ভালোবাসা আজকাল ছবিটা পুরোপুরি দেখতে পারি নি । বিরতির কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত দেখেছি । কিছু দিক থেকে ছবিটা আর দশটা বাণিজ্যিক বাংলা ছবির থেকে ভালো ।
প্রথমত, সিনেমার সেন্স অফ হিউমারটা সাধারণমানের । হ্যা, এটা অবশ্যই পজিটিভ দিক । আমার দেখা অধিকাংশ বাণিজ্যিক ছবিরই সেন্স অফ হিউমার অতিরিক্ত সস্তা হয়ে থাকে ।
দ্বিতীয়ত, সংলাপগুলো ভালো । ক্যারেক্টারগুলোকে বেশ ভালোভাবে ব্যবহার করার একটা চেষ্টা চোখে পড়েছে । অধিকাংশ সিনেমাতেই অপ্রয়োজনীয় চরিত্রের আধিক্য চোখে পড়ে ।
তৃতীয়ত, সিনেমার প্রিন্ট ভালো । সম্ভবত রেড ক্যামেরায় চিত্রায়িত । ক্যামেরার কাজ দৃষ্টিকটু না । পাস করে যাওয়ার মত ।
এর বাইরে অভিনয়ে কোন চোখে পড়ার মত উন্নতি নাই । সবাই তাদের অতিনাটকীয় ভাব বজায় রেখেছেন । নায়িকার অভিনয় দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ । তবে তার চপলতা(!) অভিনয়ের ব্যর্থতাকে কিছুটা হলেও ঢেকে রেখেছে ।
স্পেশাল ইফেক্টে পিরামিড থেকে শুরু করে স্টোন হেঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে গানের ব্যকগ্রাউন্ডে । খারাপ বলব না । তবে বোঝা যাচ্ছিলো যে জিনিসে ভেজাল আছে ।
সবসময়ের মতই ইংরেজী ভাষার পুটকি মেরে দেওয়া হয়েছে । শেক্সপিয়ার বেঁচে থাকলে সুইসাইড করতেন ।
লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট, বাংলাদেশকে ছবিতে কিছুটা পজিটিভলি দেখানো হয়েছে । বেশ অনেকটুকু অংশ মনে হল বান্দরবনে চিত্রায়িত । অনন্ত জলিলের মত ব্যাংকক, মালয়েশিয়ার বৃত্ত থেকে বেরিয়েও যে সুন্দর দৃশ্যায়ন সম্ভব আরেকবার প্রমাণিত হল ।
এইটা পি এ কাজলের সিনেমা , স্ট্যানলি কুব্রিকের না । এই সহজ তথ্যটা মাথায় থাকলে পয়সা উসুল করে হল থেকে বের হয়ে আসা যাবে মনে হয় ।
সমালোচনা করলে আসলে বেশ কিছু জাইগায় করা যায়… স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাওয়া যে খাটিয়া তে লাস নাই, ক্যামেরা এদিক অদিক করতে করতেই সেম সিনের মধ্যে রাত দিনের ফারাক, গানের সময়ের এফ এক্সের কিছু দুর্বলতা আর এই ব্যাপারে তেমন এলার্জি না থাকলেও বলবো অপ্রয়জনীয় ভাবে পুরা মুভিতেই নায়িকাকে প্রয়োজনের থেকেও কম কাপড় চোপড় পরানো সহ আরো অনেক ব্লা ব্লা ব্লা…!
হিন্দি সংস্করণটা আমার দেখা হয় নি কিন্তু তবুও সব কিছু মিলিয়ে বলতে গেলে মুভিটা দেখে বেশ ভালো লেগেছে। গ্রামের বাড়ি থেকে যশোর যেয়ে ৩ গুন টাকা বেশি দিয়ে টিকিট কিনে মনিহার সিনেমহলের সিড়িতে বসে মুভি দেখা সার্থক! আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে সিড়ীর একটা ধাপও ফাকা ছিল না সেদিন।
সাকিব খানের অভিনয় অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। আসলেই প্রসংসার দাবিদার! হ্যাটস অফ!
মুভি অনেক বেশি হাস্যরস সম্রিদ্ধ ছিল সেই দিক থেকে অনেক বেশি সার্থক মুভিটা! মুভি প্রিন্টার প্রসংসা না করে আসলে উপায় নেই, এক্কেবারে চক চক করছিল!
