আনোয়ার হোসেন : A Ballad of Bangladesh

বাঙালীর শখের তোলা আশি টাকা।

আশি টাকার উপরে শখের তোলাকে কোনভাবেই উঠতে দেয়া যাবে না। জীবনে নানান যন্ত্রণা, নানান হ্যাপা। এর মধ্যে ‘শখ’এর মতো ‘আকাইম্যা’ বিষয়কে তাই ‘লাই দিয়ে মাথায় তোলার’ কিছু নেই। তারচেয়ে বরং শখের আশি টাকা খরচ করে বর্ষা মৌসুমের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঘরে নতুন ছনের চালা লাগানো যেতে পারে, গরুর জন্য মশারি কেনা যেতে পারে, বন্যা-বাদলার কোন ঠিকঠিকানা নাই, নতুন মাটি কেটে বাড়ির ঢিবিটাকে খানিকটা উঁচু করা যেতে পারে। Continue reading

[ট্রেলার] ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম

রাজু চৌধুরী পরিচালিত ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম সিনেমার ট্রেলার। এতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী, ববি, সোহেল খান, আফজাল শরীফ প্রমূখ।

উনি আসলে মহাপুরুষ – এজাজুল ইসলাম

এজাজুল ইসলাম

১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত আমি রংপুর রেডিওতে কাজ করি। ১৯৮৫ সালে চাকরির সুবাদে ঢাকায় আসি। আমার মূল স্বপ্ন কিন্তু শুধু চাকরি ছিল না, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করার স্বপ্নটাই ছিল সবচেয়ে বেশি। ১৯৮৯ সালে আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনের অভিনয়শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। কিন্তু অভিনয়ে যেহেতু আমার কোনো থিয়েটার অভিজ্ঞতা ছিল না, এবং ঢাকায়ও কোনো থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই নির্মাতারা আমাকে তাঁদের নাটকে অভিনয় করানোর সাহস করতেন না। একসময় অনেক ঘোরাঘুরি করার পর যোগ্যতা নেই ভেবে আশাই ছেড়ে দিলাম।

এরপর আমি আবার পড়াশোনায় মনোযোগ দিই। পিজি হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ভর্তি হই। পড়াশোনা শেষে ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক মো. আবদুল করিম স্যারের দপ্তরে সনদ আনতে যেতে হয়েছিল। সেখানে জানতে পারি তিনি তাঁর দপ্তরে নেই, আছেন হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অফিসে, যিনি আমার স্বপ্নের মানুষ। সত্যি কথা বলতে কি, যখন জানতে পারলাম আবদুল করিম স্যারের সঙ্গে হুমায়ূন স্যারের অফিসে গিয়ে দেখা করে সনদ তোলার জন্য স্বাক্ষর আনতে হবে, তখন কিন্তু আমার কাছে সনদ তোলা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না। আমার লক্ষ্যই ছিল আমার শ্রদ্ধেয় ও স্বপ্নের মানুষ হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সঙ্গে দেখা করা। Continue reading

ভালবাসা জিন্দাবাদঃ আরেফিন শুভ’র জ্যোতির্ময় অভিষেক

VZ 3

 গত শুক্রবার দেখলাম তরুণ পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস এর সিনেমা ‘ভালবাসা জিন্দাবাদ’। ফেসবুকে এই সিনেমা নিয়ে গত কয়েকদিনে এতো ঝগড়াঝাটি হচ্ছে, সেগুলি আমাকে আহত করেছে। তাই লিখব কি লিখবনা ভাবতে ভাবতে শেষ পর্যন্ত লিখেই ফেললাম একটি সমালোচনা। এই সিনেমার ভাল মন্দ মিলিয়ে আমার মতামতগুলি বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে জানালাম। Continue reading

