যেকোন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই চলে সেই ইন্ডাস্ট্রিতে মুক্তি পাওয়া মুভিগুলোর আয় থেকে। এই আয়ের একটা বড় অংশ আসে বাণিজ্যিক বা মাসালা মুভি থেকে। হলিউডে যেমন ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিরিজ বা এভেঞ্জার্স এর মুভিগুলো আবার বলিউডে যেমন কিক বা দাবাং এর মতো মুভি। অফ ট্রাকের মুভিগুলোও যে ইনকাম করেনা তা নয় তবে তার সংখ্যা খুব কম। মাসালা ছবিগুলোকে অনেকেই গোনায় ধরতে না চাইলেও এসব মুভি ছাড়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অচল। কারণ এগুলো মাস অডিয়েন্স পছন্দ করে বলেই বানানো হয়। আর বেশি ইনকাম হয় মাস অডিয়েন্স টার্গেট করে বানানো ছবি থেকেই।আর মুভির ইনকাম থেকেই রায় দেওয়া হয় মুভিটা হিট নাকি ফ্লপ। হিট বা ফ্লপ ভারডিক্ট দেওয়া হয় সাধারণত মুভির বক্স অফিস কালেকশন দেখে।তবে শুধু বক্স অফিসে অনেক আয় হলেই যে একটা মুভি হিট হবে তার নিশ্চয়তা নেই। বক্স অফিস কালেকশনের পাশাপাশি হিট হওয়ার জন্য আরো কিছু জিনিস প্রভাবক হিসেবে কাজ করে সেটাই বিস্তারিত আলোচনা করবো এই পোস্টে। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে বক্স অফিস বলে কোন জিনিস নেই। Continue reading
ক্যাটাগরী আর্কাইভঃ সিনেমা হল
ঢালিউড বনাম টালিউড
আমাদের মোট হল সংখ্যা ৩০০ এর থেকে কিছু বেশি। নতুন মুভি মুক্তি পেলে সর্বোচ্চ ১২০ টা হলে চলে। বাকি থাকলেও ১৮০ এর থেকে কিছু বেশি হল। তাহলে সেখানে কি চলে? সেখানে চলে এক টিকিটে দুই ছবি। মানে দেখবেন একটা ভাল ছবি এরপর যা শুরু হবে তা দেখার জন্য আপনি প্রস্তুত থাকবেন না।
এই কয়েকদিন মুক্তিপ্রাপ্ত মুভিগুলোর হল লিস্ট যদি খুব ভালোভাবে বিবেচনা করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে যেসব হল নতুন মুভি নেয় তারাই প্রতি সপ্তাহে মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন মুভি গুলো আবার নিয়ে যায়, কিন্তু অন্য হলের সেখানে কোন নাম নিশানা নেই। বেশির ভাগ নতুন মুভি চলে ঢাকা, ঢাকার আশেপাশে এবং কিছু জেলা শহর গুলোতে। কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে বা একটু দুরের শহর গুলোর হলে কিন্তু নতুন মুভি চলছে না। Continue reading
আধিয়ার কেন দেখা উচিত?
আধিয়ার শব্দটি আমার কাছে অপরিচিত ছিল। তাই সাইদুল আনাম টুটুলের “আধিয়ার” চলচ্চিত্রটি দেখতে গিয়ে, চলচ্চিত্রের পটভূমির সাথে মিল রেখে ধরে নিয়েছিলাম আধিয়ার শব্দের অর্থ অধিকার। মূলত আধিয়ার অর্থ বর্গাদার। অর্থ্যাৎ যিনি বা যারা একটি নির্দিষ্ট শর্তে অন্যের মালিকানার জমিতে হাল চাষ করে উৎপন্ন ফসলের অংশ শর্ত মোতাবেক জমির মালিককে প্রদান করে, তাকে আধিয়ার বা বর্গাদার বলা হয়। আধিয়ার জমি চাষাবাদ করলেও প্রকৃতপক্ষে জমির দখল মালিকের দখল বলে গণ্য হয়। Continue reading
স্বার্থান্বেসি মহলের হাতে বন্দি আমাদের চলচ্চিত্র !!
স্বার্থান্বেসি একটা মহলের কারনে আমাদের চলচ্চিত্র বন্দি হয়ে আছে অযোগ্য কিছু মানুষের হাতে, বাংলাদেশে কি মৌলিক গল্পের অভাব আছে ? নিজেরা পারছেন না তবুও অর্থ এবং সম্মানের লোভে ছোটলোকের মতো আর কতোদিন যায়গা দখল করে রাখবেন তা আমার জানা নেই, তাদের জন্যই আমাদের সিনেমা আজও উন্নতির অন্তরায় রয়েছে, আজকে ইন্ডিয়ান সিনেমা আমদানি করার পিছনে তারাও অনেকাংশে দায়ী !! তাদের বস্তাপঁচা সিনেমা দেখতে আমাদের দর্শক সিনেমা হলে যাচ্ছেন না !!!
