কয়েকদিন আগে টিভির চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে সিসিএল(ক্যাবল অপারেটরদের নিজস্ব চ্যানেল) এ দেখলাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলতেছে।অনেক বছর পর এই সিনেমাটা দেখলাম। সেই ছোটবেলায় দেখছি, ভুলেই গেছি সব। মুভিটার কথা চিন্তা করলেই সালমান শাহর মোটর বাইক নিয়ে ‘ও আমার বন্ধু গো’ গানটা গাওয়ার দৃশ্য ভেসে উঠত। এতদিন পর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দেখতে দেখতে বর্তমান থেকে অতীতে ফিরে যাচ্ছিলাম বারবার।
তখন সবার বাসায় টিভি ছিল না, স্যাটেলাইট লাইনেরতো প্রশ্নই আসে না। যাদের টিভি ছিল বিটিভির বাংলা সিনেমা দেখার জন্য সেখানে সবাই জড়ো হত। আর বিদেশি মুভির জন্য ‘মুভি অফ দ্যা উইক’ ই ছিল ভরসা। আস্তে আস্তে কারো কারো ঘরে ভিসিআর আসা শুরু করে। ভিসিআরে ক্যাসেট চলতে চলতে ময়লা জমে যেতে। ঢাকনা খুলে কাগজ দিয়ে সেই ময়লা পরিষ্কার করতাম। সেই সব স্মৃতি! বাসায় ভিসিআর থাকলেও সব সময় দেখা সম্ভব হতো না। কারণ পড়ালেখা, খেলাধুলা আর টিভি দেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বাঁধা থাকত। ভিসিআরে সিনেমা দেখার সবচেয়ে ভালো সুযোগ আসত আশেপাশে কারো বিয়ে হলে। সেই সময় বিয়ের অনুষ্ঠানে উঠানে বাংলা সিনেমা দেখানোর চল ছিল। পাড়ার সব ছেলে মেয়েরা এসে জড়ো হোত জসিম, সালমান শাহ, মান্না, রুবেল, মৌসুমি, শাবনুর সহ বাংলা সিনেমার হিরো-হিরোইনদের দেখার জন্য। ভিসিডি বা ডিভিডি আসার পরো কিছুদিন এ নিয়ম চালু ছিল। পরবর্তীতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে সিনেমা তার আসন হারিয়ে ফেলে। অধিকাংশ বাংলা সিনেমা এই সময়কালের মধ্যেই।
এরপর অনেক দেশের অনেক ধরনের সিনেমা দেখলাম। কিন্তু ছোটবেলায় দেখা সিনেমাগুলো একটা ‘ভালোবাসার মঞ্জিল’ তৈরি করে নিয়েছে, কোথায় যেন একটা ঠান অনুভব করি এসব ছবির জন্য। আজো সেই সময়ের কোনো মুভি দেখলে এসব স্মৃতি মনে পড়ে। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দেখতে দেখতেও মনে পড়ছিল।
১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’র কাহিনীতো সবাই জানেন। মুভির সংলাপ ছিল যথেষ্ট প্রাণবন্ত। আর অভিনয়ে রাজীব আর আহমদ শরীফ ছিলেন দুর্দান্ত। নতুন হিসাবে সালমান শাহ ও মৌসুমিও ভালো অভিনয় করেছেন। মোসুমির মিষ্টি মেয়ের লুকটা বেশ ভালো লেগেছে।
ছবিটি খুবই ভাল লেগছে
কয়েকদিন আগে টিভির চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে সিসিএল(ক্যাবল অপারেটরদের নিজস্ব চ্যানেল) এ দেখলাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলতেছে।অনেক বছর পর এই সিনেমাটা দেখলাম। সেই ছোটবেলায় দেখছি, ভুলেই গেছি সব। মুভিটার কথা চিন্তা করলেই সালমান শাহর মোটর বাইক নিয়ে ‘ও আমার বন্ধু গো’ গানটা গাওয়ার দৃশ্য ভেসে উঠত। এতদিন পর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দেখতে দেখতে বর্তমান থেকে অতীতে ফিরে যাচ্ছিলাম বারবার।
তখন সবার বাসায় টিভি ছিল না, স্যাটেলাইট লাইনেরতো প্রশ্নই আসে না। যাদের টিভি ছিল বিটিভির বাংলা সিনেমা দেখার জন্য সেখানে সবাই জড়ো হত। আর বিদেশি মুভির জন্য ‘মুভি অফ দ্যা উইক’ ই ছিল ভরসা। আস্তে আস্তে কারো কারো ঘরে ভিসিআর আসা শুরু করে। ভিসিআরে ক্যাসেট চলতে চলতে ময়লা জমে যেতে। ঢাকনা খুলে কাগজ দিয়ে সেই ময়লা পরিষ্কার করতাম। সেই সব স্মৃতি! বাসায় ভিসিআর থাকলেও সব সময় দেখা সম্ভব হতো না। কারণ পড়ালেখা, খেলাধুলা আর টিভি দেখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বাঁধা থাকত। ভিসিআরে সিনেমা দেখার সবচেয়ে ভালো সুযোগ আসত আশেপাশে কারো বিয়ে হলে। সেই সময় বিয়ের অনুষ্ঠানে উঠানে বাংলা সিনেমা দেখানোর চল ছিল। পাড়ার সব ছেলে মেয়েরা এসে জড়ো হোত জসিম, সালমান শাহ, মান্না, রুবেল, মৌসুমি, শাবনুর সহ বাংলা সিনেমার হিরো-হিরোইনদের দেখার জন্য। ভিসিডি বা ডিভিডি আসার পরো কিছুদিন এ নিয়ম চালু ছিল। পরবর্তীতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে সিনেমা তার আসন হারিয়ে ফেলে। অধিকাংশ বাংলা সিনেমা এই সময়কালের মধ্যেই।
এরপর অনেক দেশের অনেক ধরনের সিনেমা দেখলাম। কিন্তু ছোটবেলায় দেখা সিনেমাগুলো একটা ‘ভালোবাসার মঞ্জিল’ তৈরি করে নিয়েছে, কোথায় যেন একটা ঠান অনুভব করি এসব ছবির জন্য। আজো সেই সময়ের কোনো মুভি দেখলে এসব স্মৃতি মনে পড়ে। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দেখতে দেখতেও মনে পড়ছিল।
১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’র কাহিনীতো সবাই জানেন। মুভির সংলাপ ছিল যথেষ্ট প্রাণবন্ত। আর অভিনয়ে রাজীব আর আহমদ শরীফ ছিলেন দুর্দান্ত। নতুন হিসাবে সালমান শাহ ও মৌসুমিও ভালো অভিনয় করেছেন। মোসুমির মিষ্টি মেয়ের লুকটা বেশ ভালো লেগেছে।
আসলে এই ছবি দেখে আমরা খুব ভাল লাগলো।
অসাধারন একটি ছবি ৷