শুটিং স্পট গুলো অসাধারন ছিল! বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে পুরো পুরি সার্থক হয়েছে। মনে হচ্ছিল আমি সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখছি। অনেক শ্রদ্ধা রইলো ছবির কলা কুশলির উপর।
আমার মনে হয়েছে অপ্রয়জনিয় কিছু নাচগানের জন্য্য মুভি কিছু দুরব্লতার সৃষ্টি হয়েছে। মিসর কিংবা বিদেশের কিছু সিন অপ্রয়জণীয় এবং আরটীফিসিয়াল ভাবে বিদেশী “ফিল” দেবার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সেইগুলো আসলেই আরটীফিসিয়ালই লেগেছে।
আমি বলবো নায়িকার কিছু ব্যাপার আসলেই চোখে লেগেছে। বেশি অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে মনে হয়েছে! এই ব্যাপারে তেমন এলার্জি আমার নেই তবুও মনে হয়েছে অপ্রয়জনীয় ভাবে পুরা মুভিতেই নায়িকাকে প্রয়োজনের থেকে একটু কম কাপড় চোপড় পরানো হয়েছে তবে আমার মনে হয়েছে মুভির শেষ দিকে এসে একটু ড্রেস চয়েসে চেঞ্জ করা উচিৎ ছিল।
সব মিলিয়ে অনেক সাধুবাদ! আর যাই হোক আমি আজ থেকে আবার বাংলা মুভি নিয়ে আবার আশাবাদী!
এবার ঈদে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে যার মধ্যে শাকিব ও মাহি অভিনিত “ভালবাসা আজকাল” একটি। আজ হলে গিয়ে এই ছবিটি দেখে আসলাম। এটা আমাদের মানতে হবে যে, বাংলা ছবির অনেক পরিবর্তন হয়েছে , যেটা ইমপ্রেস টেলিফফিল্ম, জাজ মাল্টিমিডিয়া ইতোমধ্যে তা জানিয়ে আর এরই ধারাবাহিকতায় জাজ মাল্টিমি ছবি “ভালবাসা আজকাল ” আবারো প্রমাণ বাংলাদেশে এখনও ভাল মানের ছবি বানায়।
এবার আসি মূল বিষয়ে : প্রথমেই কাবিলা হাজির তবে তার চিরচেনা মুখে নয় বরং পাক্কা হাজি সা কাবিলার একটাই কাজ তার ভাগিনাকে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে করিয়ে বাসর রাতে মেয়ের অলংক যাবতীয় সব চুরি করানো। একদিন কাবিলা ভাগিনা ধরা খায়। কাবিলা নিজের জ বাঁচিয়ে ভাগে। কাবিলা চিন্তায় পড়ে কি করবে। আর এরই ফাঁকে কাবিলার বোন তার ভাগিনা কিছুই করেনা , যার নাম রা রানাই শাকিব খান। হুম, এবার রানা কে নিয়ে ঢাকায় আসা । তবে রান মাকে কথা দিয়েছে তার মামার কথা মত মামা ভাগিনা মিলে বিভিন্ন সময় বিভ ভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আস এভাবেই এগিয়ে যায় ছবির গল্প। একদিন সুম এক মেয়ের সাথে বিয়ের অভিনয় করে প্রতারণা করবে ঠিক তখনই গল্প মোড় ন দিকে। হাজির হয় মাহি। বিদেশে থাক জন্মভুমির টানে বাংলাদেশে আসা।
এদিকে মাহি সুযোগ বুঝে শাকিবের সাথ বাসায় চলে আসে। মাহির প্রতি শাকিব দেখে লুলায়িত হয়ে গেলাম, কারন তো জানতে হলে চলে আসুন আপনার আশেপাশ যেকোনো এক সিনেমা হলে। এগিয়ে চলছ গতিবিধি। আপনি সময় কে ভাল ভাবেই উপ করবেন এটাই কাম্য। মাহির বাবা মাহিকে খুঁজছে হন্য হয়ে তবে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে। এটা ছবির দিকেই বুঝতে পারবেন। শাকিব মাহিকে নিয়ে বান্দরবন চলে আসে। এরই ফাকে মাহির প্রতি শাকিবের ভালবাস কি শাকিবের? না, মাহিও । শাকিব তার পিঠে করে মাহিকে সারা রাস্তা বয়ে মাহি তার স্বপ্নের বাড়ি খুঁজে পায়। এরপর দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়। এবার প্রকৃত জিনিস বের হয়ে আসে। আর এটা জানতে হলে কি করতে হবে এটা আগ জেনেছেন। পরিশেষে অনেক বাধা বিপ করে দুজন দুজনের মিল হয়। আর মাহি তার স্বপ্নে দেখা রাজবাড়িও পেয়ে যান। এ
ছবির গল্প।
এবার আসি ছবির গানে। ছবির প্রতিটি গ প্রানবন্ত। বিভিন্ন লোকেশনে বিভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গানের ল সাথে মিল রেখে। কম বাজেটেও বাংল োকেশনে এত ভাল মানের ছবি বানান এটা প্রমাণ করল জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিটি গানেই পাবেন ভিন্নতা আর এটা অন্যতম আকর্ষণ। মোট কথা দুই ঘন্টা বিশ মিন পুরোটা সময় আপনি বিনোদনের মাঝে থা এই ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন তারা যার জায়গা থেকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপরও কিছু ভুল ত্রুটি েকযেইসব ভুল ত্রুটি শোধরালে বাংলাদেশ আরো অনেক দূরে যাবে।
