← নিঃস্বার্থ ভালোবাসা

মন্তব্য করুন।

৬টি রিভিউ

  1. গল্প, চিত্রনাট্য, ডায়লগ সব ই অদ্ভুত!! তবে গান গুলো বেশ ভালই, চিত্রায়ণ যদিও আবারো অদ্ভুত!! চেষ্টা র জন্য মার্ক দেওয়া যায়। অনন্ত র অভিনয়ের মনে হয় সামান্য উন্নতি হয়েছে, বর্ষা অবশ্য তথৈবচ!! ভিলেনে ভূমিকায় মিশা সওদাগর এর উপস্থিতি এত কম সময় কাম্য না, আর মিশা সওদাগর এর এন্ট্রি যখন হল, আমি আক্ষরিক অর্থে হা হয়ে গেছিলাম!!

    অনন্ত র মুভি অবশ্য সম্পূর্ন ভিন্ন কারনে এন্টারটেইনিং, এবং সিনেপ্লেক্স এ পুরো হলের দর্শকের সাথে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম!!

  2. আজ অনন্ত এর ” নিঃস্বার্থ ভালবাসা” ঈদেছবি দেখে আসলাম । এটা আমাদের মানতে হবে যে, বাংলা সিনেমার অনেক পরিবর্তন হয়েছ যেটা ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, মনসুন ফিল্মস, জাজ মাল্টিমিডিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, আর এরই ধারাবাহিতায় অনন্ত এর মনসুন ফিল্মস এই কাজটি আরো সহজ করে দিয়েছে এবং হয়েছে।
    এবার আসি ছবির মূল গল্পে :ছবির শুরুর কিছু সময় পরই ঢাকার পোলা ভের স্মার্ট গান দিয়ে হল মুগ্ধ করেছে, এই গান মাধ্যমে অনন্ত তার মিডিয়া ক্যারিয়ার থেকে এই পর্যন্ত সব কিছুই কয়েক মিনিটেই দেখিয়েছেন যার মধ্যে মারামারি, জনপ্রিয়তা সব ফুটিয়ে তুলেছেন। মোট কথা মুভিতে তার জীবনের সব কিছুই শেয়ার করেছেন।তিনি তার AJI GROUP কে ফুটিয়ে তুলেছে যেখানে তিনি বাস্তব জীবনের মতই খুব ব্যস্ত থাকেন। এরই ফাকে বর্ষা হাজির। অনন্ত এর বর্ষা তার পরিচয় দেন, ফ্লাশব্যাকের মাধ্যমে বর্ষার ছোট বেলার কষ্টের জীবন কাহিনী বলে অনন্ত এর মন জয় করে নিয়েছ অবশ্য বর্ষার নাম সাজেদা থেকে মেঘলা রুপান্তর হয় ছোট বেলায়ই।
    এরপর বর্ষার কলেজ লাইফ, মডেলিং লাইফ এবং পরিনতিও কয়েক মিনিটেই ফ্লাশ ব্যাকের মাধ্যমে দেখানো হয়। আমি সমালোচনা করবোনা তবে লুলায়িত হয়ে গেলাম বর্ষার কন্ঠে ভাইয়া ডাক শুনে! আরে আমাকে ডাকেনি, ডেকেছে অনন্ত কে। অনন্ত মেঘলাকে সব কিছুই দিচ্ছেন যেমন ফ্ল্যাট বাড়ি , গাড়ি আরো কতকিছু । এমনকি মেঘলার গ্রামের বাড়িতে জমি কিনে বাড়িও বানিয়ে দেন। কিন্তু কেন? জানতে হলে হলে গিয়ে মুভি টা দেখে
    এরপর মেঘলা ও অনন্ত এর রোমান্স দেখে মাথা নষ্ট। প্রোপোজ করার সিস্টেম ভালো লাগলো। তাদের ভালবাসা চলছে। এরই মাঝে মেঘলার কাছে কিছু ক্যারিয়ার প্রোপোজাল আসে এবং সাড়াও দেন। তিনি আরেকটি ছেলের সাথে রিলেশনে জড়িয়ে পড়েন। পরে ভুল বুঝতে পারেন। মেঘলার শখ সেলিব্রেটি আর এ কারনে আবারো মহা বিপদে পড়েন।
    নায়িকার বিপদ নায়ক কি বসে থাকবে? নএগিয়ে আসলো নায়িকাকে উদ্ধার করার আরো কাহিনী আছে অনন্ত তার সব সম্পদ ম নামে লিখে দেয় কারন ” নিঃস্বার্থ ভালবাসা” এবং মেঘলার ইচ্ছা পূরণ। এভাব এগিয়ে যায়। ছবির প্রথম অংশে হাসি তামগ্ন থাকবেন, এতটুকু কনফার্ম বিনোদন এর সবটু পাবেন। ছবির বিরতির পর গল্প মোড় নেয় অন্য দিকে।
    ছবির গান গুলা ছিল ওসাম। আপনি পাবেন মিউজিক ভিডিও। অনন্ত এর অভিনয় অনেক উন্নতি হয়েছে, যারা নিন্দা করেছেন তাদের মুখে কালি দিয়েছেন অনন্ত, তবে র্ষার অনিয়ে প্রশ্ন আছে , তার অভিনয় আরো ভাল করতে হবে। কাবিলা সব সময়ই ভাল অভিনয় এই ছবি তিনি আবারো প্রমাণ করেছেন।
    মিশা শওদাগরের অভিনয় তো মুগ্ধ করেছে। ভিলেন হিসেবে তিনি এখনও বস, এটা আবারো দেখিয়ে দিয়েছেন। মোটকথা যারা অভিনয় করেছেন তারা সবাই অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন এবং সর্বোপরি ভালই অভিনয় করেছেন। কলোকেশন ম্যাচ করেনি এইদিক দিয়ে অনন্ত সাহেবের চিন্তা করা উচিৎ আগামী ছবিতে আরো ভাল কিছু উপহার দেয়ার। এটা আমরা আশা করতে পারি। ছবির ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেয়া যায় কারন এটাই অনন্তর প্রথম পরিচালানার ছবি। হলে এসে ছবি উপভোগ করুন, দেশকে ভালবাসুন, দেশের মাটিকে শ্রদ্ধা করুন এবং দেশের সংস্কৃতি কে ভালবাসুন।

