও তাদের একসঙ্গে দেখলে কারও মনেই হয় না এ দুই শিল্পীর মধ্যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। বাস্তবে দ্বন্দ্ব বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও পর্দায় আছে এবং একসঙ্গে অভিনয় করার সময় পর্দায় সেটা ফুটে ওঠে। দুজনেই নিজেদের চূড়ান্ত ক্ষমতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করার চেষ্টা করেন। ফলে তাদের গুণে সমৃদ্ধ হয় চলচ্চিত্র। তবে এ দুই সেরা অভিনেত্রীকে প্রথম এক করার মতো অসম্ভবকে সম্ভব করেন নায়ক প্রযোজক মান্না। মান্না অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মৌসুমী-শাবনূরকে একসঙ্গে পর্দায় আনেন তার প্রযোজিত ‘দুই বধূ এক স্বামী’ ছবিতে। এফআই মানিক পরিচালিত এ ছবিতে মান্নার বিপরীতে মৌসুমী ও শাবনূরের উপস্থিতি দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেন। এরপর আসে ‘মোল্লা বাড়ির বউ’। চলচ্চিত্রবোদ্ধা মতিউর রহমান পানু প্রযোজিত এবং জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা অভিনেতা সালাউদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘মোল্লা
    বাড়ির বউ’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। পাশাপাশি নির্মাতাদের মধ্যে আস্থা জন্মায়, মৌসুমী-শাবনূরকে নিয়ে কাজ করা যায়। সেই আস্থার ওপর ভর করে তরুণ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ নির্মাণ করেন ‘বিয়াইন সাব’ এবং প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন নির্মাণ করেন ‘গোলাপী এখন বিলাতে’। এরপর তরুণ পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক নির্মাণ করেন ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’, যা আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে। মৌসুমী-শাবনূরের সঙ্গে এ ছবিতে নায়ক হিসেবে রয়েছেন ফেরদৌস। দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিত্ব আর অভিনয়যুদ্ধ নিয়েই অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যেই ছবিটি নির্মাণ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। অনেক দিন পর মৌসুমী-শাবনূর একসঙ্গে পর্দায় আসছেন, যা সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের জন্য একটি বড় পাওনা। দুই সেরার পর্দা লড়াই দেখার জন্য দর্শকরাও উন্মুখ হয়ে বসে আছেন- এমন মন্তব্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের এ দুই সেরা নায়িকাকে আমি যথাযথভাবে পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তারাও চেষ্টা করেছেন আমার ছবির চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। আমার বিশ্বাস, ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ ছবিতে মৌসুমী-শাবনূরের অভিনয়যুদ্ধ দর্শকদের মুগ্ধ করবেই। সেই সঙ্গে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প সমৃদ্ধ হবে।

    এই মুভির ফেসবুক পেজঃ

    https://www.facebook.com/kichuasha.kichuvalobasa?ref=stream

সব রিভিউ দেখুন

রিভিউ লিখুন

আরও ছবি