আপনারা এখানে মিশা কে পাবেন সম্পূর্ণ আলাদা একটি চরিত্রে। যেখানে তিনি দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসার । সর্বশেষে বলতে চাই ,শাকিব খান ও মাহি অভিনয় করেছেন। দর্শকবৃন্দ বাহ বাহ দিয়েছ তবে অভিনয়ে আরো ভাল করতে হবে। সমালোচনা করবোনা কারন আমি চাই আম চলচিত্র বিশ্বের দরবারে আমার দেশের ম করবে।
সিনেমা হলে এসে ছবি উপভোগ করুন, দেশকে ভালবাসুন, দেশের মাটিকে শ্রদ্ধা করুন এবং দেশের সংস্কৃতি কে ভালবাসুন। যদি কেউ এই লেখাটি শেয়ার করতে চান ,করতে পারবেন তবে আমার নামটা লিখব লিখেছেন :আশরাফুল আলম কাব্য।
দেখে আসলাম ভালোবাসা আজকাল, আমি রিভিউ লিখতে পারিনা, তারপরও মুভি দেখে শুধু এত টুকু বলতে পারি ভালোবাসা আজকাল সুইট এন্ড সিম্পল, কাহিনীর ভালো গতি আছে, মুভিটি মৌলিক কাহিনী নির্ভর, অনেকেই ধারনা করেছিলেন নামের কিছু অংশ একটি হিন্দি মুভির সাথে মিলে যাওয়াতে ছবিটি কপি হবে বলে ধারনা তাদের ধারনা ভুল প্রমানিত হয়েছে, শেষ পর্যন্ত না দেখলে কেউ বুঝতে পারবেনা কাহিনী কোন দিকে যাচ্ছে, শাকিব মাহির রসায়ন অসাধারন গান গুলো শ্রুতি মধুর হলেও শুনতে কি পাও ছাড়া আর কোন গানই হল থেকে বের হওয়ার পর মনে করতে পারলাম না, মিশা, জামিল, সুব্রত রেবেকা, এগুলোকে চরিত্র না বলে অতিথি চরিত্র বলা যায়, মিশার চরিত্র টা আরো একটু শক্তিশালি হলে ভালো হতো, লোকেশন গুলো দেখে চোখে আরাম পেয়েছি, গ্রাফিক্স গুলা অনেক দুর্বল ছিল, একটা গানে মরুভুমি আর পিরামিড দেখালো যেটা বাস্তব সম্মত মনে হয়নি, মুভিতে অনেক গুলো চরিত্র থাকলেও মুভিটা টেনে নিয়ে গেছেন শাকিব, মাহি,আর কাবিলা, একশ্দৃশ্য গুলো আরো ভালো হতে পারতো, সর্বশেষ কথা কষ্ট করে মুভি দেখা সার্থক হবে , পয়সা উসুল হবে
‘’ভালোবাসা আজকাল’’ ছবিটা দেখলাম বেশ ভালোই লেগেছে ৷ সুন্দর লোকেশন এবং গতানুগতিক ধারা থেকে কিছুটা ভিন্ন মনে হয়েছে ৷ মাহীর অভিনয় আগের ছবিগুলোর চেয়ে ভালো হয়েছে ৷ একটু একটু করে মাহী সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ আর সাকিবের কথা বলব কি সেতো আগে থেকেই জাত অভিনেতা ৷ এই ছবিতে অন্য এক নতুন সাকিবকে দেখতে পেলাম ৷ একেবারে নতুনভাবে উপস্হাপন দেখে ভালোই লাগল ৷
যেহেতু রিভিউ টানছি,ভালো-মন্দ দুটোই রিভিউতে থাকবে সেটা স্বাভাবিক ৷ মাহী নতুন তাই তার কথা কি বলব ৷ নতুন বিধায় সে তুলনায় সে অনেক ভালো করেছে ৷
জোনাকি ধরার দৃশ্যটায় চোখে ভুল ধরা পড়েছে ৷ সাকিব জোনাকি ধরে যখন মাহীকে দেখায় তখন হাতের মুঠোয় জোনাকির আলো সাদা ও বেশি উজ্জল মনে হয়েছে ৷ এ দৃশ্যটা কিভাবে করা হয়েছে সেটা ছোট বাচ্চাও জানে ৷ বাহিরের জোনাকির ইফেক্টগুলো জোনাকি কালারের মনে হলেও হাতে ধরে আনা জোনাকির আলো কিন্তু সাদা মনে হয়েছে ৷ আর হাতে ধরা জোনাকির আলো দেখে মনে হয়েছে হাতে লাইট জ্বলছে ৷ অবশ্য এগুলো লাইট ছাড়া মনে হয় সম্ভব না ৷ তারপরও সাকিবের হাতের জোনাকি লাইটটা জোনাকি কালারের দিলে দৃশ্যটা আরো প্রাণবন্ত হতো ৷
ছবির শেষ দৃশ্যটা বেশি একটা ভালো লাগে নি ৷ শেষটা আরো আকর্ষনীয় করা উচিত ছিলো ৷ ছবির শেষ দৃশ্যটাই মূল বিষয় ৷ দর্শক শেষ দৃশ্যটা দেখার জন্যই বেশি উৎসুক থাকে ৷ সাকিবের পেটে ছুঁড়ি বসানোর পর ঢলে পড়লে মাহী যখন তার প্যান্টের পকেট থেকে রক্ত থামানো জন্য এক জাতীয় লতা বের করে সাকিবের পেটে পুঁড়ে দেয় তখন কোন শুকনো কাপড় খুঁজে বের করে বেঁধে দিলে মনে হয় দৃশ্যটা আরো ভালো হতো ৷ মাহীর আর্তনাদে প্রেম বলে কথা প্রেমের জোরে হয়তো অসম্ভব কিছু ঘটে বিধায় জেগে উঠেছে ৷ তাপরও মারামারি দৃশ্যের পর সাকিবের কিছুই হলো না….! পেটে ছুঁড়ি ঢোঁকার পরও ঠাঁয় সুস্হ মানুষের মতো দাঁড়িয়ে আছে ৷ এটা কিভাবে সম্ভব…….?