ফারুকী’র কল্পনার “টেলিভিশন” ও বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ

tv

কোন সিনেমা দেখার পর অধিকাংশ দর্শকই সেই সিনেমা’র বিষয়ে কিছু না কিছু বলতে চান। সিনেমাটা আমার ভালো লেগেছে বা আমার ভাল লাগেনি এই জাতীয় মন্তব্য যতই সহজ মনে হোক না কেন, তার মধ্যে নিহিত থাকে চলচ্চিত্র সম্পর্কে ঐ দর্শকের বিশিষ্ট মনোভাব। মানুষ যখন এই ভাল লাগা বা খারাপ লাগা নিয়ে আলোচনা শুরু করে তখন নিজের অজ্ঞাতসারেই সমালোচনার জগতে প্রবেশ করে“—(সিনেমার কথা, গাস্ত রোবের্জ)

কিছুদিন আগে আমি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী’র “টেলিভিশন” সিনেমাটা দেখেছি এবং নানা কারণে এই সিনেমাটা আমার বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এই লেখাটিতে তাই ফারুকী’র চলচ্চিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্যসহ টেলিভিশন সিনেমা নিয়ে নানা প্রসংগের অবতারণা করেছি। এতে বাংলাদেশের সিনেমা, রাজনীতি, সিনেমা নিয়ে ভুল ধারণা, সমালোচনায় ব্যক্তিগত আক্রমণ এসব নানা বিষয় উঠে এসেছে। Continue reading

আমার চলচ্চিত্র দর্শন – ভালোবাসা জিন্দাবাদ

চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস তার নতুন ছবি ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ‘ উপভোগ করতে আমাদের কয়েকজনকে ভালোবেসে ফ্রি টিকেট দিয়েছেন। সাথে কথা দিয়েছেন ছবির নায়িকা লাস্যময়ী র‍্যাম্প মডেল ‘আইরিন সুলতানা’র সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিবেন ।

বাঙ্গালী ফ্রিতে জাহান্নামের দরজা পর্যন্ত ঘুরে আসতে রাজি। আর এতো ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ‘, বোনাস হিসেবে আইরিন। ‘ মাম্মা খাড়াও আইতেছি ‘ বলে চোখ টিফি দিয়ে আমি সেন্ট পাউডার মেখে তৈরি হয়ে গেলাম। নায়িকার সংস্পর্শে যাবো (ভুল মিনিং করবেন না) একটু ঘষামাজা তো করতেই হয়। Continue reading

গুষ্টি কিলাই সিনেমা হল ব্যবসার!

Blog_Film Screening Methodআমাদের দেশে একটি সিনেমা নির্মানের পরে কি পদ্ধতিতে চলে আপনার এলাকার সিনেমা হলে? আপনি কি জানেন?
খুব সহজ হিসেবে বলা যায়, সিনেমা হল মালিকরা মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার প্রযোজক-পরিবেশকের কাছে গিয়ে সিনেমাটি এককালীন (বুকিং মানি) টাকা দিয়ে সিনেমাটি এক বা দুই সপ্তাহের জন্য ভাড়া আনবে। (এই বুকিং মানিকেই বলে টেবিল কালেকশন) তারপর সে তার সিনেমা হলে সেই সিনেমাটি চালাবে। টিকেট বিক্রি করে যা লাভ হবে, পুরোটা তার হওয়ার কথা। কিন্তু আসল ঘটনা ভিন্ন। Continue reading

পূর্নদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনীঃএকটি দর্শক পর্যালোচনা

একটি গতানুগতিক বাংলা প্রেমের সিনেমা কেমন হওয়া উচিত? থাক, আমাকে বলতে হবে না। আপনি মনে মনে যে চিত্র দাড় করিয়েছেন , এই সিনেমা তার থেকে কোন দিকেই কম হবে না। সিনেমাটিতে ব্যবহার করা রাজ্জাক-আনোয়ার নাম আমার মনে নাই, তাদের দুই নাতি-নাতনীর  (শাকিব খান-মিমো) বিয়ে দিতে চান। দুই জন অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হয়। বাগদান অনুষ্ঠানে মিমোকে কনের সাজে দেখে রাজ্জাক সাহেবের মেয়ে নিশাতের (দিতি) কথা মনে হয়ে যায় এবং তিনি স্ট্রোক করেন। প্রিয় পাঠক, আপনারা সবাই জানেন সিনেমার শুরুতেই উনার কিছু হবেনা, হলোও না Continue reading