  3. গান এর পরিমান বেশি মনে হয়েছে

    বর্ষাকে ৪ না ৫ বার একই ভুল করানো কে চরিত্রটাকে দুর্বল এবং বোরিং করেছে বলে মনে হয়ছে

    বিরক্ত হয়ে শেষের ১০ মিনিট আগে বন্ধুদের গুতাচ্ছিলাম বের হয়ার জন্য। তখন বের হইলে হার্ট বের করার সিন টা মিস ই করতাম। #রেস্পেক্ট

    হলের সবাই অনেক হাসলেও আমি আক্ষরিক অর্থে বেশিরভাগ সময়ে হা করে ছিলাম, সিরিয়াস্লী, লোড নিতে পারতেছিলাম না।

    আই ডু রেস্পেক্ট দ্যা ড্যাশিং সুপার হিরো অনন্ত জলিল ফর হিজ ড্যামকেয়ার এটিচিউড, এন্ড হিস ড্যাশিং স্পেশাল ইফেক্টস।

  4. “পম গানা” নামে পরিচয় পাওয়া “জলন্ত জলিলের” এই মুভিটা সত্যিকার অর্থে অনন্তর আগের মুভি গুলো থেকে ভাল হয়েছে। হল ভর্তি দর্শকই তার প্রমান। ছবির শুরু খুবই সাধারন ভাবে। নায়িকা বর্ষা মডেলিং এ ক্যারিয়ার গড়তে নানান সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। অপরদিকে আমাদের অনন্ত ভাই এই ছবিতে একজন স্বনামধন্য তারকা এবং সুপ্রতিষ্ঠিত আদর্শবান ব্যাবসায়ী। ছবির এই পর্যায়ে “গ্যাংনাম স্টাইল” এর সুরে অনন্ত গান গাওয়া শুরু করে “ঢাকার পোলা ভেরি ভেরি স্মার্ট” (আমি ঢাকার পোলা বলেই কিনা জানিনা গানটা শুনতে খারাপ লাগে নাই তেমন। :P) আমাদের ব্যস্ত অনন্তর সাক্ষাত পাওয়া দায় তার পরও নায়িকা বর্ষা অনন্তর “ভাইয়ার” দেখা পায়। অতঃপর কিভাবে অনন্ত ভাইয়া বর্ষার প্রেমিক হয়ে গেল আমি ঠিক বুঝলাম না। ছবির বাকি কাহিনী এগিয়েছে খুব সাধারন ভাবেই। অনন্ত শুধু যে বর্ষার বাড়ি, গাড়ি দিয়েছে তাই নয়। বর্ষার বাবা, মা, বোনদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। বর্ষার ইচ্ছা মিডিয়াতে ক্যারিয়ার গড়বে। অনন্ত বর্ষাকে নিয়ে শুরু করে মিডিয়ার ক্যারিয়ার নতুন অধ্যায়। এই সময় এই ছবির এক দুষ্ট চরিত্র কাবিলা বর্ষার কাছে আসে কিছু মিডিয়ার কাজের প্রপজাল নিয়ে (যদিও মূল উদ্দ্যেশ্য বর্ষাকে ব্যাকমেল করা)। বর্ষা যখন একের পর এক লাল পানি খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে তখনই অনন্তের আগমন নায়িকাকে উদ্ধার করতে। এভাবেই এগিয়ে চলে ছবির কাহিনী। বর্ষা লুকিয়ে প্রেম করে অন্য ছেলের সঙ্গে সেটা যখন অনন্তের কাছে ধড়া পরে তখন বর্ষা অনন্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে। সেই ছেলে যখন বর্ষাকে ছেড়ে দেয় তখন