এরকমটি হতে পারতো……যেমনঃ মারামারি দৃশ্যের পর সাকিব ঢলে পড়বে এবং শেষ সমাপ্তিটা হাসপাতালে ঘটানো উচিত ছিলো ৷ তাহলে মনে হয় শেষটা আরো প্রাণবন্ত হতো……৷ ধন্যবাদ ৷
হরতালের দিনেও টিকিট না পাওয়ার শঙ্কা নিয়ে গেলাম মুভি দেখতে।গিয়ে টিকিট সহজেই পেলাম।কিন্তু হলে ঢোকার পর জায়গা খালি ছিলো না।অনেক দিন পর বাংলা সিনেমা হলে দেখছি।পুর্ন হল দেখতেও ভালো লাগে।হরতালের দিনেও হল ভর্তি দর্শক প্রমান করে সিনেমা হিট।।
শাকিব খানের অভিনয় খুব ভালো।তার মত ভালো অভিনেতা এখন আর বাংলা সিনেমায় কেউ নাই।নিজের ফিগার যথেষ্ঠ কন্ট্রোলে আনতে পেরেছে।তাকে নিয়ে কিছু বলার নাই।
মাহি’র সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে ফিগার।বাংলা সিনেমায় এইরকম স্লিম ফিগারের নায়িকা আগে দেখা যেত না।অভিনয় চলে।উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে।তবে সেগুলা ওভারকাম করছে।কিছু যায়গায় এক্সট্রা ন্যাকামো মনে হইছে।
কাবিলা অভিনয়ে কোন পরিবর্তন নাই।কোন বৈচিত্র নাই।এই টাইপের অভিনয় বিরক্তিকর লাগে।
আর সবার অভিনয় চলার মত।
মিশা’র অভিনয় অনবদ্য।কিন্তু পরিচালক একটু ভিন্ন ভাবে ব্যবহার করছে।তবে আরো ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারত।
কাহিনী ভালো, তবে কিছু যায়গায় বেশ দুর্বল।সিনেমার প্রথমে এত বেশী সময় ধরে কাবিলার অতিসাধারন মানে কৌতুক দেখানোর দরকার ছিলো না।
হটাৎ করেই কোথা থেকে কাবিলা মামা হয়ে এসে শাকিবের মায়ের মাথায় হাত দিয়ে কসম করালো।মুল কাহিনীর ভিত্তি এরকম ফালতু টাইপ করার দরকার ছিলো না।আরো ভালো করতে পারত।
থিডি এনিমেশন দিয়ে গান করার উদ্যোগ ভালো।জলিলের মত অতিমানবীয় হয়নি।ভালো হইছে।প্রায় নতুন জিনিস, তাই কিছু যায়গায় দৃষ্টিকটু লাগলেও সেটা বাদ দেওয়া যায়।গান গুলাও ভালো।
রাতের লাইটিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি বলাই যায়।ইফেক্টের জোনাকি বিরক্তিকর ছিলো।
বিদেশের লোকেশনে না গিয়েও দেশের সুন্দর লোকেশনে ভালো সিনেমা হয় সেটা মুভিতে বেশ ভালো করে ফুটিয়ে তোলা হইছে।
ক্যামেরা ক্রুদের অনেক উন্নতি।কারন আগে সিনেমায় নায়িকাদের দেহের বিভিন্ন অংশ জুম করে দেখানো হতো সেক্সি প্রমানের জন্য।এসব ট্রেডিশন থেকে বেরিয়ে আসা অনেক পজিটিভ একটা দিক।
সবমিলিয়ে সিনেমা ভালোই বলা যায়।সবার হলে গিয়ে দেখা উচিত।
35 na Red Camera.