সুখের কথা ধীরে ধীরে আমরা সবাই ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, মুখ ফিরিয়ে নেয়া তরুণ সমাজ আবারো ঝুঁকেছে বাংলা চলচ্চিত্রের দিকে, পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে দেখার মতো সিনেমাও তৈরী হচ্ছে….
এখন সময় শুধু নিজেদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, চলুন সবাই হাতে হাত রেখে বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিনের দিকে ছুটে চলি…. হয়তো আরেকটা জীবন থেকে নেয়া, মুখ ও মুখোশ, সূর্য দীর্ঘল বাড়ী, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, সারেং বউ, সাত ভাই চম্পা, সীমানা পেরিয়ে, বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, রূপালী সৈকতে, মাটির ময়না অথবা ছুটির ঘন্টার মতো চলচ্চিত্র আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে খুব সামনেই….
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বাংলা চলচ্চিত্র !!
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার প্রায় ৪২ বছর পর আমাদের চলচ্চিত্রকে সরকার “শিল্প” হিসেবে যখন ঘোষণা দিলো তখন ধারণা করেছিলাম এইবার বোধহয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র মুখ তুলে দাঁড়াবে এবং আমরা একটা অসাধারণ সময়ের মধ্যে ছিলাম যখন একের পর এক দুর্দান্ত সব চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে এবং নতুন বেশ কিছু পরিচালক, লেখক এবং অভিনেতা-অভিনেত্রি খুঁজে পেয়েছি আমরা, যাদের নিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমরা গর্ব করতে পারি রীতিমত আর ঠিক এমনই একটা সময়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রচারের অনুমতি প্রদান করে তিল তিল করে গড়ে উঠা এই শিল্পকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে… Continue reading
আমার চলচ্চিত্র দর্শন – ভালোবাসা জিন্দাবাদ
চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস তার নতুন ছবি ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ‘ উপভোগ করতে আমাদের কয়েকজনকে ভালোবেসে ফ্রি টিকেট দিয়েছেন। সাথে কথা দিয়েছেন ছবির নায়িকা লাস্যময়ী র্যাম্প মডেল ‘আইরিন সুলতানা’র সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিবেন ।
বাঙ্গালী ফ্রিতে জাহান্নামের দরজা পর্যন্ত ঘুরে আসতে রাজি। আর এতো ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ‘, বোনাস হিসেবে আইরিন। ‘ মাম্মা খাড়াও আইতেছি ‘ বলে চোখ টিফি দিয়ে আমি সেন্ট পাউডার মেখে তৈরি হয়ে গেলাম। নায়িকার সংস্পর্শে যাবো (ভুল মিনিং করবেন না) একটু ঘষামাজা তো করতেই হয়। Continue reading
অনন্তের স্বার্থে ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’
বাংলা সিনেমায় অনন্তের আগমন অনেকেই ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ করেনি। সেই থেকে আজ অবধি অনন্তকে নিয়ে সোশাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানা জায়গায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকদিন পর শাকিব খানের বাইরে ঢাকাইয়া বাণিজ্যিক সিনেমার আরেকজন নায়ক মধ্যবিত্ত তরুণদের আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে। আগে যেখানে কোন বাংলা বাণিজ্যিক সিনেমা নিয়ে আলোচনা ‘খোঁজ-দ্যা সার্চ’ করেও পাওয়া মুশকিল হত এখন সেখানে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো আলোচনা চোখে পড়ছে। আর ঠিক এখানেই অনন্তের গুরুত্ব। Continue reading
ইভটিজিং – সামাজিক ব্যাধির চালচিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র
“চলচ্চিত্র দ্বারা কখনো সমাজ পরিবর্তন করা যায় না।” – সত্যজিত রায়
আজ সনি সিনেমাতে দুপুরের শো’তে ৩৫ টাকা দিয়ে ডিসি-তে বসে দেখে এলাম ‘ ইভটিজিং‘। “ইভিটিজিং মানে নারীদের উত্যক্ত করা। কিন্তু বিষয়টা এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে, এটা এখন একপ্রকারের নারী নির্যাতন” – এটা সিনেমার একটা সংলাপ। ঠিক এই লাইনটার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে গোটা ফিল্মটি। “লজিক এবং এন্টি লজিক” নিয়ে কাজ করেছে কাজী হায়াৎ। Continue reading