বর্ষা আবার অনন্তের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেরত যায়। গো বেচাড়া অনন্ত ভালবাসার ফাঁদ থেকে বের হতে পাড়েনা তাই বর্ষা কে আবার কাছে টেনে নেয়। কিন্তু চূড়ান্ত ফাঁটল ধরে যখন দুঃষ্ট কাবিলা আবাও চাকচিক্যপূর্ণ মিডিয়ার প্রপজাল নিয়ে আসে। এখানে কাবিলার সঙ্গে ফাইনাল বসের (মিশা) আগমন। বলতেই হয়। মিশা ভিলেন হিসাবে আসলেও দূর্দান্ত। অনন্তর নিষেধ সত্ত্যেও মিশার সঙ্গে বর্ষার কাজ করতে চাওয়া তে অবশেষে বর্ষা ও অনন্তের সম্পর্কের ইতি ঘটে। অনন্ত তার সমস্ত সম্পত্তি বর্ষার নামে লিখে দিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। এদিকে মিশা খবর পায় বর্ষার নামে সব সম্পত্তি লিখে দেওয়া হয়েছে তাই মিশা বর্ষা কি আটকে অনন্তকে আসতে বলে বর্ষা কে উদ্ধার করতে। অনন্ত আত্মহত্যার পূর্ব মুহুর্তে এই খবর শুনতে পেয়ে উদ্ধার করতে আসে বর্ষাকে। বর্ষাকে উদ্ধারের মদ্ধ্যে শেষ হয় ছবির কাহিনী।
    ——–
    এই ছবির কাহিনী খুবই সাধারন কিন্তু খুবই বাস্তব। আমাদের সমাজের চার পাশে এই ধরনের সম্পর্কের টানা পোড়া আমরা পায়ই দেখি। তবে ছবির কাহিনির উপস্থাপনা ততটা ভাল ছিল বলে মনে হয় নি।

    এই ছবির একটা ভাল দিক আমার কাছে মনে হয়েছে ছবির গান গুলো। ছবির প্রতিটা গানেই আছে ভিন্নতা। আমার মনে হয় এই ক্ষেত্রে অনন্তকে তারিফ করতেই হয় । তবে আমার দৃষ্টিতে এই ছবির সব চেয়ে ভাল দিক ছিল ছবির একশান দৃশ্য গুলা। বাংলা ছবির তুলনায় একশান দৃশ্য গুলা একটু বেশি উচু মানের হয়ে গেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে। অনেক নামকরা হিন্দি ছবির তুলনায় ভাল করেছে অনন্ত।
    এই ছবি তে আমি যেটা পাইনাই তা হল সারপ্রাইজ। ভাল এবং বড় মাপের কোন সারপ্রাইজ থাকলে ছবিটা দেখে আরো একটু মজা পেতাম। তার পরো বলতেই হয় অনন্ত এই ছবি টা বেশ ভাল করেছে।

    বলতেই ভুলে গেছিলাম সব চেয়ে উন্নতি হয়েছে অনন্তের কথা বার্তা (বাংলা এবং ইংরেজী)। বলতেই হয় লোকটা চেষ্টা করতেছে। চালায়া যান অনন্ত ভাই।

  5. “নিস্বার্থ ভালোবাসা” মভিতে আমার অনন্ত জলিল এর অভিনয় আমার সবার থেকে বেশি ভালো লেগেছে । আমি জানিনা যে অনন্ত জলিল এর নেক্সট মভি কি তবে আমি না জানলেও আমি জানু যে এই মভি টাও সুপার হিট হবে ।
    ——————————Thank’s To Ananta Jolil————————

রিভিউ লিখুন

আরও ছবি