yaaaa its nyc i hope
******* This may contain some SPOILER **********
ভালোবাসা আজকাল ছবিটা পুরোপুরি দেখতে পারি নি । বিরতির কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত দেখেছি । কিছু দিক থেকে ছবিটা আর দশটা বাণিজ্যিক বাংলা ছবির থেকে ভালো ।
প্রথমত, সিনেমার সেন্স অফ হিউমারটা সাধারণমানের । হ্যা, এটা অবশ্যই পজিটিভ দিক । আমার দেখা অধিকাংশ বাণিজ্যিক ছবিরই সেন্স অফ হিউমার অতিরিক্ত সস্তা হয়ে থাকে ।
দ্বিতীয়ত, সংলাপগুলো ভালো । ক্যারেক্টারগুলোকে বেশ ভালোভাবে ব্যবহার করার একটা চেষ্টা চোখে পড়েছে । অধিকাংশ সিনেমাতেই অপ্রয়োজনীয় চরিত্রের আধিক্য চোখে পড়ে ।
তৃতীয়ত, সিনেমার প্রিন্ট ভালো । সম্ভবত রেড ক্যামেরায় চিত্রায়িত । ক্যামেরার কাজ দৃষ্টিকটু না । পাস করে যাওয়ার মত ।
এর বাইরে অভিনয়ে কোন চোখে পড়ার মত উন্নতি নাই । সবাই তাদের অতিনাটকীয় ভাব বজায় রেখেছেন । নায়িকার অভিনয় দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ । তবে তার চপলতা(!) অভিনয়ের ব্যর্থতাকে কিছুটা হলেও ঢেকে রেখেছে ।
স্পেশাল ইফেক্টে পিরামিড থেকে শুরু করে স্টোন হেঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে গানের ব্যকগ্রাউন্ডে । খারাপ বলব না । তবে বোঝা যাচ্ছিলো যে জিনিসে ভেজাল আছে ।
সবসময়ের মতই ইংরেজী ভাষার পুটকি মেরে দেওয়া হয়েছে । শেক্সপিয়ার বেঁচে থাকলে সুইসাইড করতেন ।
লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট, বাংলাদেশকে ছবিতে কিছুটা পজিটিভলি দেখানো হয়েছে । বেশ অনেকটুকু অংশ মনে হল বান্দরবনে চিত্রায়িত । অনন্ত জলিলের মত ব্যাংকক, মালয়েশিয়ার বৃত্ত থেকে বেরিয়েও যে সুন্দর দৃশ্যায়ন সম্ভব আরেকবার প্রমাণিত হল ।
এইটা পি এ কাজলের সিনেমা , স্ট্যানলি কুব্রিকের না । এই সহজ তথ্যটা মাথায় থাকলে পয়সা উসুল করে হল থেকে বের হয়ে আসা যাবে মনে হয় ।
সমালোচনা করলে আসলে বেশ কিছু জাইগায় করা যায়… স্পষ্ট ভাবে দেখতে পাওয়া যে খাটিয়া তে লাস নাই, ক্যামেরা এদিক অদিক করতে করতেই সেম সিনের মধ্যে রাত দিনের ফারাক, গানের সময়ের এফ এক্সের কিছু দুর্বলতা আর এই ব্যাপারে তেমন এলার্জি না থাকলেও বলবো অপ্রয়জনীয় ভাবে পুরা মুভিতেই নায়িকাকে প্রয়োজনের থেকেও কম কাপড় চোপড় পরানো সহ আরো অনেক ব্লা ব্লা ব্লা…!
হিন্দি সংস্করণটা আমার দেখা হয় নি কিন্তু তবুও সব কিছু মিলিয়ে বলতে গেলে মুভিটা দেখে বেশ ভালো লেগেছে। গ্রামের বাড়ি থেকে যশোর যেয়ে ৩ গুন টাকা বেশি দিয়ে টিকিট কিনে মনিহার সিনেমহলের সিড়িতে বসে মুভি দেখা সার্থক! আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে সিড়ীর একটা ধাপও ফাকা ছিল না সেদিন।
সাকিব খানের অভিনয় অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। আসলেই প্রসংসার দাবিদার! হ্যাটস অফ!
মুভি অনেক বেশি হাস্যরস সম্রিদ্ধ ছিল সেই দিক থেকে অনেক বেশি সার্থক মুভিটা! মুভি প্রিন্টার প্রসংসা না করে আসলে উপায় নেই, এক্কেবারে চক চক করছিল!
শুটিং স্পট গুলো অসাধারন ছিল! বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে পুরো পুরি সার্থক হয়েছে। মনে হচ্ছিল আমি সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখছি। অনেক শ্রদ্ধা রইলো ছবির কলা কুশলির উপর।
আমার মনে হয়েছে অপ্রয়জনিয় কিছু নাচগানের জন্য্য মুভি কিছু দুরব্লতার সৃষ্টি হয়েছে। মিসর কিংবা বিদেশের কিছু সিন অপ্রয়জণীয় এবং আরটীফিসিয়াল ভাবে বিদেশী “ফিল” দেবার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সেইগুলো আসলেই আরটীফিসিয়ালই লেগেছে।
আমি বলবো নায়িকার কিছু ব্যাপার আসলেই চোখে লেগেছে। বেশি অতিরঞ্জিত হয়ে গেছে মনে হয়েছে! এই ব্যাপারে তেমন এলার্জি আমার নেই তবুও মনে হয়েছে অপ্রয়জনীয় ভাবে পুরা মুভিতেই নায়িকাকে প্রয়োজনের থেকে একটু কম কাপড় চোপড় পরানো হয়েছে তবে আমার মনে হয়েছে মুভির শেষ দিকে এসে একটু ড্রেস চয়েসে চেঞ্জ করা উচিৎ ছিল।
সব মিলিয়ে অনেক সাধুবাদ! আর যাই হোক আমি আজ থেকে আবার বাংলা মুভি নিয়ে আবার আশাবাদী!
