এজাজুল ইসলাম
১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত আমি রংপুর রেডিওতে কাজ করি। ১৯৮৫ সালে চাকরির সুবাদে ঢাকায় আসি। আমার মূল স্বপ্ন কিন্তু শুধু চাকরি ছিল না, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করার স্বপ্নটাই ছিল সবচেয়ে বেশি। ১৯৮৯ সালে আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনের অভিনয়শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। কিন্তু অভিনয়ে যেহেতু আমার কোনো থিয়েটার অভিজ্ঞতা ছিল না, এবং ঢাকায়ও কোনো থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই নির্মাতারা আমাকে তাঁদের নাটকে অভিনয় করানোর সাহস করতেন না। একসময় অনেক ঘোরাঘুরি করার পর যোগ্যতা নেই ভেবে আশাই ছেড়ে দিলাম।
এরপর আমি আবার পড়াশোনায় মনোযোগ দিই। পিজি হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ভর্তি হই। পড়াশোনা শেষে ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক মো. আবদুল করিম স্যারের দপ্তরে সনদ আনতে যেতে হয়েছিল। সেখানে জানতে পারি তিনি তাঁর দপ্তরে নেই, আছেন হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অফিসে, যিনি আমার স্বপ্নের মানুষ। সত্যি কথা বলতে কি, যখন জানতে পারলাম আবদুল করিম স্যারের সঙ্গে হুমায়ূন স্যারের অফিসে গিয়ে দেখা করে সনদ তোলার জন্য স্বাক্ষর আনতে হবে, তখন কিন্তু আমার কাছে সনদ তোলা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না। আমার লক্ষ্যই ছিল আমার শ্রদ্ধেয় ও স্বপ্নের মানুষ হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সঙ্গে দেখা করা। Continue reading →