এবার ঈদে তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে যার মধ্যে শাকিব ও মাহি অভিনিত “ভালবাসা আজকাল” একটি। আজ হলে গিয়ে এই ছবিটি দেখে আসলাম। এটা আমাদের মানতে হবে যে, বাংলা ছবির অনেক পরিবর্তন হয়েছে , যেটা ইমপ্রেস টেলিফফিল্ম, জাজ মাল্টিমিডিয়া ইতোমধ্যে তা জানিয়ে আর এরই ধারাবাহিকতায় জাজ মাল্টিমি ছবি “ভালবাসা আজকাল ” আবারো প্রমাণ বাংলাদেশে এখনও ভাল মানের ছবি বানায়।
এবার আসি মূল বিষয়ে : প্রথমেই কাবিলা হাজির তবে তার চিরচেনা মুখে নয় বরং পাক্কা হাজি সা কাবিলার একটাই কাজ তার ভাগিনাকে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে করিয়ে বাসর রাতে মেয়ের অলংক যাবতীয় সব চুরি করানো। একদিন কাবিলা ভাগিনা ধরা খায়। কাবিলা নিজের জ বাঁচিয়ে ভাগে। কাবিলা চিন্তায় পড়ে কি করবে। আর এরই ফাঁকে কাবিলার বোন তার ভাগিনা কিছুই করেনা , যার নাম রা রানাই শাকিব খান। হুম, এবার রানা কে নিয়ে ঢাকায় আসা । তবে রান মাকে কথা দিয়েছে তার মামার কথা মত মামা ভাগিনা মিলে বিভিন্ন সময় বিভ ভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আস এভাবেই এগিয়ে যায় ছবির গল্প। একদিন সুম এক মেয়ের সাথে বিয়ের অভিনয় করে প্রতারণা করবে ঠিক তখনই গল্প মোড় ন দিকে। হাজির হয় মাহি। বিদেশে থাক জন্মভুমির টানে বাংলাদেশে আসা।
এদিকে মাহি সুযোগ বুঝে শাকিবের সাথ বাসায় চলে আসে। মাহির প্রতি শাকিব দেখে লুলায়িত হয়ে গেলাম, কারন তো জানতে হলে চলে আসুন আপনার আশেপাশ যেকোনো এক সিনেমা হলে। এগিয়ে চলছ গতিবিধি। আপনি সময় কে ভাল ভাবেই উপ করবেন এটাই কাম্য। মাহির বাবা মাহিকে খুঁজছে হন্য হয়ে তবে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে। এটা ছবির দিকেই বুঝতে পারবেন। শাকিব মাহিকে নিয়ে বান্দরবন চলে আসে। এরই ফাকে মাহির প্রতি শাকিবের ভালবাস কি শাকিবের? না, মাহিও । শাকিব তার পিঠে করে মাহিকে সারা রাস্তা বয়ে মাহি তার স্বপ্নের বাড়ি খুঁজে পায়। এরপর দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়। এবার প্রকৃত জিনিস বের হয়ে আসে। আর এটা জানতে হলে কি করতে হবে এটা আগ জেনেছেন। পরিশেষে অনেক বাধা বিপ করে দুজন দুজনের মিল হয়। আর মাহি তার স্বপ্নে দেখা রাজবাড়িও পেয়ে যান। এ
ছবির গল্প।
এবার আসি ছবির গানে। ছবির প্রতিটি গ প্রানবন্ত। বিভিন্ন লোকেশনে বিভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গানের ল সাথে মিল রেখে। কম বাজেটেও বাংল োকেশনে এত ভাল মানের ছবি বানান এটা প্রমাণ করল জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিটি গানেই পাবেন ভিন্নতা আর এটা অন্যতম আকর্ষণ। মোট কথা দুই ঘন্টা বিশ মিন পুরোটা সময় আপনি বিনোদনের মাঝে থা এই ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন তারা যার জায়গা থেকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপরও কিছু ভুল ত্রুটি েকযেইসব ভুল ত্রুটি শোধরালে বাংলাদেশ আরো অনেক দূরে যাবে।
আপনারা এখানে মিশা কে পাবেন সম্পূর্ণ আলাদা একটি চরিত্রে। যেখানে তিনি দেশপ্রেমিক পুলিশ অফিসার । সর্বশেষে বলতে চাই ,শাকিব খান ও মাহি অভিনয় করেছেন। দর্শকবৃন্দ বাহ বাহ দিয়েছ তবে অভিনয়ে আরো ভাল করতে হবে। সমালোচনা করবোনা কারন আমি চাই আম চলচিত্র বিশ্বের দরবারে আমার দেশের ম করবে।
সিনেমা হলে এসে ছবি উপভোগ করুন, দেশকে ভালবাসুন, দেশের মাটিকে শ্রদ্ধা করুন এবং দেশের সংস্কৃতি কে ভালবাসুন। যদি কেউ এই লেখাটি শেয়ার করতে চান ,করতে পারবেন তবে আমার নামটা লিখব লিখেছেন :আশরাফুল আলম কাব্য।
দেখে আসলাম ভালোবাসা আজকাল, আমি রিভিউ লিখতে পারিনা, তারপরও মুভি দেখে শুধু এত টুকু বলতে পারি ভালোবাসা আজকাল সুইট এন্ড সিম্পল, কাহিনীর ভালো গতি আছে, মুভিটি মৌলিক কাহিনী নির্ভর, অনেকেই ধারনা করেছিলেন নামের কিছু অংশ একটি হিন্দি মুভির সাথে মিলে যাওয়াতে ছবিটি কপি হবে বলে ধারনা তাদের ধারনা ভুল প্রমানিত হয়েছে, শেষ পর্যন্ত না দেখলে কেউ বুঝতে পারবেনা কাহিনী কোন দিকে যাচ্ছে, শাকিব মাহির রসায়ন অসাধারন গান গুলো শ্রুতি মধুর হলেও শুনতে কি পাও ছাড়া আর কোন গানই হল থেকে বের হওয়ার পর মনে করতে পারলাম না, মিশা, জামিল, সুব্রত রেবেকা, এগুলোকে চরিত্র না বলে অতিথি চরিত্র বলা যায়, মিশার চরিত্র টা আরো একটু শক্তিশালি হলে ভালো হতো, লোকেশন গুলো দেখে চোখে আরাম পেয়েছি, গ্রাফিক্স গুলা অনেক দুর্বল ছিল, একটা গানে মরুভুমি আর পিরামিড দেখালো যেটা বাস্তব সম্মত মনে হয়নি, মুভিতে অনেক গুলো চরিত্র থাকলেও মুভিটা টেনে নিয়ে গেছেন শাকিব, মাহি,আর কাবিলা, একশ্দৃশ্য গুলো আরো ভালো হতে পারতো, সর্বশেষ কথা কষ্ট করে মুভি দেখা সার্থক হবে , পয়সা উসুল হবে
সত্যিই একটা অন্য ধরনের ছবি ।
‘’ভালোবাসা আজকাল’’ ছবিটা দেখলাম বেশ ভালোই লেগেছে ৷ সুন্দর লোকেশন এবং গতানুগতিক ধারা থেকে কিছুটা ভিন্ন মনে হয়েছে ৷ মাহীর অভিনয় আগের ছবিগুলোর চেয়ে ভালো হয়েছে ৷ একটু একটু করে মাহী সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ আর সাকিবের কথা বলব কি সেতো আগে থেকেই জাত অভিনেতা ৷ এই ছবিতে অন্য এক নতুন সাকিবকে দেখতে পেলাম ৷ একেবারে নতুনভাবে উপস্হাপন দেখে ভালোই লাগল ৷
যেহেতু রিভিউ টানছি,ভালো-মন্দ দুটোই রিভিউতে থাকবে সেটা স্বাভাবিক ৷ মাহী নতুন তাই তার কথা কি বলব ৷ নতুন বিধায় সে তুলনায় সে অনেক ভালো করেছে ৷
জোনাকি ধরার দৃশ্যটায় চোখে ভুল ধরা পড়েছে ৷ সাকিব জোনাকি ধরে যখন মাহীকে দেখায় তখন হাতের মুঠোয় জোনাকির আলো সাদা ও বেশি উজ্জল মনে হয়েছে ৷ এ দৃশ্যটা কিভাবে করা হয়েছে সেটা ছোট বাচ্চাও জানে ৷ বাহিরের জোনাকির ইফেক্টগুলো জোনাকি কালারের মনে হলেও হাতে ধরে আনা জোনাকির আলো কিন্তু সাদা মনে হয়েছে ৷ আর হাতে ধরা জোনাকির আলো দেখে মনে হয়েছে হাতে লাইট জ্বলছে ৷ অবশ্য এগুলো লাইট ছাড়া মনে হয় সম্ভব না ৷ তারপরও সাকিবের হাতের জোনাকি লাইটটা জোনাকি কালারের দিলে দৃশ্যটা আরো প্রাণবন্ত হতো ৷
ছবির শেষ দৃশ্যটা বেশি একটা ভালো লাগে নি ৷ শেষটা আরো আকর্ষনীয় করা উচিত ছিলো ৷ ছবির শেষ দৃশ্যটাই মূল বিষয় ৷ দর্শক শেষ দৃশ্যটা দেখার জন্যই বেশি উৎসুক থাকে ৷ সাকিবের পেটে ছুঁড়ি বসানোর পর ঢলে পড়লে মাহী যখন তার প্যান্টের পকেট থেকে রক্ত থামানো জন্য এক জাতীয় লতা বের করে সাকিবের পেটে পুঁড়ে দেয় তখন কোন শুকনো কাপড় খুঁজে বের করে বেঁধে দিলে মনে হয় দৃশ্যটা আরো ভালো হতো ৷ মাহীর আর্তনাদে প্রেম বলে কথা প্রেমের জোরে হয়তো অসম্ভব কিছু ঘটে বিধায় জেগে উঠেছে ৷ তাপরও মারামারি দৃশ্যের পর সাকিবের কিছুই হলো না….! পেটে ছুঁড়ি ঢোঁকার পরও ঠাঁয় সুস্হ মানুষের মতো দাঁড়িয়ে আছে ৷ এটা কিভাবে সম্ভব…….?
এরকমটি হতে পারতো……যেমনঃ মারামারি দৃশ্যের পর সাকিব ঢলে পড়বে এবং শেষ সমাপ্তিটা হাসপাতালে ঘটানো উচিত ছিলো ৷ তাহলে মনে হয় শেষটা আরো প্রাণবন্ত হতো……৷ ধন্যবাদ ৷
Mahiya Mahi shate shakib oh ki darun hoyeche ai juti sob theke beshi valo lage mahir Kotha bolar style
হরতালের দিনেও টিকিট না পাওয়ার শঙ্কা নিয়ে গেলাম মুভি দেখতে।গিয়ে টিকিট সহজেই পেলাম।কিন্তু হলে ঢোকার পর জায়গা খালি ছিলো না।অনেক দিন পর বাংলা সিনেমা হলে দেখছি।পুর্ন হল দেখতেও ভালো লাগে।হরতালের দিনেও হল ভর্তি দর্শক প্রমান করে সিনেমা হিট।।
এবার আসি মুভির কথায়।ভালো খারাপ মিলিয়ে সিনেমা ভালো হইছে।আর মুক্তি পাওয়া বাকি দুইটা মুভি দেখিনি।তবে “ভালবাসা আজকাল” অসাধারন।
শাকিব খানের অভিনয় খুব ভালো।তার মত ভালো অভিনেতা এখন আর বাংলা সিনেমায় কেউ নাই।নিজের ফিগার যথেষ্ঠ কন্ট্রোলে আনতে পেরেছে।তাকে নিয়ে কিছু বলার নাই।
মাহি’র সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে ফিগার।বাংলা সিনেমায় এইরকম স্লিম ফিগারের নায়িকা আগে দেখা যেত না।অভিনয় চলে।উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে।তবে সেগুলা ওভারকাম করছে।কিছু যায়গায় এক্সট্রা ন্যাকামো মনে হইছে।
কাবিলা অভিনয়ে কোন পরিবর্তন নাই।কোন বৈচিত্র নাই।এই টাইপের অভিনয় বিরক্তিকর লাগে।
আর সবার অভিনয় চলার মত।
মিশা’র অভিনয় অনবদ্য।কিন্তু পরিচালক একটু ভিন্ন ভাবে ব্যবহার করছে।তবে আরো ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারত।
কাহিনী ভালো, তবে কিছু যায়গায় বেশ দুর্বল।সিনেমার প্রথমে এত বেশী সময় ধরে কাবিলার অতিসাধারন মানে কৌতুক দেখানোর দরকার ছিলো না।
হটাৎ করেই কোথা থেকে কাবিলা মামা হয়ে এসে শাকিবের মায়ের মাথায় হাত দিয়ে কসম করালো।মুল কাহিনীর ভিত্তি এরকম ফালতু টাইপ করার দরকার ছিলো না।আরো ভালো করতে পারত।
থিডি এনিমেশন দিয়ে গান করার উদ্যোগ ভালো।জলিলের মত অতিমানবীয় হয়নি।ভালো হইছে।প্রায় নতুন জিনিস, তাই কিছু যায়গায় দৃষ্টিকটু লাগলেও সেটা বাদ দেওয়া যায়।গান গুলাও ভালো।
রাতের লাইটিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি বলাই যায়।ইফেক্টের জোনাকি বিরক্তিকর ছিলো।
বিদেশের লোকেশনে না গিয়েও দেশের সুন্দর লোকেশনে ভালো সিনেমা হয় সেটা মুভিতে বেশ ভালো করে ফুটিয়ে তোলা হইছে।
ক্যামেরা ক্রুদের অনেক উন্নতি।কারন আগে সিনেমায় নায়িকাদের দেহের বিভিন্ন অংশ জুম করে দেখানো হতো সেক্সি প্রমানের জন্য।এসব ট্রেডিশন থেকে বেরিয়ে আসা অনেক পজিটিভ একটা দিক।
সবমিলিয়ে সিনেমা ভালোই বলা যায়।সবার হলে গিয়ে দেখা উচিত।
Pingback: বাংলা চলচ্চিত্রের সালতামামি ২০১৩ - বাংলা মুভি ডেটাবেজ
Pingback: বাংলা চলচ্চিত্রের সালতামামি ২০১৩ | দারাশিকো'র ব্লগ